ভাসানীর সাধারন জীবনযাপনে অসাধারণ পরিচিতি।
ভাসানীর সাধারন জীবনযাপনে অসাধারণ পরিচিতি।
চীন থেকে ফিরতি পথে পাকিস্তানে নেমেছিলেন মাওঃ আঃ হামিদ খান ভাসানী। সেখানকার মেয়র এক নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছিলেন ভাসানীকে। ভাসানীর মাথায় তালের টুপী আর পরনে ছিল লুঙ্গি, একেবারে সাদা গ্রামের লোক, স্টেজে উঠেছেন ভাষণ দিতে।
ভাসানীর বেশ ভূষা দেখে দর্শক শ্রোতাদের মধ্যে গুনগুন মন্তব্য করতে শুরু করলো একজন ফিসফিস করে বলতে লাগলো”ইয়ে তো মিসকিন হ্যায়।
কোরান তেলাওয়াত দিয়ে ভাসানীর বক্তব্য শুরু হতেই ওই শ্রোতাদের কণ্ঠে আরেকটি মন্তব্য ভেসে এলো “ইয়ে তো মাওলানা হ্যায়।
ভাসানীর রাজনৈতিক বক্তব্য শুরু হতেই ঐ একই দর্শক শ্রোতারা বলে উঠলেন “আরি বাহ্ ইয়ে তো পলিটিশিয়ান হ্যায়”। ভাসানী যখন বিশ্ব পরিস্থিতি ও বিশ্ব মোড়লদের শোষণ পীড়ন নিপীড়নের কথা বলতে শুরু করলেন তখন ঐ একই দর্শক শ্রোতারাই বলে উঠলেন “হায় আল্লাহ ইয়ে তো এস্টেট মেন হ্যায়”।
হ্যাঁ এমনই ছিলেন মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। যিনি সর্বদা মজলুমদের পক্ষ নিয়ে লড়াই করে গেছেন।