গ্যাস ও অ্যাসিডিটির প্রধান কারণ এবং তা থেকে মুক্তির উপায়

গ্যাস ও অ্যাসিডিটির প্রধান কারণ এবং তা থেকে মুক্তির উপায় লিখেছেন: সময়ের সংলাপ স্বাস্থ্য ডেস্ক আপনি কি প্রায়ই পেট ফাঁপা, অম্বল বা বুক জ্বালাপোড়ায় ভোগেন? জেনে নিন গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মূল কারণ এবং ঘরোয়া কার্যকর সমাধান। গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মূল কারণসমূহ গ্যাস ও অ্যাসিডিটি এখন ঘরে ঘরে একটি সাধারণ সমস্যা। এর পেছনে রয়েছে অনিয়মিত জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপ। নিচে বিস্তারিতভাবে কারণগুলো তুলে ধরা হলো: ১️⃣ খাদ্যাভ্যাসজনিত কারণ তেল ও মশলাদার খাবার: অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত, ভাজাপোড়া এবং বেশি মশলাযুক্ত খাবার পাকস্থলীতে অ্যাসিডের নিঃসরণ বাড়ায়। অ্যাসিডিক পানীয়: চা, কফি, কোলা বা কার্বনেটেড ড্রিঙ্ক নিয়মিত পান করলে পাকস্থলীতে অম্লতা বৃদ্ধি পায়। নির্দিষ্ট সবজি: ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, মটরশুঁটি এবং কিছু ডাল জাতীয় খাবার অনেকের পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে। দ্রুত খাওয়া: তাড়াহুড়ো করে বা কথা বলতে বলতে খাবার খেলে খাবারের সাথে বাতাস পেটে ঢোকে, যা গ্যাস তৈরি করে। ২️⃣ জীবনযাত্রা ও অভ্যাসজনিত কারণ অনিয়মিত খাবার: দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকা বা অসময়ে খাবার খেলে অ্যাসিড তৈরি হয়। ধূমপান ও মদ্যপান: হজমতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা নষ্ট করে এবং পাকস্থলীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। শারীরিক পরিশ্রমের অভাব: বসে থাকা জীবনধারা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। মানসিক চাপ: অতিরিক্ত উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি করে। খাওয়ার পর পরই শুয়ে পড়া: এতে পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ফিরে আসে, ফলে বুক জ্বালাপোড়া হয়। গ্যাস ও অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির উপকারী খাবার সঠিক খাবার বেছে নিলে গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। নিচে কিছু কার্যকর খাবার ও প্রাকৃতিক উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো: ১️⃣ কম অ্যাসিডযুক্ত ফল কলা: প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে, পেটে জ্বালাপোড়া কমায়। তরমুজ ও শসা: জলের পরিমাণ বেশি থাকায় পাকস্থলীর অ্যাসিডকে লঘু করতে সাহায্য করে। পেঁপে: এতে থাকা ‘পাপাইন’ এনজাইম হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস কমায়। আপেল: উচ্চ ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমে সহায়ক। ২️⃣ প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপাদান আদা: হজমের এনজাইম সক্রিয় করে, গ্যাস ও প্রদাহ কমায়। জিরা: গরম জলে জিরা ফোটানো পানি পান করলে দ্রুত আরাম মেলে। পুদিনা: হজমতন্ত্রকে ঠাণ্ডা রাখে, বমি ভাব ও গ্যাস কমায়। মেথি: রাতে ভিজানো মেথি জল খালি পেটে খেলে অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৩️⃣ অন্যান্য উপকারী খাবার ঠাণ্ডা দুধ (ফ্যাট ছাড়া): পাকস্থলীর অ্যাসিড নিরপেক্ষ করে তাৎক্ষণিক আরাম দেয়। টক দই: এতে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া হজমশক্তি বাড়ায় ও গ্যাস প্রতিরোধ করে। ওটমিল ও গোটা শস্য: উচ্চ ফাইবার পাকস্থলীর অ্যাসিড শোষণ করে হজমে…

Read more

নারী কি শুধুই জাহান্নামের দরজা? — ইসলামে নারীর প্রকৃত মর্যাদা

নারী কি শুধুই জাহান্নামের দরজা? — ইসলামে নারীর প্রকৃত মর্যাদা নারী কি শুধুই জাহান্নামের দরজা? — ইসলামে নারীর প্রকৃত মর্যাদা শৈশব থেকে প্রচলিত ভুলধারণা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ইসলামের সত্যিকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও করণীয় নিয়ে বিশ্লেষণ। ইসলামে নারীর মর্যাদা: মা, স্ত্রী ও কন্যা—প্রতিটি ভূমিকায় সম্মান ও অধিকার আছে। প্রশ্নটি কেন জরুরি? সমাজে অনেকেই ধারণা করে—নারী হলে আত্মেঁরাই দায়ী; ধর্ম থেকে বাহির করে নারীকে লজ্জিত করা হয়। কিন্তু এ ধরনের কথাবার্তা কেবল পুরনো কুসংস্কার ও ভুল ব্যাখ্যার ফল। আমরা যখন বলি “নারী কি জাহান্নামের দরজা?”, তখন আসলে বুঝতে চাই—ইসলাম নারীর সঙ্গে কিভাবে আচরণ করে এবং সমাজে নারীর কি স্থান। ইসলামের বাণী: নারী-পুরুষ সমতুল্য ও সম্মানিত কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে মানুষকে পুরুষ ও নারী উভয় থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছে — এবং মূল্যায়ন করা হবে তৎপরতার (তাকওয়া), ন্যায়ের ও আমলের ভিত্তিতে। (সূরা আল-হুজরাত:১৩ প্রসঙ্গ অনুযায়ী — ন্যাসিকী অনুবাদ)। অর্থাৎ, নারীকে ছোট করে বলা বা তাকে দ্বিমত প্রকাশের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কোরআন-সুন্নাহর বিরোধী। মায়ের মর্যাদা — জান্নাতের কাছাকাছি রাসূলুল্লাহ (সা.): “তোমার মায়ের পায়ের নিচেই তোমার জান্নাত।” (সহিহ হাদিস দ্বারা বর্ণিত) এই হাদিস স্পষ্টভাবে জানায়—মা-অভিভাবক হিসেবে নারীর মর্যাদা অপরিসীম। মা-দায়ের সেবা ও সম্মান ইসলামে সবচেয়ে বড় কর্তব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। সন্তান প্রসব কষ্টে প্রাণ হারানো — শহীদার মর্যাদা হাদিসে উল্লেখ আছে যে, যে নারী সন্তান প্রসবের কষ্টে জীবন হারান, তাকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়। এটা সেই নারীকে সম্মান প্রদর্শন, কারণ তিনি একটি নতুন জীবন-দানের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন। এখানে লক্ষ্যণীয় যে, ইসলামে পুরুষ-নারীর মাঝে এমন কোন একপাক্ষিক মর্যাদা নেই যা অন্যকে ছোট দেখায়; বরং ত্যাগ ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী মর্যাদা নির্ধারিত। কোন কারণে ‘নারীর সংখ্যা অধিক জাহান্নামে’—ব্যাখ্যা কিছু হাদিসে মেরাজের বিবরণে জাহান্নামের প্রবেশকারীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি দেখার বিষয়টি এসেছে। শাস্ত্র-বিশ্লেষকরা এটিকে ক্রুটি/ত্রুটির দিক থেকে না দেখে, তা মানবীয় আচরণগত কারণ—যেমন কৃতকর্মহীনতা, অধিকার লঙ্ঘন, অবজ্ঞা—এর সঙ্গে সংযুক্ত করে ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থাৎ, নারীর পরিচয় নয় নির্দিষ্ট কর্মকেই বিচার করা হবে। ইসলাম নারীর জন্য প্রদত্ত মৌলিক অধিকারসমূহ শিক্ষা গ্রহণের অধিকার সম্পত্তি ও ব্যবসা করার অধিকার আদালত ও বিচারে অংশগ্রহণের অধিকার আদর্শ ভালো আচরণের অধিকার — সমান মরিয়াদা আলাপ-আলোচনা এই অধিকারগুলো কেবল তাত্ত্বিক নয়—ইসলামের প্রথম যুগ থেকেই বাস্তবে প্রয়োগের নির্দেশ আছে। সমাজে করণীয়: ভ্রান্ত ধারণা দূর করার উপায় ধর্মীয় শিক্ষায় সঠিক কুরআন-হাদিস ব্যাখ্যা প্রচার করা। স্কুল-কলেজে লিঙ্গসমকক্ষতা ও নারীর অধিকার বিষয়ক পাঠসূচী জোরদার করা। ধর্মীয় বক্তৃতা ও মিডিয়া…

Read more

ইমরান খান ও জেমিমা খানের মানবিক বিচ্ছেদ: সন্তানের কল্যাণে উদাহরণ

ইমরান খান ও জেমিমা খানের মানবিক বিচ্ছেদ: সন্তানের কল্যাণের জন্য উদাহরণ ইমরান খান ও জেমিমা খানের মানবিক বিচ্ছেদ: সন্তানের কল্যাণে উদাহরণ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী জেমিমা খান-এর বিবাহ বিচ্ছেদ কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং মানবিক ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বহন করে। বিচ্ছেদের প্রেক্ষাপট কোর্টের বিচারক ঘোষণা করেছিলেন, জেমিমার সম্পত্তির অর্ধেক — প্রায় ১২ হাজার কোটি পাউন্ড — ইমরান খান পাবেন। কিন্তু ইমরান খান স্পষ্টভাবে উত্তর দেন, “আমার এর দরকার নেই।” এই মনোভাব বিচারককেও মুগ্ধ করে। বিচ্ছেদের কারণ জেমিমা পাকিস্তানে বসবাস করতে চান না, কারণ দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ কলুষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি জানান, নওয়াজ শরিফ সরকার তাকে স্মাগলিং মামলায় ফাঁসিয়েছে। ইমরান খান পাকিস্তানের জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চান, তাই লন্ডনে থাকা তার পক্ষে সম্ভব নয়। সন্তানদের হেফাজত বিচারক পরামর্শ দেন, সন্তানদের কোথায় রাখা হবে। ইমরান খান সন্তানের মায়ের সঙ্গে থাকার পক্ষে সানন্দে রাজি হন এবং বলেন, “জেমিমা অত্যন্ত চমৎকার মা। সন্তানদের তার কাছেই থাকা উচিত।” বিচ্ছেদের সামাজিক ও মানবিক শিক্ষা সম্পত্তি বা অর্থের লড়াই নয়, পারস্পরিক সম্মান ও নৈতিকতা প্রধান বিষয়। সন্তানের কল্যাণ সর্বোচ্চ প্রাধান্য পায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম যেমন BBC, Al Jazeera, The Guardian বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছে। বিবাহ বিচ্ছেদ সঠিকভাবে এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে করা সম্ভব। উপসংহার ইমরান খান এবং জেমিমার উদাহরণ আমাদের শেখায়, বিবাহ বিচ্ছেদে শুধুমাত্র আবেগ নয়, বিবেক ও ন্যায়ের দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করা উচিত। সন্তানের কল্যাণ, পারস্পরিক সম্মান এবং নৈতিকতার ভিত্তিতে বিচ্ছেদ করা সম্ভব। আপনার বন্ধু ও পরিবারকে শেয়ার করুন, যাতে মানবিক বিচ্ছেদ এবং নৈতিক সিদ্ধান্তের গুরুত্ব বোঝা যায়। ইমরান খান ও জেমিমা খান – মানবিক বিচ্ছেদের গল্প রাতে ঘুমানোর আগে পানি পানের উপকারিতা

Read more

মৌমাছির বিষে স্তন ক্যান্সার ধ্বংস? মেলিটিনের বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা ও সতর্কতা

