সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা 654

সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ বলে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এর ফলে কার্ডিওভাসকুলার তথা হৃদরোগের ঝুঁকি কমে; সরিষার তেলে উপস্থিত গ্লুকোসুনোলেট এবং মিরোসিনেস নামে দুটি উপাদান শরীরে ক্যান্সার সেলের বৃদ্ধি প্রতিরোধে গুরুতপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট কোলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যানসার থেকে সুরক্ষা প্রদান করে; সরিষার তেলের অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি ব্যকটেরিয়া ও ছত্রাকের ক্ষতিকারক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে; সরিষার তেলে থাকা ওমেগা-৩, ওমেগা-৬ ফ্যাটিঅ্যাসিড এবং ভিটামিন-ই শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান সরবরাহ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়; সরিষার তেলে রয়েছে কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং সেলেনিয়াম। এই খনিজগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেলেনিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আর্থ্রাইটিসের প্রদাহ (হাড়ের রোগ) কমানোর পাশাপাশি এই রোগের প্রকোপ হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে;  সরিষার তেল পরিপাক, রক্ত সংবহন ও রেচনতন্ত্রের শক্তিশালী উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে; সরিষার তেলের ঝাঁঝালো উপাদান শ্লেষ্মা এবং অবরুদ্ধ সাইনাস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে; রান্নায় সরিষার তেল সয়াবিন তেলের থেকে কম পরিমাণে লাগে। এতে শরীরে ক্যালরি বাড়ার আশঙ্কাও কমে যায়; এ তেলের রয়েছে উচ্চমাত্রার স্মোক পয়েন্ট, যা বেশি তাপমাত্রার রান্নার জন্য উপযোগী। (কৃষিবিদ মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন)

আদিকাল থেকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে সরিষার তেলের নাম। ৩০০০ খৃষ্টপূর্ব আগে থেকে ভারতে চিকিৎসা শাস্ত্রে সরিষার তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সরিষা দানা পিষে সরিষার তেল তৈরি করা হয়। এর রঙ ঘন লালচে হলুদ এবং এর গন্ধ ঝাঁঝালো।  এতে খুব অল্প পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি রয়েছে।

১০০ গ্রাম সরিষার তেলে আছেঃ

সরিষার তেলের পুরো ক্যালোরি আসে এর চর্বি থেকে। সরিষার তেলে প্রধানত দুই ধরনের চর্বি থাকে- পলিআনস্যাচুরেটেড এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটিতে ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন ওলিক, লিনোলিক এবং ইউরিকিক অ্যাসিড রয়েছে যা অনেক স্বাস্থ্য উপকারে অবদান রাখে।

সরিষার বীজে ফাইবার এবং স্টার্চ আকারে কার্বোহাইড্রেট থাকলেও সরিষার তেলে কার্বোহাইড্রেটের কোনো উপস্থিতি নেই। সরিষার তেল কোনো প্রয়োজনীয় ভিটামিন বা খনিজও সরবরাহ করে না।

  • স্যাচুরেটেড ফ্যাট  ১২ গ্রাম
  • পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট  ২১ গ্রাম
  • মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট  ৫৯ গ্রাম

আসুন জেনে নেই সরিষার তেলের কিছু উপকারিতা]

সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি:-

ইমিউনিটি বুস্টার হিসাবে কাজ করে সরিষার তেলের ঝাঁঝালো উপাদান শ্লেষ্মা এবং অবরুদ্ধ সাইনাস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। রসুন ও লবঙ্গ দিয়ে সরিষার তেল গরম করে পা এবং বুকে মালিশ করলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

কোলেস্টেরেল কমাতে সহায়তা করে:-

লোহিত রক্তকণিকা শক্তিশালী করেপ্লাজমা, কোষের লিপিডস এবং কোষের ঝিল্লির উপাদান হিসাবে বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চর্বিগুলোর একটি প্রধান উৎস সরিষার তেল। এই তেল কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে এবং লোহিত রক্তকণিকার ঝিল্লি গঠনের উন্নতি করে।

রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে:-

কার্ডিওপ্রোটেক্টিভ প্রভাবগবেষণায় দেখা গেছে যে, সরিষার তেল খেলে অ্যারিথমিয়াস, হার্ট ফেইলিও এবং এনজাইনা হ্রাস পেয়েছে। কার্ডিওভাসকুলার ডিজঅর্ডারে আক্রান্তদের জন্য সরিষার তেল স্বাস্থ্যকর হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি ট্রাইগ্লিসারাইড, রক্তচাপ এবং প্রদাহ কমাতেও সহায়তা করে।

সরিষার তেলের উপকারিতা
সরিষা দানা

কাশি এবং সর্দি কমাতে সহায়তা করে:-

কাশি এবং সর্দি হ্রাস করতে সহায়তা করে প্রাচীনকাল থেকেই সরিষার তেল কাশি, সর্দি এবং অন্যান্য শ্বাস প্রশ্বাসের অ্যালার্জি প্রশমিত করতে ব্যবহৃত হয়। সরিষার তেল দিয়ে স্টিম নিলে তা শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সরিষার তেল সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সরিষার তেলযুক্ত বাষ্প নিঃশ্বাসে নিলে শ্বাসকষ্ট দূর হয়। এছাড়াও, সরিষার তেল, রসুনের কয়েকটি লবঙ্গ এবং ১ চা-চামচ আজওয়াইন গরম করে আমাদের পায়ে এবং বুকে মালিশ করলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

জয়েন্টের ব্যথা দুর করে:-

জয়েন্টে ব্যথা এবং বাত থেকে মুক্তি দেয় সরিষার তেল নিয়মিত মালিশ করলে তা পেশী এবং জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। সরিষার তেলে থাকা ওমেগা ৩ আর্থ্রাইটিসের কারণে সৃষ্ট কঠোরতা এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।  সরিষার তেলে অ্যালিল আইসোথিওসায়ানেট নামক রাসায়নিক যৌগ থাকে। এই রাসায়নিক গঠন শরীরের ব্যথা রিসেপ্টর উপশম করতে পারে. এছাড়া সরিষার তেল আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ যার কারনে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

চুলের যত্নে:-

সরিষার তেল শুধুমাত্র রান্নার কাজে ব্যবহার করা ছাড়াও ঠান্ডার চিকিৎসা, ত্বক মসৃণ, শরীরের ইমিউনিটি বাড়ানো সহ চুলের বিভিন্ন উপকারে আসে। লম্বা চুল দেখতে সকলেরই ভালো লাগে আর সেটি যদি আপনার নিজের হয় তবে তো আর কথাই নেই। দৈনন্দিন জীবনে অনেক কারণেই যেমন দূষিত পানি, রাসায়নিক ইত্যাদির প্রভাবে প্রতিদিনই চুল শুষ্ক, জট ও রুক্ষ হয়ে যায়। যার জন্য আমরা অনেকেই টেনশনে পরে যাই এবং সমাধানের জন্য নানা ধরণের কাজ করতে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন খাঁটি সরিষার তেলই এর সমাধান হতে পারে। সরিষার তেলে আছে অ্যান্টি ফ্যাঙ্গাল যা চুলকে অকালে পেকে যাওয়া হতে রোধ করে পাশাপাশি চুল পড়াও বন্ধ করে এবং মাথার খুসকি দূর করে।

চুলের ঘনত্ব বাড়াতে করণীয়।

সরিষা ভাঙ্গানোর মেশিং
সরিষা ভাঙ্গানোর মেশিং

সরিষার তেলের অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক কী কী?

বলতে গেলে সরিষার তেলের উপকারিতাই বেশি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা অপকারিতা রয়েছে সরিষার তেলের। কিন্তু এসব অপকারিতা ক্ষতিকর দিক চাইলেই একজন খুব সহজেই পরিহার করতে পারবে।

সরিষার তেলের অত্যধিক গ্রহণ আপনার শরীরে ইউরিকিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে যা হার্টের ক্ষতি করতে পারে।

ত্বকে সরিষার তেল দীর্ঘমেয়াদি প্রয়োগে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। আপনি যদি রোদে খুব বেশি সময় থাকেন তবে এটি ত্বকে মারাত্মক ফোস্কা সৃষ্টি করতে পারে।

আপনার ত্বকে সরিষার তেল ব্যবহারে অ্যালার্জি থাকলে তা কঠোরভাবে এড়িয়ে চলুন।

আপনার খাবারে অত্যধিক সরিষার তেল রাইনাইটিস হতে পারে। এটি একটি চিকিৎসা অবস্থা যেখানে মিউকাস মেমব্রেন প্রদাহ হতে থাকে।

গোল্ডেনবেরি কি?

