স্ত্রীর সাথে সহবাসে স্ত্রী অনুমতি নিতে হবে? 763
স্ত্রীর সাথে সহবাসে স্ত্রী অনুমতি নিতে হবে? 763 মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামী যখন তাঁর স্ত্রীকে দৈহিক প্রয়োজনে আহবান করবে, সে যেনো স্বামীর কাছে অত্যন্ত দ্রুত চলে আসে । এমনকি সে রান্না ঘরে রুটি পাকানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও ।” (সুনানে তিরমিযি ১১৬০, ছহীহুল জামে ৫৩৪) মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাঁড়া না দেয় এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় সারারাত একাকী কাটায়, সে স্ত্রীর উপর ফিরিশতাগণ সকাল পর্যন্ত লা’নত দিতে থাকে ।” (ছহীহুল বোখারি ৫১৯৩, ছহীহ মুসলিম ১৪৩৬,সুনানে আবু দাউদ ২১৪১) মহানবী সা: বলেছেন “ তিন ব্যক্তির নামাজ তাঁদের মাথা অতিক্রম করেনা অর্থাৎ কবুল হয়না । তন্মধ্যে একজন হলেন অবাধ্য স্ত্রী , যে স্বামীর ডাকে সাঁড়া দেয়না এবং স্বামী রাগান্বিত অবস্হায় ঘুমায় ।” আরও পড়ুনঃ- ফরজ সালাতের পর নবীজির আমল (তাবরানী ১০৮৬,সুনানে তিরমিযি ৩৬০, স্ত্রীর সাথে সহবাসে স্ত্রী অনুমতি নিতে হবেহাকেম,সিলসিলা ছহীহা ২৮৮) মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেকে নফল রোজা রাখা যাবেনা এবং স্বামীর অপছন্দ ব্যক্তিকে ঘরে প্রবেশ করানো যাবেনা ।” (ছহীহুল বোখারি ৫১৯৫, ছহীহ মুসলিম ২৪১৭,. দারেমী ১৭২০, সিলসিলা আহাদিসুস ছহীহা ৩৯৫) মহানবী সা: বলেছেন “ পরকালে আল্লাহপাক স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ স্ত্রীর দিকে তাকাবেন না ।” (নাসাঈ কুবরা ৯১৩৫,বাযযার ২৩৪৯,তাবরানী, হাকেম ২৭৭১, বাইহাক্বী ১৪৪৯৭, সিলসিলাহ ছহীহা ২৮৯) মহানবী সা: বলেছেন “ কোন স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীর অধিকার সম্পর্কে জানতো, দিনে বা রাতের খাবার শেষ করে স্বামীর পাশে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতো ।”(ছহীহুল জামে ৫২৫৯, তাবরানী) মহানবী সা: বলেছেন “ স্বামীর অবাধ্য স্ত্রীর জন্য জান্নাত হারাম । (মুসনাদে আহমদ ১৯০০৩, নাসাঈ, হাকিম, বায়হাক্বী) মহানবী সা: বলেছেন “ যে স্ত্রী তাঁর স্বামীকে কষ্ট দেয়, জান্নাতের হুরেরা বলেন “ তোমার স্বামীকে কষ্ট দিওনা । তিনি তোমার কাছে সাময়িক মেহমান মাত্র । তোমাকে ছেড়ে অচিরেই আমাদের কাছে ফিরে আসবে । ( তিরমিযি ১১৭৪, ইব্নে মাজাহ ২০১৪) মা- বাবা সহ সকলের মৃত্যুতে শোক পালন হচ্ছে মাত্র ৩ দিন পর্যন্ত । পক্ষান্তরে স্বামীর মৃত্যুতে শোক পালন করতে হবে ৪ মাস ১০ দিন । (সূরা আল বাক্বারা ২৩৪, ছহীহুল বোখারি ১২৮০, ছহীহ মুসলিম ৩৮০২) স্ত্রীর সাথে সহবাসে স্ত্রী অনুমতি নিতে হবে? 763 স্ত্রীর সাথে সহবাসে স্ত্রী অনুমতি নিতে হবে? 763 স্ত্রীর সাথে সহবাসে স্ত্রী অনুমতি নিতে হবে? 763 স্ত্রীর সাথে সহবাসে স্ত্রী অনুমতি নিতে হবে? 763 স্ত্রীর সাথে সহবাসে স্ত্রী অনুমতি নিতে হবে 763 স্ত্রীর সাথে সহবাসে স্ত্রী অনুমতি নিতে হবে 763…
Read moreফরজ সালাতের পর নবীজির আমল 3712
ফরজ সালাতের পর নবীজির আমল 3712 নবী কারিম (সঃ) ফরজ সালাত/নামাজের পরে এই সকল দোয়া গুলো আমল করতেন। ১। “আসতাগফেরুল্লাহ” -৩ বার। অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। (মুসলিম,১২২২) ২। আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালালী ওয়াল ইকরাম-১বার। اللهم أنت السلام، ومنك الشفى تباركت يا ذا الجلال والإكرام অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময়, তােমার কাছ থেকেই শাস্তি অবতীর্ণ হয়। তুমি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও মর্যাদা প্রদানকারী। (মুসলিম,১২২১)। ৩। আয়াতুল কুরসী (সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত) -১ বার ফজীলতঃ রাসুলুল্লাহ প্পি বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর ‘আয়াতুল কুরসী পাঠ করে মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখতে পারবেনা। (নাসায়ী, হাদীস সহীহ, সিলসিলাহ সহিহাহ-হাদিস ৯৭২)। ৪। “সুবাহানাল্ল-হ” -৩৩ বার,আলহামদুলিল্লাহ”-৩৩ বার,”আল্লাহু-আকবর” ৩৩ বার।