মৌমাছির বিষে স্তন ক্যান্সার ধ্বংস? মেলিটিনের বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা ও সতর্কতা মৌমাছির বিষে স্তন ক্যান্সার ধ্বংস? মেলিটিনের বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা ও সতর্কতা প্রকৃতির এক ছোট্ট উপাদান—মৌমাছির বিষের মেলিটিন—কীভাবে ক্যান্সার গবেষণায় আশার আলো দেখাচ্ছে, জানুন বৈজ্ঞানিক ফলাফল ও সীমাবদ্ধতা। মেলিটিন: মৌমাছির বিষের সক্রিয় উপাদান — স্তন ক্যান্সার কোষে গবেষণা চলছে। সংক্ষিপ্তভূমিকা সম্প্রতি ল্যাবরেটরি-ভিত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে, মৌমাছির বিষে থাকা মেলিটিন নামের পেপটাইড কিছু আগ্রাসী স্তন ক্যান্সার কোষকে দ্রুত প্রভাবিত করতে সক্ষম। এতে বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যৎ থেরাপির সম্ভাবনা হিসেবে আগ্রহী হলেও মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহারের পথে এখনও গুরুত্বপুর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি রয়েছে। 🔬 মেলিটিন কি এবং কীভাবে কাজ করে? মেলিটিন হলো মৌমাছির বিষের একটি প্রধান পেপটাইড; এটি মৌবিষের একটি বড় অংশ গঠনে সহায়ক। এটি ক্যান্সার কোষের বাইরের ঝিল্লায় ছিদ্র সৃষ্টি করে (pore-formation), ফলে কোষ ঝলসে বা লিজিস হয়ে যায়। মেলিটিন নির্দিষ্ট সিগন্যালিং পথ (যেমন EGFR/HER2-সম্পর্কিত পথ)কে বাধাগ্রস্ত করে, যা টিউমার বৃদ্ধিকে বাধা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে কিছু ট্রিপল-নেগেটিভ ও HER2-পজিটিভ কোষ মেলিটিনে অত্যন্ত সংবেদনশীল। 📌 গবেষণার মূল ফলাফল (সংক্ষেপ) ইন-ভিট্রো (কোষ-সংস্কৃতি) পরীক্ষায় মেলিটিন দ্রুত ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করেছে। কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে সময় মাত্র এক ঘণ্টার আশপাশে উল্লেখযোগ্য কোষমৃত্যু ঘটেছে—বুকেস্ট-কোষে দ্রুত প্রভাব। শুরুর ধাপে মেলিটিন সুস্থ কোষের ওপর তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর প্রভাব দেখিয়েছে, তবে বিস্তারিত নিরাপত্তা মূল্যায়ন প্রয়োজন। নির্দিষ্ট ডেলিভারি পদ্ধতি (যেমন ন্যানো-ক্যারিয়ার) ব্যবহার করে মেলিটিনকে ক্যান্সার টিস্যুতে সুনির্দিষ্টভাবে পৌঁছে দেয়ার গবেষণা চলছে। 🌿 ইতিহাস ও প্রাকৃতিক প্রয়োগ মৌমাছির বিষ ও প্রোপোলিস বা মধু সহ বিভিন্ন মৌপণ্য বহু শতাব্দী ধরে ব্যথা কমানো, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষতনিরাময়ে ব্যবহার হয়েছে। আধুনিক গবেষণা এই ঐতিহ্যকে বৈজ্ঞানিকভাবে যাচাই করার চেষ্টা করছে। ⚠️ সতর্কতা: কেন এখনই আত্মনির্ভর চিকিৎসা নয়? গুরুত্বপূর্ণ: মেলিটিন-ভিত্তিক ফলাফলগুলো এখনো প্রধানত ল্যাবরেটরি (in vitro) এবং প্রাণী-মডেল পর্যায়ে। মানুষের ওপর নিরাপদভাবে ব্যবহার করার জন্য পর্যাপ্ত ক্লিনিকাল পরীক্ষা, ডোজ নির্ধারণ ও সাইড-এফেক্ট মূল্যায়ন প্রয়োজন। মৌমাছির বিষে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন (কিছু ক্ষেত্রে প্রাণনাশক অ্যানাফাইল্যাক্সি) ঘটতে পারে—নিজে নিজে প্রয়োগ করা বিপজ্জনক। ডেলিভারি পদ্ধতি না থাকলে মেলিটিন সুস্থ কোষকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মানুষের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর থেরাপি হিসেবে গ্রহণ করার আগে বহু ধাপের ক্লিনিকাল ট্রায়াল দরকার। 🔭 ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও গবেষণার দিক বিজ্ঞানীরা এখন লক্ষ করছেন—কীভাবে মেলিটিনকে ক্যান্সার টিস্যুতে সুনির্দিষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, এবং কীভাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ন্যূনতম রাখা যায়। সম্ভাব্য পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে: ন্যানো-ক্যারিয়ার বা লিপোজোমাল সিস্টেম ব্যবহার করে লক্ষ্যভিত্তিক ডেলিভারি। মেলিটিন-অনুকরণ বা সংশোধিত পেপটাইড যা কম টক্সিক এবং বেশি স্থিতিশীল। মেলিটিনকে…

Read more

আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান ও তার স্ত্রীকে ঘিরে ভুল ধারণা: আমাদের জন্য শিক্ষণীয় দিক

