নারী কি শুধুই জাহান্নামের দরজা? — ইসলামে নারীর প্রকৃত মর্যাদা
শৈশব থেকে প্রচলিত ভুলধারণা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ইসলামের সত্যিকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও করণীয় নিয়ে বিশ্লেষণ।
প্রশ্নটি কেন জরুরি?
সমাজে অনেকেই ধারণা করে—নারী হলে আত্মেঁরাই দায়ী; ধর্ম থেকে বাহির করে নারীকে লজ্জিত করা হয়। কিন্তু এ ধরনের কথাবার্তা কেবল পুরনো কুসংস্কার ও ভুল ব্যাখ্যার ফল। আমরা যখন বলি “নারী কি জাহান্নামের দরজা?”, তখন আসলে বুঝতে চাই—ইসলাম নারীর সঙ্গে কিভাবে আচরণ করে এবং সমাজে নারীর কি স্থান।
ইসলামের বাণী: নারী-পুরুষ সমতুল্য ও সম্মানিত
কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে মানুষকে পুরুষ ও নারী উভয় থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছে — এবং মূল্যায়ন করা হবে তৎপরতার (তাকওয়া), ন্যায়ের ও আমলের ভিত্তিতে। (সূরা আল-হুজরাত:১৩ প্রসঙ্গ অনুযায়ী — ন্যাসিকী অনুবাদ)।
অর্থাৎ, নারীকে ছোট করে বলা বা তাকে দ্বিমত প্রকাশের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কোরআন-সুন্নাহর বিরোধী।
মায়ের মর্যাদা — জান্নাতের কাছাকাছি
রাসূলুল্লাহ (সা.): “তোমার মায়ের পায়ের নিচেই তোমার জান্নাত।” (সহিহ হাদিস দ্বারা বর্ণিত)
এই হাদিস স্পষ্টভাবে জানায়—মা-অভিভাবক হিসেবে নারীর মর্যাদা অপরিসীম। মা-দায়ের সেবা ও সম্মান ইসলামে সবচেয়ে বড় কর্তব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।
সন্তান প্রসব কষ্টে প্রাণ হারানো — শহীদার মর্যাদা
হাদিসে উল্লেখ আছে যে, যে নারী সন্তান প্রসবের কষ্টে জীবন হারান, তাকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়। এটা সেই নারীকে সম্মান প্রদর্শন, কারণ তিনি একটি নতুন জীবন-দানের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন।
এখানে লক্ষ্যণীয় যে, ইসলামে পুরুষ-নারীর মাঝে এমন কোন একপাক্ষিক মর্যাদা নেই যা অন্যকে ছোট দেখায়; বরং ত্যাগ ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী মর্যাদা নির্ধারিত।
কোন কারণে ‘নারীর সংখ্যা অধিক জাহান্নামে’—ব্যাখ্যা
কিছু হাদিসে মেরাজের বিবরণে জাহান্নামের প্রবেশকারীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি দেখার বিষয়টি এসেছে। শাস্ত্র-বিশ্লেষকরা এটিকে ক্রুটি/ত্রুটির দিক থেকে না দেখে, তা মানবীয় আচরণগত কারণ—যেমন কৃতকর্মহীনতা, অধিকার লঙ্ঘন, অবজ্ঞা—এর সঙ্গে সংযুক্ত করে ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থাৎ, নারীর পরিচয় নয় নির্দিষ্ট কর্মকেই বিচার করা হবে।
ইসলাম নারীর জন্য প্রদত্ত মৌলিক অধিকারসমূহ
- শিক্ষা গ্রহণের অধিকার
- সম্পত্তি ও ব্যবসা করার অধিকার
- আদালত ও বিচারে অংশগ্রহণের অধিকার
- আদর্শ ভালো আচরণের অধিকার — সমান মরিয়াদা আলাপ-আলোচনা
এই অধিকারগুলো কেবল তাত্ত্বিক নয়—ইসলামের প্রথম যুগ থেকেই বাস্তবে প্রয়োগের নির্দেশ আছে।
সমাজে করণীয়: ভ্রান্ত ধারণা দূর করার উপায়
- ধর্মীয় শিক্ষায় সঠিক কুরআন-হাদিস ব্যাখ্যা প্রচার করা।
- স্কুল-কলেজে লিঙ্গসমকক্ষতা ও নারীর অধিকার বিষয়ক পাঠসূচী জোরদার করা।
- ধর্মীয় বক্তৃতা ও মিডিয়া কনটেন্টে নারীর সম্মান প্রতিষ্ঠা করা।
- পারিবারিক স্তরে সন্তানদের মধ্যে নারী-পুরুষ সম্মানের শিক্ষা প্রদান।
সংক্ষিপ্ত উপসংহার
নfest করেই বলা যায়—নারী কখনই শুধুই জাহান্নামের দরজা নয়। ইসলাম নারীর মর্যাদা ও অধিকারের উপর জোর দেয়। নারীর ত্যাগ, মা-স্বভাব ও নৈতিক অবদান তাকে সমাজে সম্মানিত করে। ভুল ব্যাখ্যা ও পূর্বাগ্রহকে চ্যালেঞ্জ করে ইসলামের আসল শিক্ষা ফিরিয়ে আনাই আমাদের দায়িত্ব।
আজ ঘরে ঘরে ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস: বিষাক্ত খাদ্যের ভয়াবহ বাস্তবতা”কারণ:





