Lifestyle

ভ্যাবিচারের ধরন

Spread the love

ভ্যাবিচারের ধরন

অবাধ যৌনাচার, জেনা-ব্যভিচার মানুষকে তার ঈমান থেকে বের করে দেয়। এটি বড় গুনাহসমূহের মধ্যে একটি। জেনা-ব্যভিচারকে অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিন্তু এ জেনা-ব্যভিচার থেকে বাঁচার উপায় কী?

জেনা-ব্যভিচার মারাত্মক অপরাধ। যে কারণে ব্যভিচারের সময় মানুষের মাঝে ঈমান অবস্থান করে না। এ সম্পর্কে কোরআন-সুন্নায় সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।’
(সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৩২)

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে ঘোষণা করেন-
‘যখন কোন মানুষ ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন তার থেকে ঈমান বের হয়ে যায়। ঈমান তার মাথার উপর ছায়ার মত অবস্থান করে; যখন সে বিরত হয় তখন ঈমান আবার ফিরে আসে।’ (তিরমিজি)

ব্যভিচারের ধরনঃ

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে জেনা-ব্যভিচারের ধরনও উল্লেখ করেছেন। যাতে মানুষ সব ধরণের জেনা-ব্যভিচার থেকে মুক্ত থাকতে পারে। তাহলো-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আদম সন্তানের উপর ব্যভিচারের কিছু অংশ লিপিবদ্ধ হয়েছে; সে অবশ্যই তার মধ্যে লিপ্ত হবে। (তাহলো)-
১. দুই চোখের ব্যভিচার হল দৃষ্টি;
২. আর তার দুই কানের ব্যভিচার শ্রবণ;
৩. মুখের ব্যভিচার হল কথা বলা;
৪. হাতের ব্যভিচার হল স্পর্শ করা এবং
৫. পায়ের ব্যভিচার হল পদক্ষেপ আর
৬. অন্তরে ব্যভিচারের আশা ও ইচ্ছার সঞ্চার হয়, অবশেষে লজ্জাস্থান একে সত্যে অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।’ (মুসলিম)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *