ডলার রেট আবার বেড়েছে কেন?
গত কয়েক দিনে বাংলাদেশের বাজারে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার আবার উর্ধ্বমুখী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে এক ডলারের বিক্রয়মূল্য ১২২.৬০ থেকে ১২২.৭৫ টাকায় পৌঁছেছে। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই বাড়তির পেছনে রয়েছে একাধিক জটিল কারণ, যার ফলে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক সবাই সতর্ক হয়ে পড়েছে।
মূল কারণগুলো
-
আমদানি এলসি খোলার পরিমাণ বৃদ্ধি:
সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি লাইসেন্স খোলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে এলসি খোলা হয়েছে প্রায় ৬.৩ বিলিয়ন ডলারের, যা আগের মাসের তুলনায় বেশী। ফলে বিদেশি মুদ্রার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডলারের রেট বাড়ছে।
-
বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় পরিসরে ডলার ক্রয়:
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ~১২১.৮০ টাকায় বড় পরিমাণে ডলার কিনেছে। এই ধরনের ক্রয় বাজারে সংযোগবিহীন চাহিদা সৃষ্টির কারণে বিনিময় হার বাড়তে পারে।
-
বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহে সাময়িক সংকট ও চাহিদার বৃদ্ধি:
যদিও রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় কিছুটা বাড়ছে, তবে বাজারে মুদ্রার প্রবাহ ধীরগতি অনুভূত হচ্ছে। সরবরাহ ঠিক থাকে না, চাহিদার তুলনায় ঘাটতি রেট বাড়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
প্রভাব ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি
- ডলারের রেট বাড়লে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, পণ্য কারখানা ও খুচরা ব্যবসায়ীদের ব্যয় বাড়ে।
- মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে, যা শেষমেশ সাধারণ ভোক্তাদের উপর প্রভাব ফেলে।
- রপ্তানিকারীদের জন্য তুলনায় ভালো সুযোগ তৈরি হয়, কারণ বিদেশি মুদ্রায় আয় বাড়তে পারে।
“ডলারের রেট শুধুই একটি সংখ্যা নয়, এটি দেশের অর্থনীতির সংবেদনশীল দিক—যেখানে প্রতিটি টাকার ওঠানামা সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবনে জায়গা নেয়।”
উপসংহার
এই মুহূর্তে ডলারের রেট বাড়ার ঘটনা একটি সতর্কবার্তা যে, বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার বাজার এবং আমদানির ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের উচিত দ্রুত পরিকল্পনা করা, এবং সাধারণ ভোক্তাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।






