Lifestyle

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান

Spread the love

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান কুরআন ও হাদিসের ভিতরে স্পস্ট করে বলা আছে।  সূরা আন-নিসায় আল্লাহ বলেছেন  পুরুষরা নারীদের পরিচালক, কারণ আমি তাদেরকে একের উপর অপরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং পুরুষেরা  তাদের ধন-সম্পদ মহিলাদের জন্য ব্যয় করবে। অতএব সতী নারীরা অনুগত্যপরায়ন হয়ে থাকে এবং পুরুষদের অনুপস্থিতিতে তাহার পুরুষের ব্যবসা/সম্পত্তি পাহাড়া দ্যায় যা আল্লাহ রক্ষা করেছেন”‘( সূরা আন-নিসাঃ৩৪)

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান সম্পর্কে হাদিসের নির্দেশনা হলঃ-

  • আবু হুরায়রা (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ স্বামী বাড়িতে উপস্থিত থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ব্যাতিত কোন স্ত্রী লোকের পক্ষে (নফল) রোযা রাখা হালাল নয়। তার অনুমতি ছাড়া অন্য লোককে তার ঘরে আসার অনুমতি দেয়াও তার জন্য হালাল নয়। ( বুখারী, মুসলিম)
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য
স্বামী প্রতি স্ত্রীর কর্তব্যের বিধান
  • আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন লোক তার স্ত্রীকে তার বিছানায় ডাকে কিন্তু সে জদি আসতে অপরগতা প্রকাশ করে বা না আসে,ফলে স্বামী অসন্তুষ্ট অবস্থায় রাত কাটায়, তখন ফেরেশতাগণ সকাল হওয়া পর্যন্ত তাকে অভিশাপ দিতে থাকে। ইমাব বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে যদি কোন স্ত্রীলোক যখন তার স্বামীর বিছানা পরিত্যাগ করে রাত কাটায়, তখন ফেরেশতাগণ সকাল হওয়া পর্যন্ত অভিশাপ দিতে থাকে। অপর এক বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তার বিছানায় ডাকে আর সে তার বিছানায় আসতে অস্বীকার করে, এ অবস্থায় তার প্রতি তার স্বামী খুশী না হওয়া পর্যন্ত যিনি আসমানে আছেন তিনি তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন।
  • উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন স্ত্রীলোক তার প্রতি তার স্বামী সন্তুষ্ট থাকা অবস্থায় মারা গেলে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে। ( তিরমিযী, রিয়াদুস সালেহীন)
ইসলামীক বিধান
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান
  • আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি যদি কোন ব্যক্তিকে অন্য ব্যক্তিকে সিজদা করতে নির্দেশ দিতাম তবে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করতে। ( তিরমিযী, রিয়াদুস সালেহীন) পাশাপাশি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বামীদেরকেও তাদের নিজ নিজ স্ত্রীর প্রতি কীরূপ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইসলামীক বিধান
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব
  • স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান কি? এসম্পর্কে   নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীলোকদের আরও বলেন “র্ভধারীনি স্ত্রীলোক সন্তানের মা, সন্তান কে বুকের দুধ পান করানোর কষ্ট স্বীকারকারীনি,সন্তানের প্রতি দয়া ও স্নেহ প্রদর্শনকারীনি- এরা যদি স্বামীর প্রতি অবাধ্যতার আচরন না করে, তাহলে তাদের মধ্যে নিয়মিত নামাজি হয় তাহারা অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।

  • নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন ”আমি জাহান্নামে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছি দেখেছি সেখানে অধিকাংশ অধিবাসী নারী সমাজ” । সাহাবাগণ জিজ্ঞাস করলে কেন এমনটা হয়েছে উত্তরে নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তাহার অতি মাত্রায় অভিশাপ বর্ষণ করে এবং স্বামীদের প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। নবী কারিম (সঃ) আরও বলেন ”আমি জান্নাতে দৃষ্টি দিলাম দেখি সেখানে নারী সমাজ খুবই কম। হযরত আয়সা (রঃ) বলেন একজন যুবতী মেয়েলোক রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললেন ইয়া রাসূল্লাল্লাহ আমার এখন উঠতি বয়স বিয়ের জন্যে,  কিন্তু বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে না, আমি বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনকে অপছন্দ করছি আপনি বলুন স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে ইসলামি বিধান কি রয়েছে।তিনি বললের আপাদমস্তক স্বামীর শরীর পীড়িত হয়ে যদি পুঁজে ভরে যায় আর স্ত্রী তার সেবা-শুশ্রুষায় আপন জিহ্বা দ্বারা লেহন করে, তবু তার কৃতজ্ঞতা আদায় হবে না । মেয়েলোকটি বললো তাহলে কি আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবো না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন না তুমি বিবাহ কর, কারণ এতেই মঙ্গল নিহিত রয়েছে।
  • উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমার পরে আমি পুরুষদের জন্য নারীদের চেয়ে অধিক ক্ষতিকর বিপর্যয় রেখে যাইনি। (বুখারী, মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন) আল্লাহ তায়ালা স্বামীর জন্য স্ত্রীকে পোষাক স্বরুপ বানিয়েছেন। স্ত্রীদের জন্য স্বামীকে পোষাক স্বরুপ বানিয়েছেন। উভয়ই উভয়কে সম্মান করো, এবং মোহাব্বত দৃঢ় করো।
ইসলামীক বিধান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *