শসার পুষ্টিগুন 22
শসার পুষ্টিগুন
শসা যার ইংরেজি নাম Cucumber। যাহারা নিয়ামত রূপচর্চা করেন, তাদের কাছে শসা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ডায়েট করার জন্যও শসার বিকল্প হয় না। শসা ভিটামিন এবং মিনারেলসে পরিপূর্ণ একিট সবজি। শসায় রয়েছে ভিবিন্ন ভিটামিন উপাদান । ভিটামিন-কে, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ফলিক এসিড, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের উত্তম উৎস। এছাড়াও রিবোফ্লাবিন, প্যান্টোথেনিকি এসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সালফার, সিলিকা এবং ভিটামিন-বি৬ আছে বেশি পরিমাণে। শসা থেকে খাদ্যআঁশ পাওয়া যায়। এতে আরো রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, কিউকারবিটাকিন্স, লিগনান্স এবং ফ্লাবোনয়েডস। শসাকে যেমন পুষ্টিকর সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, তেমনি ব্যবহার করা হয় রোগ নিরাময়ে। অনেক মোটা মানুষই তাদের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য নিয়ে খুবই অসুখী। অনেক চেষ্টা করেন নিজেদের স্বাস্থ্য কমিয়ে ফেলতে । তবে কোনভাবেই সফলতা পান নি। ব্যায়াম না করে শুধু শসা খেয়ে মাত্র ১৪ দিনে ১৫ পাউন্ট ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। শসা ভিটামিন এবং মিনারেল পরিপূর্ণ একটি সবজি যার প্রায় ৯৬ শতাংশই পানি। ১০০ গ্রাম শসায় খাদ্যআঁশ আছে আছে প্রায় ০.৬ গ্রাম, শর্করা ৩.৬১ গ্রাম এবং চিনি ১.৬৮ গ্রাম। এতে আরো রয়েছে ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস, কিউকারবিটাকিন্স, লিগানান্স এবং ফ্লাভোনয়েডস নামক উপাদান।
শসার উপকারিতা |
পানি শূন্যতা কমায়ঃ- শসায় রয়েছে প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি যেটি শরিরের পানির ঘাটতি পূরন করে থাকে। শসায় প্রচুর পানি থাকায় শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে মনকে প্রশান্ত করে তোলে। শসায় রয়েছে ফাইবার এবং ফ্লুয়িড সমৃদ্ধ উপাদান যা শরীরের ফাইবার এবং পানির পরিমাণ বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।
শরীর সুস্থ্য রাখতেঃ– এটি মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে থাকে। শরীরের জমানো ক্ষতিকর ও বিষাক্ত উপাদানগুলো অপসারণ করে রক্তকে পরিস্কার রাখে। শসা দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারন করে থাকে।
এসিডিটিন দূর করেঃ- শসা বুক জ্বালা, পাকস্থলীর এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে।
কোলেষ্টেরল কমায়ঃ- শসায় রয়েছে ষ্টরেল নামক এক ধরনের পাদার্থ যা কোলেষ্টেরল কমাতে সহায়তা করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর কলেঃ– শসায় রয়েছে এরেপসিন নামক এ্যানজাইম থাকার কারণে শসা হজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর কলে থাকে।
ডায়বেটিস দূর করেঃ– প্রতিদিন শসার জুস খেলে অ্যাকজিমা এবং গাউটে উপাকার পাওয়া যায়। এটি ডায়বেটিস দুর করতে সহায়ক।
এছাড়াও শসায়ঃ-
- চুল ও নখ সতেজ রাখতে সহায়তা করে থাকে।
- কিডনি সুস্থ রাখে।
- ত্বকবান্ধব খনিজের প্রচুর উৎস শসায় থাকায় এটি ত্বকের উপকার করে থাকে।
- শসা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে।
- মুখের অভ্যন্তরের জীবাণু ধ্বংস করে থাকে।
- শসায় শরিরের ভিটামিন শূন্যতা দূর করে থাকে।
- শসা বাত-ব্যথা প্রশমনের জন্য শসা ও গাজর একসঙ্গে জুস বানিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
- শসা হাত ও পায়ের নখ ভাঙ্গা প্রতিরোধ করে থাকে।
- শসা দাতের ও মাড়ির পাইরিয়ার রোগ দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
শসার পুষ্টিগুন শসার পুষ্টিগুন শসার পুষ্টিগুন
Pingback: পটলের উপকারিতা - সময়ের সংলাপ