শেষ কথা:-

বাজারে পাওয়া সব তেলের মধ্যে সরিষার তেল সব থেকে বেশী স্বাস্থ্যকর। তবে এটা হতে হবে খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল বা কোল্ড প্রেসড (cold pressed) । সরিষা তেল ব্যবহারের আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে জেনে নিতে হবে যে আপনার সরিষার তেল খাঁটি কি না? নকল বা ভেজাল সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই সবিষার তেল ব্যবহারের আগে অবশ্যই আমাদের সচেতন হতে হবে যেন সেটি ব্যাজাল মুক্ত হয়।  যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের দেশগুলিতে নিষিদ্ধ হলেও সরিষার তেল অন্যান্য দেশ বিশেষ করে এশিয়ার সর্বত্র রান্নার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

সরিষা
সরিষা তেল


সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতাসরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতাসরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সরিষার তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

Related Posts

খাবার হজম প্রক্রিয়া: ধাপ, কৌশল এবং হজম উন্নত করার বৈজ্ঞানিক উপায়

খাবার হজম প্রক্রিয়া: ধাপ, কৌশল এবং হজম উন্নত করার বৈজ্ঞানিক উপায় লেখক: সময়ের সংলাপ হেলথ ডেস্ক | বিভাগ: স্বাস্থ্য টিপস মানবদেহে হজম প্রক্রিয়ার ধাপ ও কার্যপ্রণালী হজম প্রক্রিয়া কী? হজম প্রক্রিয়া (Digestive System) হল এমন একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে খাবার ভেঙে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান তৈরি হয়। এটি মুখ থেকে শুরু হয়ে বৃহদন্ত্রে (Large Intestine) শেষ হয়। সাধারণত সম্পূর্ণ হজম হতে সময় লাগে ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা। হজম প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ গ্রহণ (Ingestion): খাবার মুখে নেওয়ার পর দাঁত খাবারকে ছোট ছোট করে ফেলে এবং লালার (Saliva) মাধ্যমে অ্যামাইলেজ এনজাইম শর্করা ভাঙতে শুরু করে। ফলে একটি মণ্ড (Bolus) তৈরি হয়। পরিচলন ও পাকস্থলী (Digestion): খাবার খাদ্যনালী (Esophagus) দিয়ে পাকস্থলীতে (Stomach) প্রবেশ করে, যেখানে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) ও পেপসিন এনজাইম প্রোটিন ভাঙে। খাবার এখানে ২-৪ ঘণ্টা থাকে। ক্ষুদ্রান্ত্র (Small Intestine): এখানে হজমের প্রধান কাজ হয়। অগ্ন্যাশয় (Pancreas) থেকে হজম এনজাইম ও যকৃত (Liver) থেকে পিত্ত (Bile) নিঃসৃত হয়ে চর্বি, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটকে ছোট অণুতে ভাঙে। শোষণ (Absorption): ক্ষুদ্রান্ত্রের ভেতরের দেয়ালে থাকা ভিলি (Villi) গ্লুকোজ, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে শোষণ করে নেয়। বর্জন (Elimination): অপাচ্য খাদ্য বৃহদন্ত্রে প্রবেশ করে, যেখানে পানি শোষিত হয় ও অবশিষ্ট বর্জ্য মল হিসেবে নির্গত হয়। খাবার খাওয়ার পর হজম উন্নত করার বৈজ্ঞানিক কৌশল ১. হালকা হাঁটাচলা (Light Walking): খাবারের পর ১০–১৫ মিনিট হালকা হাঁটলে খাদ্য পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে সহজে সরে যায়। ভারী ব্যায়াম একেবারেই নয়। ২. বজ্রাসন (Vajrasana): খাবার পর ৫–১০ মিনিট বজ্রাসনে বসলে হজম এনজাইম নিঃসরণ বাড়ে এবং গ্যাস, অম্বল কমে। ৩. বাম কাত হয়ে বিশ্রাম (Left Side Resting): বাম দিকে কাত হয়ে বিশ্রাম নিলে খাবার সহজে ক্ষুদ্রান্ত্রে নেমে যায়, কারণ পাকস্থলী শরীরের বাম পাশে অবস্থিত। ৪. মননশীলতা ও গভীর শ্বাস (Mindfulness and Deep Breathing): খাবারের পর ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া স্নায়ুতন্ত্রের “Rest and Digest” অংশ সক্রিয় করে, যা হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। যে অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলবেন খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়া। খাওয়ার পরপরই ধূমপান বা কফি পান করা। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্নান করা (বিশেষ করে গরম জলে)। হজম শক্তি বাড়ানোর কিছু অতিরিক্ত টিপস খাওয়ার আগে ও পরে পর্যাপ্ত পানি পান করুন (তবে খাবার চলাকালীন বেশি পানি নয়)। ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ওটস, সবজি, ফলমূল খাওয়া বাড়ান। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া (Small Frequent Meals) অভ্যাস করুন। স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা…

Read more

কাঁচা হলুদের ১০০টি অবিশ্বাস্য উপকারিতা

কাঁচা হলুদের ১০০টি উপকারিতা | Turmeric Benefits in Bengali কাঁচা হলুদের ১০০টি অবিশ্বাস্য উপকারিতা 🌿 কাঁচা হলুদ শুধু রান্নার মশলা নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধ। বিজ্ঞানসম্মত গবেষণায় প্রমাণিত হলুদে রয়েছে কারকিউমিন এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ, হজম, হৃদরোগ, ত্বক ও চুলের যত্নে সাহায্য করে। ১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে 💪 কারকিউমিন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ কমায়। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। ২. হজম ও পেটের উপকারিতা 🍽️ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, গ্যাস ও অম্বল কমায়। বদহজম ও পেটব্যথা উপশম করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও আলসার প্রতিরোধে সহায়ক। ৩. রক্ত ও লিভারের যত্ন ❤️ রক্ত পরিষ্কার রাখে, রক্ত জমাট বাঁধা কমায়। লিভারের প্রদাহ কমায় এবং ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে সাহায্য করে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস কমাতে সহায়ক। ৪. হৃদযন্ত্র ও হার্টের স্বাস্থ্য 🫀 কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তচাপ সুষম রাখে। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ৫. শ্বাসতন্ত্রের যত্ন 🌬️ সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা কমায়। হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট উপশমে সাহায্য করে। ফুসফুস পরিষ্কার ও অ্যালার্জি কমায়। ৬. মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের যত্ন 🧠 স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। মনোযোগ ও চিন্তাশক্তি বাড়ায়। স্ট্রেস, উদ্বেগ ও ডিপ্রেশন কমাতে সহায়ক। নিদ্রাহীনতা দূর করে ও মেলাটোনিন নিঃসরণ সহায়তা করে। আলঝেইমার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ৭. শরীরের ব্যথা ও জয়েন্টের যত্ন 🦴 জয়েন্ট ব্যথা, বাত রোগ ও আর্থ্রাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। মাংসপেশীর ব্যথা ও হাড়ের ফোলাভাব কমায়। গাউট উপশমে সহায়ক। ৮. ত্বক ও চুলের যত্ন ✨ ব্রণ ও ব্রণের দাগ কমায়। ত্বক উজ্জ্বল রাখে ও বয়সের ছাপ কমায়। চুল পড়া ও খুশকি কমায়, মাথার ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। হাত-পা ফাটা ও নখের সংক্রমণ দূর করতে সহায়ক। ৯. দৈনন্দিন ও ভেষজ ব্যবহার 🌱 রান্না ও আচার তৈরিতে মশলা হিসেবে ব্যবহার হয়। গরম দুধ, গরম পানি বা শরবতে মিশিয়ে খেলে শক্তি বৃদ্ধি ও ডিটক্সে সাহায্য করে। প্রতিদিন সামান্য কাঁচা হলুদ খেলে সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ঘুম উন্নত করতে, গলা ব্যথা উপশমে ও প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়। গবেষণামূলক তথ্য: Journal of Medicinal Food, 2023 অনুসারে হলুদে থাকা কারকিউমিন শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের প্রদাহ ও সংক্রমণ কমায়। কাঁচা হলুদ নিয়মিত খেলে দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি

Read more

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You Missed

এরই নাম আল্লাহর উপর ভরসা – তাওয়াক্কুল ও রিজিকের অনুপ্রেরণাদায়ক ইসলামিক গল্প

  • By admin
  • October 25, 2025
  • 3 views
এরই নাম আল্লাহর উপর ভরসা – তাওয়াক্কুল ও রিজিকের অনুপ্রেরণাদায়ক ইসলামিক গল্প

খাবার হজম প্রক্রিয়া: ধাপ, কৌশল এবং হজম উন্নত করার বৈজ্ঞানিক উপায়

  • By admin
  • October 25, 2025
  • 7 views
খাবার হজম প্রক্রিয়া: ধাপ, কৌশল এবং হজম উন্নত করার বৈজ্ঞানিক উপায়

কাঁচা হলুদের ১০০টি অবিশ্বাস্য উপকারিতা

  • By admin
  • October 25, 2025
  • 9 views
কাঁচা হলুদের ১০০টি অবিশ্বাস্য উপকারিতা

আখরোট খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা

  • By admin
  • October 25, 2025
  • 5 views
আখরোট খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা

গ্যাস ও অ্যাসিডিটির প্রধান কারণ এবং তা থেকে মুক্তির উপায়

  • By admin
  • October 25, 2025
  • 6 views
গ্যাস ও অ্যাসিডিটির প্রধান কারণ এবং তা থেকে মুক্তির উপায়

নারী কি শুধুই জাহান্নামের দরজা? — ইসলামে নারীর প্রকৃত মর্যাদা

  • By admin
  • October 25, 2025
  • 6 views
নারী কি শুধুই জাহান্নামের দরজা? — ইসলামে নারীর প্রকৃত মর্যাদা