তারপরঃ লা-ইলা-হা ইল্লাল্লহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা-কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর-১বার। ফজীলতঃ এগুলাে পাঠে গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতাে অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়।) (মুসলিম, ১২৪০) আরও পড়ুনঃ- শিশু সন্তান মারা গেলে মা বাবা কি জান্নাতে যাবে? ৫। সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস-১ বার করে।(সকাল-সন্ধ্যায় ৩ বার করে) (আবু দাউদ,১৫২৩)। ৬। “আল্লাহুম্মা আইন্নি আ’লা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা” -১বার। اللهم أعني على اللهم أعني على ذكرك وشكرك وحسن عبادتك অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে তােমার যিকির করার সুযােগ দাও,তােমার অনুগ্রহের শুকরিয়া আদায়ের সুযােগ দাও এবং সুন্দরভাবে তােমার ইবাদত করার সুযােগ দাও।(আবু দাউদ,১৫২২)। ৭।“আল্ল-হুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়া আউযুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আউযুবিকা মিন আরযালিল ‘উমুরি ওয়া আ’উযুবিকা মিং ফিত্নাতিল দুনিয়া-ওয়া ‘আযা-বিল কবরি” -১ বার। (সহীহ বুখারী/২৮২২)। রাসূল এর পঠিত আরাে অনেক দোয়া বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। ফরজ সালাতের পর নবীজির আমল 3712 ফরজ সালাতের পর নবীজির আমল 3712 ফরজ সালাতের পর নবীজির আমল 3712
Read moreশিশু সন্তান মারা গেলে মা বাবা কি জান্নাতে যাবে? 370
শিশু সন্তান মারা গেলে মা বাবা কি জান্নাতে যাবে? 370 শিশু অবস্থায় কোনো সন্তান মারা গেলে পরকালে তারা তাদের মুসলিম মাতা-পিতাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘শিশু (অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী) মুসলিম সন্তানেরা জান্নাতের ‘শিশু খাদেম’ হবে। তারা তাদের মাতা-পিতাকে পেলে কাপড় ধরে টেনে জান্নাতে না নেওয়া পর্যন্ত ছাড়বে না।’ (মেশকাত : ১৭৫২) গর্ভে যাদের সন্তান মারা যায়, তাদের জন্য প্রিয়নবীর ঘোষণা…ঐ সন্তানের শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! সন্তান গর্ভে মারা যাওয়ার পর মা যদি ধৈর্য ধরে, ঐ গর্ভস্থ সন্তান কিয়ামতের দিন তার মাকে তার নাড়ি দিয়ে জড়িয়ে-বেঁধে টেনে টেনে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে! [ ইবনে মাজাহঃ ১৬০৯, মুসনাদে আহমাদঃ ২২০৯০, সহিহ সনদ] আরও পড়ুনঃ- ইসলামে বন্ধু নির্বাচনের বিধান শিশু বয়সে মৃত্যুবরণকারী সন্তানদের জান্নাতে উড়ে বেড়ানো প্রজাপতির সঙ্গে উপমা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু হাসসান (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হজরত আবু হুরায়রাকে (রা.) বললাম, ‘আমার দুটি সন্তান মারা গিয়েছে। আপনি কি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর থেকে এমন একটি হাদিস বর্ণনা করবেন, যাতে আমরা অন্তরে সান্ত্বনা পেতে পারি?’ তখন আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, হ্যাঁ, আমি নবীজিকে (সা.) বলতে শুনেছি, ‘ছোট বয়সে মৃত্যুবরণকারী সন্তানেরা জান্নাতের প্রজাপতির মতো। তাদের কেউ যখন পিতা কিংবা পিতা-মাতা উভয়ের সঙ্গে মিলিত হবে, তখন তার পরিধানের কাপড় কিংবা হাত ধরবে, যেভাবে এখন আমি তোমার কাপড়ের আঁচল ধরেছি। এরপর সেই কাপড় কিংবা হাত আর পরিত্যাগ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তাকে তার মা-বাবাসহ জান্নাতে প্রবেশ না করাবেন। (মুসলিম : ৬৩৭০) শিশু সন্তান মারা গেলে মা বাবা কি জান্নাতে যাবে? 370 শিশু সন্তান মারা গেলে মা বাবা কি জান্নাতে যাবে? 370 শিশু সন্তান মারা গেলে মা বাবা কি জান্নাতে যাবে? 370 শিশু সন্তান মারা গেলে মা বাবা কি জান্নাতে যাবে? 370
Read moreইসলামে বন্ধু নির্বাচনের বিধান 3699
ইসলামে বন্ধু নির্বাচনের বিধান 3699 বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন।সাহায্যকারী, হেল্পিহ্যান্ড, অন্তরঙ্গ বন্ধু বানাতে সতর্কতা অবলম্বন করুন। কারণ আপনার সাথী হতে পারে আপনার দুনিয়া ও পরকালের পার হওয়ার কারণ। আবার হতে পারে জীবনের চরম অশান্তি, কষ্ট, ব্যর্থতা, জাহান্নামের কারণ। যেমন একটি নেশাখোর বন্ধু আপনাকে শুধু সিগারেট টানতে আর মদ খেতে ডাকবে। সে আপনাকে তার কাজে লিপ্ত করবে। আর একজন দ্বীনদার আপনাকে কুরআন শিক্ষায় উৎসাহিত করবে। আপনার হাশর,মিযান,পুলসিরাত সহজ করে দিবে। কিয়ামতের দিন অসৎ সঙ্গীর জন্য আফসোস করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:- ﴿ يَٰوَيۡلَتَىٰ لَيۡتَنِي لَمۡ أَتَّخِذۡ فُلَانًا خَلِيلٗا ٢٨ لَّقَدۡ أَضَلَّنِي عَنِ ٱلذِّكۡرِ بَعۡدَ إِذۡ جَآءَنِيۗ وَكَانَ ٱلشَّيۡطَٰنُ لِلۡإِنسَٰنِ خَذُولٗا ٢٩ ﴾ [الفرقان: ٢٧، ٢٨] ‘হায় আমার দুর্ভোগ, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। অবশ্যই সে তো আমাকে উপদেশবাণী থেকে বিভ্রান্ত করেছিল, আমার কাছে তা আসার পর। আর শয়তান তো মানুষের জন্য চরম প্রতারক।’ {সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ২৭-২৮} আরও পড়ুনঃ- সূর্য/চন্দ্রগ্রহণে গর্ভবতীরা কিছু খেতে পারবে? ইসলামি বিধান কি? একজন উস্ত বন্ধু যেমন আপনার জীবনেব গঠিপাল্টে দিতে পাবে, তেমনি একজন অসৎ বন্ধু জীবনকে ধ্বংসের চুড়ান্ত সীমায়পৌছ দিতে পারে।“শেষ বিচারের দিন সকল বন্ধুই শত্রুতে পরিণত হবে তবে একমাত্র সৎ বন্ধুই সেদিন প্রকৃত বন্ধু পরিচয় দেবে (আল–হাদীস।) সৎ সঙ্গ ও সঙ্গী বিষয়ে আমরা যা শুনি ও পাঠ্যে পড়ি নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিকে যেমন সৎ সঙ্গী গ্রহণে উৎসাহিত করেছেন, অন্যদিকে তেমন অসৎ সঙ্গী থেকে দূরে থাকতে অতি তাকিদ দিয়েছেন। এ বিষয়ে একটি চমৎকার হাদীস বর্ণিত হয়েছে আবূ মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «مَثَلُ الجَلِيسِ الصَّالِحِ وَالجَلِيسِ السَّوْءِ، كَمَثَلِ صَاحِبِ المِسْكِ وَكِيرِ الحَدَّادِ، لاَ يَعْدَمُكَ مِنْ صَاحِبِ المِسْكِ إِمَّا تَشْتَرِيهِ، أَوْ تَجِدُ رِيحَهُ، وَكِيرُ الحَدَّادِ يُحْرِقُ بَدَنَكَ، أَوْ ثَوْبَكَ، أَوْ تَجِدُ مِنْهُ رِيحًا خَبِيثَةً» ‘সৎ ও অসৎ বন্ধুর উদাহরণ আতর বিক্রেতা ও কামারের ন্যায়। আতর বিক্রেতা হয়তো তোমাকে একটু আতর লাগিয়ে দেবে, অথবা তুমি তার কাছ থেকে আতর ক্রয় করবে, অথবা তুমি তার কাছে আতরের ঘ্রাণ পাবে। আর কামার হয়তো তোমার দেহ বা কাপড় পুড়িয়ে দেবে নয়তো তার কাছ থেকে খারাপ গন্ধ পাবে।’ [বুখারী : ২১০১; মুসলিম : ২৬২৮] ইসলামে বন্ধু নির্বাচনের বিধান 3699 ইসলামে বন্ধু নির্বাচনের বিধান 3699 ইসলামে বন্ধু নির্বাচনের বিধান 3699 ইসলামে বন্ধু নির্বাচনের বিধান 3699
Read moreছোলার উপকারিতা 22
ছোলার উপকারিতা ছােলার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কমবেশী সকলেই জানি , আমাদের দেশে রমজান মাসে ইফতারের সময় জনপ্রিয় খাবার হলাে ছােলা। ছােলার ডাল নানাভাবে খাওয়া হয়। এটি দেহকে করে দৃঢ়, শক্তিশালী, হাড়কে করে মজবুত। রােগ প্রতিরােধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এর ভূমিকা অপরিহার্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম । কাঁচাছােলার গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। প্রতি ১০০ গ্রাম ছােলায় আমিষ পায় ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট প্রায় ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ৫ গ্রাম, ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ প্রায় ১৯২মাইক্রোগ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১ ও বি-২ আছে। এছাড়াও ছােলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের মতে উপাদান উচ্চমাত্রার প্রােটিনসমৃদ্ধ খাবার ছােলা। এটি কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায় । ডাল হিসেবে ছোলা পুষ্টিকর একটি ডাল । এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর চমৎকার উৎস। ছােলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং খাদ্যআঁশ আছে। সেইসাথে আছে আমিষ, ট্রিপটোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রন । হৃদরােগের ঝুঁকি কমাতে। অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, খাবারে ছােলা যুক্ত করলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়। ছােলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্যআঁশ আছে যা হৃদরােগে আক্রান্ত্ম হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আঁশ, পটাসিয়াম, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন বি৬ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালাে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরােগের ঝুঁকি কমে যায়। এর ডাল আঁশসমৃদ্ধ যা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৪০৬৯ মিলিগ্রাম ছােলা খায় হৃদরােগ থেকে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৯% কমে যায় । ডায়াবেটিসে উপকারী ছােলার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন উপাদান যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারী। ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ছোলা বেশ উপকারি খাবার। ছােলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ কম। তাই ডায়াবেটিক রােগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভালাে। কোলেস্টেরল ছােলা শরীরের অপ্রয়ােজনীয় কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। ছােলার ফ্যাট বা তেলের বেশিরভাগ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রােটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছােলায় আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ রয়েছে । যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ছােলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন বি৬, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের মতে উপাদান যা যৌনশক্তির জন্য বেশ ধরকারী উপাদান। ছােলা বা বুটের শাক শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তাই শুধু রমজান মাস নয়, ১২ মাসেই ছােলা খাওয়া দরকার। রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃুদ্ধি করে ছােলার স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো, ছােলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন…
Read moreনখের রং দেখে শরীরের রোগ নির্নয়
নখের রং দেখে শরীরের রোগ নির্নয় নখের রং দেখে শরীরের রোগ নির্নয় করা যায় এটা আমাদের কম বেশী জানা আছে তবে কোন নখে কোন রোগের ইঙ্গিত বহন করে আমরা তা কমই জারি নখের দেখে শরীরের রোগ নির্নয় করাটা খুবই সহজ তবে এই নখের সমস্যা গুলোকে হেলা করা ঠিক নয় । এই নখের সমস্যা গুলো হেলা করলে আমরা মারাত্বাক সমস্যায় পরতে পারি এমন কি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিভিন্ন রং-এর নখ ভিবিন্ন রোগ বহন করে থাকে আসুন জেনে নেই নখের রং সম্পর্কে। নীল নখ নখের রং দেখে শরীরের রোগ নির্নয় করার প্রথমে আমরা দেখব নখ নীল কেন হয়। নখ নীল হওয়া এক ধরনের রোগের লক্ষন। হঠাৎ করে জদি নখ নীল হয়ে যায় তাহলে বুজতে হবে আমাদরে রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা অনেক কমে গেছে। এর পাশাপাশি শ্বাস কষ্ট, বুকে ব্যথা থাকতে পারে। তাই মনে রাখতে হবে হঠাৎ করে নখ নীল হয়ে গেলে দেরিনা করে দ্রুত ডাক্তারের পারামর্শ নিন। এছাড়াও আরও কিছু কারনে নখ নীল হতে পারে যেমন হার্টের রোগ, ফুসফুসে সমস্যা, এসিলি ইত্যাদি কারনেও নখ নীল রং ধারন করতে পারে। নখে লম্বা গাঢ় দাগ নখের মধ্যে লম্বা গাঢ় দাগ এটাও এক ধরনের রোগের ইঙ্গিত বাহন করে থাকে। অনেকের আছে নখে লম্বা গাঢ় দাগ আঘাতের কারনে হয়ে থাকে তবে এটাতে কোন সমস্যা নেই । তবে জদি কাহারও নখে হঠাৎ লম্বা গাঢ় দাগ দেখা দ্যায় এবং এই দাগ আরও ছড়িয়ে যায় বা রং বদলায় তাহলে বুঝতে হবে কিছু সমস্যা রয়েছে। এমনটা হলে আতঙ্কিত হবার কারন নেই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নখে লম্বা গাড় দাগএর ফলে ক্যান্সার ছাড়াও আরও অনেক রোগ হতে পারে। তাই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন-এ ক্যান্সার যত দ্রুত চিকিৎসা হবে ততো তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া সম্ভব। নখে ছোট সাদা দাগ একটি প্রচলিত কথা আছে নখের মাঝে সাদা দাগ হলে আমরা বলে থাকি নখের ভিতরে ফুল ফুটেছে আসলে এটি সম্পূর্ন হাস্যকর কথা। নখের ভিতরে সাদা দাগ হয় মূলত দাঁত দিয়ে নখ খোটালে অথবা নখে আঘাত পেলে নখের মাঝে ছোট সাদা দাগ হয়ে থাকে। তাই এই ধরনের নখ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। নতুন নখ গজালে এ নখ পরিবর্তন হয়ে যায়। নখ মাঝখান থেকে দেবে যাওয়া নখের রং দেখে শরীরের রোগ নির্নয় -এ বড় ভূমিকা রাখে। নখ মাঝখান থেকে দেবে যাওয়ার ফলে বুঝতে হবে আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। আয়রনের অভাবের কারনে এমনটা হয়ে…
