এলাচ / Cardamom
এলাচ / Cardamom
এলাচ একটি অতি প্রয়োজনীয় দ্রব্য, মসলা হিসেবে এর চাহিদা ব্যপক হাড়ে রয়েছে । এটি একটি সুগদ্ধি যুক্ত মসলা। খাবার স্বাদ বাড়াতে এর ব্যবহার হয়ে থাকে। মাংস রান্নায়, সালাদ তৈরিতে, চা বানাতে, স্যুপ তৈরি সহ সব ধরনের খাবারে এর ব্যবহার দেখা যায় সেটা হোক ঝাল খাবার বা মিষ্টি খাবার। অতিরিক্ত খাবারের স্বাদ এবং গন্ধ বাড়াতে এর চাহিদা অতুলনীয় থাকায় এলাচকে মসলার রানী বলা হয়ে থাকে। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর সাথে সাথে এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা যা আমাদের দৈনিক জীবিকায় একান্ত দরকার।

এলাচের খাদ্য ও পুষ্টিগুণ |
এলাচের খাদ্য ও পুষ্টিগুণ গুলো হলো – এতে আছে প্রোটিন, রাইবোফ্ল্যাভিন, পাইরিডক্সিন, থিয়ামিন, ইলেকট্রোলাইট, সোডিয়াম, কার্বোহাড্রেট, কোলেস্টেরল, ক্যালোরি, ফ্যাট, ফাইবার, নিয়াসিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, জিঙ্ক, ভিটামিন-এ, ভিটামিন- সি সহ আরও অনেক ভিটামিন উপাদান।

এলাচ চাষ |
এলাচ আমাদের কাছে খুব পরিচিত এবং প্রয়োজনিও মসলা হওয়ার কারনে এর দাম ও চাহিদা ব্যপক। এলাচ সাধারনত ভেজা স্যাতস্যাতে জায়গায়র মধ্যে ভাল জন্মায়। গাছটি দেখতে ছোট আকারের হয়ে থাকে। এর পাতা গুলো দেখতে লম্বা ও চওড়া হয়ে থাকে। এলাচ গাছে সাধারনত বর্ষাকালে ফুল আসে শরৎ কালের শেষের দিকে এলাচ পরিপক্ক হয়ে ওঠে। পরিপক্ক ফল গুলো গাছ থেকে ছিড়ে রোদে শুকিয়ে রাখতে হয়। রোধে না শুকালে এলাচ পচে যাবে।
এলাচের স্বাস্থ্য উপকারিতা |
হেঁচকি সমস্যা সমাধানঃ-
হেঁচকির হাত থেকে রেহাই সহ শরীরের যে কোনো মাংসপেশিকে শান্ত করতে এলাচের ভুমিকা অতুলনিও। কেননা এলাচে রয়েছে অ্যান্টি স্পাসমোডিক নামক উপাদান। এটি হেঁচকি প্রতিরেোধে সাহায্য করে থাকে। তাই কোনো কারণে যদি হেঁচকির সমস্যায় পড়েন, তাহলে কিছু এলাচ চিবাতে পারেন অথাব এক কাপ গরম জলে এক চা চামচ এলাচের গুড়ো মিশিয়ে পান করতে পারেন।
শ্বাসকষ্ট কমাতেঃ-
এলাচের মধ্যে থাকা প্রদাহরোধাী উপাদানের জন্য এটি বাতাস চলাচলের পথ পরিস্কার করে। শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা সমস্যা কমাতে ভালো কাজ করে থাকে। এছাড়াও সর্দি, কাশি, ফুসফুসের সমস্যা ও রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা ইত্যাদি থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। এলাচ দীর্ঘমেয়াদি ব্রঙ্কাইটিস সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

মুখের দুর্গন্ধ দুর করেঃ-
এলাচ মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে বেশ কার্যকর। মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এলাচ। এছাড়াও মাঢ়ি দিয়ে রক্তপাত অথাবা দাঁত ক্ষয় হওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা থেকে রেহাই মিলে। এলাচের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান মুখের ভেতরের অংশের অর্থাৎ মাড়ি ও দাঁতের খুব উপকার করে। এলাচের ঝাঁজালো স্বাদ নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে ও তরতাজা ভাব আনে। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সুষ্টিকারী ব্যাকটেরিয় ধংস করে মুখের দুর্গন্ধ দুর করে থাকে।
যৌনস্বাস্থ্য বৃদ্ধি করেঃ-
এলাচ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যতটা উপকারি তেমই যৌন স্বাস্থ্যের জন্য এলাচ ভালো ভূমিকা পালন করে থাকে। এলাচের মধ্যে থাকা ভিটামিন উপাদানের কারণে এটি স্নায়ুকে শান্ত করে ও যৌনইচ্ছাকে বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া, বন্ধ্যাত্ব থেকে মুক্তি পেতে এলাচ সাহায্য করে বলে গবেষকদের দাবি।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতেঃ-
এলাচ হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। এলাচে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি নামক উপাদান যা বিপাকের ব্যাধি থেকে শরীরকে মুক্তি দেয়। যকৃৎ ও অগ্ন্যাশয়ের উন্নতি ঘটায়। ফলে হজম ভালো হয় এবং বুকে জ্বালা বা পেট খারাপ এবং ও অম্বলের মত সমস্যা থেকেও অনায়াসে রেহাই পাওয়া যায়। পাকস্থলীর ব্যথ্যায় এলাচ ব্যবহারের নিয়ম হলোঃ- এককাপ গরম পানির মধ্যে একচিমটি এলাচেন গুড়া মেশান। ধীরে ধীরে পানীয়টি পান করুন অল্পতে ব্যথা কমে যাবে। এছাড়াও পেট ফোলা ভাব গ্যাস সমস্যা সমাধানে ভালো কাজ করে থাকে। এলাচের তেল ব্যবহার করলে খাওয়ার প্রতি ইচ্ছে বাড়ে ও খিদেও বাড়ে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে এলাচঃ-
এলাচ ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। এলাচের খাদ্যগুণের কারণে অনেক ধরনের ক্যা্ন্সারের টিউমার বা কোষগুলি বাড়তে পারে না ফলে ক্যান্সারের ঝুকি কমে যায়। এছাড়াও কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ক্ষেত্রে এলাচের গুনাগুণ বিশেষ ভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
চুলের যত্নেঃ-
এলাচের চা দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারলে মাথার খুসকি কমে যাবে এবং এটি চুলপড়া কমিয়ে থাকে। মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকলে চুলের গোড়া মজবুত হয় ও চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এলাচের মধ্যে থাকা পুষ্টিকর উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে ঝলমলে ও লম্বা করতে সাহায্য করে।
এলাচ / Cardamom এলাচ / Cardamom এলাচ / Cardamom এলাচ / Cardamom এলাচ / Cardamom এলাচ / Cardamom
Pingback: শসার পুষ্টিগুন - সময়ের সংলাপ