Read moreস্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান কুরআন ও হাদিসের ভিতরে স্পস্ট করে বলা আছে। সূরা আন-নিসায় আল্লাহ বলেছেন পুরুষরা নারীদের পরিচালক, কারণ আমি তাদেরকে একের উপর অপরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং পুরুষেরা তাদের ধন-সম্পদ মহিলাদের জন্য ব্যয় করবে। অতএব সতী নারীরা অনুগত্যপরায়ন হয়ে থাকে এবং পুরুষদের অনুপস্থিতিতে তাহার পুরুষের ব্যবসা/সম্পত্তি পাহাড়া দ্যায় যা আল্লাহ রক্ষা করেছেন”‘( সূরা আন-নিসাঃ৩৪) স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান সম্পর্কে হাদিসের নির্দেশনা হলঃ- আবু হুরায়রা (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ স্বামী বাড়িতে উপস্থিত থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ব্যাতিত কোন স্ত্রী লোকের পক্ষে (নফল) রোযা রাখা হালাল নয়। তার অনুমতি ছাড়া অন্য লোককে তার ঘরে আসার অনুমতি দেয়াও তার জন্য হালাল নয়। ( বুখারী, মুসলিম) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন লোক তার স্ত্রীকে তার বিছানায় ডাকে কিন্তু সে জদি আসতে অপরগতা প্রকাশ করে বা না আসে,ফলে স্বামী অসন্তুষ্ট অবস্থায় রাত কাটায়, তখন ফেরেশতাগণ সকাল হওয়া পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকে। ইমাব বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে যদি কোন স্ত্রীলোক যখন তার স্বামীর বিছানা পরিত্যাগ করে রাত কাটায়, তখন ফেরেশতাগণ সকাল হওয়া পর্যন্ত অভিশাপ দিতে থাকে। অপর এক বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তার বিছানায় ডাকে আর সে তার বিছানায় আসতে অস্বীকার করে, এ অবস্থায় তার প্রতি তার স্বামী খুশী না হওয়া পর্যন্ত যিনি আসমানে আছেন তিনি তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন। উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন স্ত্রীলোক তার প্রতি তার স্বামী সন্তুষ্ট থাকা অবস্থায় মারা গেলে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে। ( তিরমিযী, রিয়াদুস সালেহীন) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি যদি কোন ব্যক্তিকে অন্য ব্যক্তিকে সিজদা করতে নির্দেশ দিতাম তবে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করতে। ( তিরমিযী, রিয়াদুস সালেহীন) পাশাপাশি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বামীদেরকেও তাদের নিজ নিজ স্ত্রীর প্রতি কীরূপ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান কি? এসম্পর্কে নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীলোকদের আরও বলেন “গর্ভধারীনি স্ত্রীলোক সন্তানের মা, সন্তান কে বুকের দুধ পান করানোর কষ্ট স্বীকারকারীনি,সন্তানের…
Read moreডায়েট করেও যখন ওজন কমেনা
ডায়েট করেও যখন ওজন কমেনা ওজন কমানো নিয়ে আমরা কতোই না কষ্ট করে থাকি। ওজন কমানো রীতিমতো এক ধরনের যুদ্ধ করতে হয়। যাদের ওজন বেশি তাহারা এ বিষয়টি ভালো করেই অনুভব করছেন। কিছু বাধাদরা নিয়ম কানুনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে হয় নিজেকে। তবু ডায়েট করেও যখন ওজন কমেনা তখন এক ধরনের হতাশা কাজ করে। অনেকেই বছরের পর বছর ডায়েট করে থাকে তবুও তাহারা কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছেনা আবার অনেকে আছেন যে অল্প সময়ে ডায়েট করে থাকেন, যা একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। অনেকে আছেন যাঁরা ওজন কমাতে “ইয়ো ইয়ো ডায়েট করনে। ইয়ো ইয়ো ডায়েছে কখরো ওজন কমানো হয়, আবার কখনো ওজন বাড়ানো হয়। এভাবে খাদ্যতালিকাটি চক্রাকার ঘোরে। কয়েক বেলার খাবার বাদ দিয়ে এবং নিম্ন মাত্রায় ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করে এই ডায়েট করা হয়। এসব ডায়েট কিছু সময়ের জন্য ওজন কমালেও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য উপকার বয়ে আনে না । কিছু সময়ের জন্য এর ফলাফল ফেলেও পরে আবার সেই অবস্থানেই ফিরে আসে। এছাড়াও আরও অনেক কারন রয়েছে যার ফলে ওজন কমেনা । ডায়েট করেও যখন ওজন কমেনা তাবে তার কারনের পিছনে কারন কি রয়েছে? ঘুম না হওয়াঃ- ঘুম আমাদের জন্য খুব দরকারী একটা জিনিস। ঘুম আমাদের শরীরের ওজনের উপরে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। গবেষকদের মতে কম ঘুম বা বেশি ঘুম উভয়ই ওজন বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রনে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমাতে হবে। খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম ডায়েট করেও যখন ওজন কমেনা তখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায় কেন কমছেনা ওজন। তাবে দ্রুত ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই খাবার বেলায় অনিয়ম করে থাকি। আমরা মনে করি হয়তো না খেয়ে থাকলেই হয়তো শরীরের ওজন কমতে পারে, তাই কোন বেলার খাবার একেবারেই না খেয়ে থাকি। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। না খেয়ে থাকলে যে শরীরে ওজন কমবে এটা ঠিকনা । এসব ডায়েটে ওজন কিছু সময়ের জন্য কমলেও যে ওজন ঝড়িয়েছেন সেটা পুনরায় খাবার গ্রহনের মাধ্যমে বেড়ে যেতে পারে। আর দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট মেনে চলতে থাকলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তাই খাবারকে অবহেলা করে বা কোনো বেলা খাবার না খেয়ে ডায়েট করলে করা একেবারেই ঠিক না। আপনি জদি সত্যি ডায়েট করতে চান তাহলে আগে পরিকল্পনা করুন কী খাবেন, কখন খাবেন, এবং কি খাবেন। মানসিক পেশার মানসিক পেশার নেয়ার ফলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ব্যহত করে থাকে। মানসিক চাপে থাকলে করটিসল নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ওজন বাড়িয়ে…
Read moreবিয়ের আগে স্বামী/স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানা দরকার 30
বিয়ের আগে স্বামী/স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানা দরকার আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে বিয়ের আগে স্বামী/স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানা দরকার, না হয় বর কনের ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে নানান ধরণের জটিল সমস্যা হতে পারে। আসলে কি এমন সমস্যা হতে পারে? সত্যি কি বিয়ের আগে স্বামী/স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানা দরকার ? এমন প্রচলিত কথার বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কি বলে? সত্যি কি এমন কথার ভিক্তি আছে? না, এমন ধারণাটি একদম ভুল। ব্লাড গ্রুপ মিলে গেলে এমন কোন সমস্যা হয়না । তবে বিয়ের আগে বর কনের ব্লাড গ্রুপ পরীক্ষা করা অত্যান্ত জরুরী একটি বিষয়। আসলে কেন এটা জরুরী ? আগে জেনে নেই রক্তের গ্রুপ সম্পর্কে। প্রধানত ব্লাড গ্রুপ কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হলো ABO system (A,B, AB এবং O ), অন্যটি হলো Rh factor {Rh positive (+ve) & Rg negative(-ve)} অর্থাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে। বিয়ের আগে স্বামী/স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানা দরকার কেন? যখর কোন Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবারে সাধারণত কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরী হবে। ফলে রোগী যদি আবার কখনও পজেটিভ ব্লাড শরীরে নেয় তাহলে তার ব্লাড Call গুলো ভেঙ্গে যাবে, এবং মারাত্বক সমস্যা দেখা দেবে। যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO incompatibility । তাহলে প্রশ্ন হলো স্বামী/ স্ত্রীর ব্লাড কি রকম হওয়া দরকার? যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ ব্লাড গ্রুপ গওয়া দরকার । কোনভাবেই স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না। অর্থাৎ একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের নারীর কেবলা একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষকে বিয়ে করাই নিরাপদ। (তথ্য সূত্রঃ- আমার স্বাস্থ্য আমার সুখ ) যদি স্বামীর ব্লাড গ্রুপ নেগেটিভ হয়ে এবং স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে কি সমস্যা হয়? রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না । তবে ভিন্ন ব্লাড গ্রুপে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী জদি পজেটিভ হয় তাহলে সন্তান জন্মের সময়ে লিথাল জিন বা মারন জিন নামে একটি জিন তৈরী হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়। যদি ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারনত বাচ্চার ব্লাহগ্রুপও পজেটিভ হবে। যখন কোন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের মা ধারন করবে পজেটিভ ভ্রুন…
Read moreসূর্য/চন্দ্রগ্রহণে গর্ভবতীরা কিছু খেতে পারবে? ইসলামি বিধান কি?
সূর্য/চন্দ্রগ্রহণে গর্ভবতীরা কিছু খেতে পারবে? ইসলামি বিধান কি? আমাদের ভিতরে প্রচলিত এমন অনেক কথা আছে যে গর্ভবতী মায়েরা সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় জদি সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় তাহলে তাহারা খাওয়া দাওয়া করলে গর্ভবতীর বাচ্চা বিকলংঙ্ক, বা বিভিন্ন সমস্যা হয়ে জন্মাতে পারে। যাহার ভয়ে গর্ভবতী মায়েরা না খেয়ে থাকে, এমন কি পানি পর্যন্ত খায়না। এ বিষয়ে ইসলামীক বিধানে কি বলা হয়েছে। সূর্য/চন্দ্রগ্রহণে গর্ভবতীরা কিছু খেতে পারবে? ইসলামি বিধান কি? চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ-এর বিষয়ে মানুষ যুগে যুগে অন্ধ বিশ্বাস করে আসছে। চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে ইসলামের বিধানে এমন কিছু নির্ধারিত করে বলা নেই । আসলে এটি একটি প্রচলিত কথা, যা কুসংস্কার হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এ কুসংস্কার নবী কারিম (সঃ) এর আমলেও ছিলো। নবী কারিম (সঃ) এর ছেলে যখন মারা গেলো তখন লোকজন বলা বলি করছিলো যে “এই চন্দ্রগ্রহনের কারনে তার ছেলে মারা গেছে” তখন নবী কারিম (সঃ) বলেন যে ”কারও জন্ম বা মৃত্যুর সাথে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের কোন সম্পর্ক নেই। চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ এটা আল্লাহর নিদর্শন মাত্র। যুগে যুগে মানুষ জন যে চন্দ্র, সূর্যের পূজা করে আসছে যার কারনে আল্লাহ তাআলা এই চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ করিয়ে দেখিয়ে দ্যায় যে চন্দ্র, সূর্যের কোন ক্ষমতা নেই। যা ক্ষমতা সব আমার (আল্লাহর) আমি এদের পরিচালনা করি। এ বিষয়ে কোরআনেও উল্লেখ করা আছে। একজন মুসলিমের উচিত এই চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণের সময় নামাজ আদায় করা, বেশি করে ইবাদত করা। চদ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণের সময় দুই রাকাত করে নামাজ পাড়া সুন্নত। চন্দ্রগ্রহণের সময় দুই রাকাত সালাত কে বলে সালাতুল খুসুফ এবং সূর্যগ্রহণের সময় দুই রাকাত সালাতকে বলে সালাতুল কুসুফ। সূর্য/চন্দ্রগ্রহণে গর্ভবতীরা কিছু খেতে পারবে? ইসলামি বিধান কি? এমন রিতিনীতি আমাদের চারপাশ কেহ যদি মানার চেষ্টা করে অবশ্যই তাকে সচেতন করতে হবে। তাই বলাই যায় চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ নিয়ে যে ভ্রান্ত ধারণা রায়ছে তা সম্পূর্ণ কুসংস্কার । এসব কুসংস্কার থেকে পরিত্রান পাবার জন্য সবসময় সচেতন থাকতে হবে।
Read moreজুতা পরে কি জানাযা নামাজ পড়া যাবে?
জুতা পরে কি জানাযা নামাজ পড়া যাবে? জানাযা-এর প্রকৃত অর্থ হলো প্রার্থানা করা, সে অর্থে আমরা বুঝতে পারি যে জানাযা হলো মৃত্য ব্যক্তির জন্য দোয়া করা । ইসলামী বিধান অনুযায়ী মৃত্য ব্যক্তিকে কবর দেয়ার আগে মৃত্য ব্যক্তিকে গোসল করিয়ে কাপড় পড়ানোর পরে খাটিয়ায় সুইয়ে দেবার পরে লোকজন একত্রিত হয়ে যে নামাজ আদায় করে সেটাই জানাযা নামাজ। জানাযা নামাজ ফরযে কেফায়া যা আদায় করা সমাজের জন্য আবশ্যক । বলা যায় কোন মুসলিম ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করলে মুসলিম সমাজের পক্ষ থেকে জানাযা নামাজ পাঠ করতে হয়। এ নামাজ আদায় করা হয় দাড়িয়ে। অনেকের মনে প্রশ্ন জুতা পরে কি জানাযা নামাজ পড়া যাবে?ঃ- আমাদের মধ্যে অনেকেরই মনে প্রশ্ন আছে জুতা পরে কি জানাযা নামাজ পড়া যাবে?। এ বিষয়ে ইসলামে বিধান কি রয়েছে? এবং জুতা পরে জানাযা নামাজ আদায় করলে আদবের খেলাপ হবে কি না? উত্তরঃ- মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) হাদিসের মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন যে, তোমরা ইহুদিদের বিপরীত করো। তোমরা জুতা পরে সালাত আদায় করো। কারণ ইহুদী সম্প্রদায় জুতা পরে নামাজ আদায় করে না, তারা জুতা খুলে জানাযা নামাজ আদায় করে। তাই মুসলিমদের জুতে পরে নামাজ আদায় করতে বলেছেন। এর পরথেকে সাহাবাগণ জুতা পরে জানাযা আদায় করেছেন । এমন কি আমাদের নবীকারিম (সঃ) সেও মাঝে মধ্যে জুতা পরে জানাযা সালাত আদায় করতেন। সে ক্ষেত্রে বোঝা যায় জুতা পরে জানাযা নামাজ আদায় করা সুন্নত। আরও পড়ুনঃ-স্বামী স্ত্রী উভয়ের লজ্জাস্থান দেখা কি জায়েজ? তবে জুতার ভিতরে কোন নাপাক ময়লা লেগে থাকলে আর সেটা জদি আপনি দেখে থাকেন বা আপনার কাছে মনে হয় যে নাপাক ময়লা জুতায় লাগান রয়েছে তাহলে জুতা খুলে তার উপরে দাঁড়াতে পারেন। জুতে পরে জানাযা নামাজ আদায় করলে আদবের কোন খেলাপ হবে না।
Read moreস্বপ্নদোষ বন্ধোর দোয়া
স্বপ্নদোষ বন্ধোর দোয়া স্বপ্নদোষ হলে এর থেকে মুক্ত হওয়ার শরীয়ত সম্মত উপায় কি তা জেনে নিন।স্বপ্নদোষ সাধারণত শয়তানের পক্ষ থেকে হয় ।বয়ঃসন্ধিকালের পর বা বয়ঃসন্ধিকালে স্বপ্নদোষ হতে পারে । বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে বা মেয়ে যখন বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আগ্রহী হয়,তখন শয়তানের প্ররোচনায় স্বপ্নদোষ হয় । স্বপ্নদোষ হলে গোসল করা ফরজ হয় ।তাই স্বপ্নদোষ হলে ফরজ গোসল করতে হবে । স্বপ্নদোষ যেননা হয় তার জন্য করনিওঃ- রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী সঠিক খাবার ১) ঘুমানোর আগে ওযু করে পবিত্র হয়ে ঘুমাতে হবে ।ওযু করলে শয়তান দূরে থাকে । এতে করে স্বপ্নদোষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না । ২) ঘুমাতে যাওয়ার আগে “আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু আহইয়া অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আপনার নামে মৃত্যুবরণ করছি এবং আপনার নামেই পুর্নজীবিত হই । (বুখারী, হা/6312) ৩) দুই হাতের তালু একত্রে করে এর মধ্যে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার করে পাঠ করে ফু দিবে.পরে পুরো শরীর মুছে দিবেন, যতদুর সমভব (মাথা ও মুখ মনডল সহ) (বুখারী,হা/5017) ৪) আয়াতুল কুরসী পাঠ করা । (বুখারী,হা/3275) ফজিলত – একজন ফেরেশতা নিয়োগ করে দেন বান্দার উপকারে ।এতে করে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারে না । ৫) ডান কাতে শুয়ে ও ডান হাত গালের নিচে দিয়ে নিচের দোয়াটি পড়বেন. আল্লাহুম্মা কিনি’ইআযা- বাকা ইয়াওমা তাবআসু ইবাদাকা অর্থাৎ হে আল্লাহ! যেদিন আপনি আপনার বান্দাগণকে পুর্নজীবিত করবেন. সে দিনের (পরকালীন) আযাব হতে আমাকে বাচান ।তিনবার পড়তে হবে । (আবু দাউদ,/5045; তিরমিযী,হা/3398) [বিঃদ্রঃ উপুড় হয়ে ঘুমালে স্বপ্নদোষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।এজন্য কাত হয়েঘুমাতে হবে । অদ্ভুত কিছু নিয়ম ঠিক মতন ঘুমালেই বোনাস দিবে অফিস ৬) সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (২৮৫ ও ২৮৬) পাঠ করবেন । বুখারী ও মুসলিমে আছে, যে বেক্তি এই দুই আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এই আয়াত দুটোই যতেষ্ট হবে । মানে বিপদাপদ ও শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা পাবে ।(বুখারী,হা/5009 ও মুসলিম,হা/807) স্বপ্নদোষ বন্ধোর দোয়া স্বপ্নদোষ বন্ধোর দোয়া স্বপ্নদোষ বন্ধোর দোয়া
Read moreস্বামী স্ত্রী উভয়ের লজ্জাস্থান দেখা কি জায়েজ?
স্বামী স্ত্রী উভয়ের লজ্জাস্থান দেখা কি জায়েজ? স্বামী স্ত্রীর লজ্জা স্থান স্ত্রী স্বামীর লজ্জা স্থান দেখতে পারবে কিনা ইসলামে এর বিধি নিষেধ রয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই আসতে পারে । তবে যেনে নেই এর উত্তর । স্বামী স্ত্রী উভয়ের লজ্জাস্থান দেখা কি জায়েজ?-এ নিয়ে দুই রকমের বর্ণনা রয়েছে। আয়সা (রাঃ) এর বর্ননায় পাওয়া যায় তিনি বলেন আমি এবং নবীকারিম ( সঃ) একে অন্যের লজ্জাস্থান কখনও দেখিনি। সে থেকে আমরা বুঝতে পারি যে একে অন্যের লজ্জাস্থান না দেখাটাই উত্তম। অবশ্য অনেক বিশ্লেষনে বলা আছে একে অন্যের লজ্জাস্থান দেখলে চোখের জন্যও উপকারী নয়। এতে চোখের ক্ষতি হয় এবং একে অন্যের লজ্জাস্থান দেখলে উভয়ই লজ্জা অনুভব করতে পারে। যেহেতু আয়সা (রাঃ) থেকে বর্ননা রয়েছে সে ক্ষেত্রে একে অন্যের লজ্জাস্থন না দেখাটাই উত্তম। অন্য একটি হাদিসে অবশ্য এটার অনুমতিও পাওয়া যায় ,তবে বিষয়টি হলোযে কেহ দেখতে চাইলে দেখতে পারবেন। যদি এমন হয় কেহ যদি দেখে তাদের ভিতরে ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে তাহলে দেখতে পারবে তবে এটাকে হারাম বলার কোন সুযোগ নেই বা নাজায়েজও বলা যাবে না, যেহেতু আয়সা (রাঃ) থেকে এমন বর্ননা রয়েছে সেহেতু না দেখাটাই উত্তম। আরও পড়ুনঃ-স্বামী কি স্ত্রীর লজ্জাস্থান দেখতে পারবে
Read more

