🕌 আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান ও তার স্ত্রীকে ঘিরে ভুল ধারণা: আমাদের জন্য শিক্ষণীয় দিক বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান — যিনি তার প্রজ্ঞা, বিনয় ও আলোকিত চিন্তাধারার জন্য বহু মানুষের প্রিয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু ভ্রান্ত তথ্য, বিভ্রান্তিকর প্রচারণা ও হলুদ সাংবাদিকতার অপপ্রচার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি শুধু একটি পরিবারের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নয় — বরং এটি সমাজে সত্য যাচাই, নৈতিকতা ও ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার এক বড় উদাহরণ। 🕋 বাস্তব ঘটনা: আসলে কী হয়েছিল? আবু ত্বহার বর্তমান স্ত্রী তার প্রথম স্বামীর কাছ থেকে আইনগতভাবে তালাকপ্রাপ্ত হন। সেই সংসারে তার দুইটি সন্তানও ছিল। পরে তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন, কিন্তু দ্বিতীয় স্বামীও তালাক দেন। এরপরই আবু ত্বহা ইসলামী দায়িত্ববোধ থেকে তাকে বিয়ে করেন এবং তার ও সন্তানদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে অনেকে ভুলভাবে ধরে নিয়েছিলেন যে, তিনি নাকি প্রথম স্বামী ও সন্তানদের ছেড়ে আবু ত্বহাকে বিয়ে করেছেন। বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো — তিনি ইতিমধ্যে দুইবার তালাকপ্রাপ্ত ছিলেন এবং এরপরই আবু ত্বহার সঙ্গে বিয়ে হয়। 💡 এখান থেকে আমাদের যে শিক্ষা নেওয়া উচিত “তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করা ইসলামে কোনো অপরাধ নয়। বরং এটি একটি উত্তম ও মহান আমল, যদি উদ্দেশ্য হয় দায়িত্ব নেওয়া ও কল্যাণ সাধন।” — ইসলামী শিক্ষার আলোকে তালাকপ্রাপ্ত নারী সমাজে অনেক সময় অবজ্ঞা ও কটুক্তির শিকার হন। অথচ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে, তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা নারীকে সম্মানজনকভাবে বিয়ে করা একটি সওয়াবের কাজ। ⚖️ ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ে করা বৈধ ও সম্মানজনক। অতীতের জন্য কাউকে ছোট করা ইসলামে নিষিদ্ধ। বিয়ের আগে উভয়েরই উচিত একে অপরের অতীত ও মানসিক অবস্থা জানা। মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও গীবত করা বড় গুনাহ। সামাজিক মাধ্যমে কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা গোপনীয়তার লঙ্ঘন। 🔍 বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে আজকাল কিছু মানুষ জনপ্রিয় ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের নাম ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতে চায়। তারা ব্যক্তিগত সম্পর্ককে বিতর্ক ও ক্লিকবেইট কন্টেন্টে পরিণত করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শুধু ব্যক্তি নয়, বরং পুরো দ্বীনের ভাবমূর্তি। একজন আলেম বা দাঈ ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাই তার সম্পর্কে অযাচিত মন্তব্য করা ইসলামী দৃষ্টিতে মারাত্মক দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। 🌿 ইসলাম যা শিখিয়েছে “হে মুমিনগণ, অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাকো। নিশ্চয় কিছু ধারণা গুনাহ।” — (সূরা আল-হুজরাত, আয়াত ১২) অর্থাৎ, যাচাই ছাড়া কোনো তথ্য বিশ্বাস বা প্রচার করা একজন মুসলমানের জন্য গুনাহ।…

Read more

স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়াই বাপের বাড়িতে গেলে ভরণপোষণ কী হবে?

স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়াই বাপের বাড়িতে গেলে ভরণপোষণ কী হবে? স্ত্রী যদি স্বামীর অনুমতি ছাড়াই বাপের বাড়িতে উঠে যায়, স্বামী অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও সমস্যা সমাধান হয় না। এমন পরিস্থিতিতে স্বামী প্রায়ই প্রশ্ন করেন: “আইন কি বলে? স্ত্রী নিজ ইচ্ছায় অন্যত্র থাকলেও কি আমাকে ভরণপোষণ দিতে হবে?” বাংলাদেশে মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১ অনুযায়ী, স্বামীকে তার স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে কিছু শর্তে স্ত্রী আলাদা থাকলেও ভরণপোষণ পেতে পারে বা হারাতে পারে। স্ত্রীর ভরণপোষণের অধিকার স্বামী তার স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিতে বাধ্য, স্ত্রীও এটি পাওয়ার হকদার। যদি স্বামী খারাপ ব্যবহার করে, গৃহত্যাগের নির্দেশ দেয় বা বিরোধ তৈরি হয়, তখন স্ত্রী ভিন্ন স্থানে থাকলেও ভরণপোষণ দাবি করতে পারে। দেনমোহর দাবি করলে, স্বামী পরিশোধ না করলে স্ত্রী ভিন্ন স্থানে বসবাস করলেও ভরণপোষণ পাবেন। (মো. ইব্রাহিম হোসেন সরকার বনাম মোসা. সোলেমান্নেসা, ১৯৬৭, ১৯ ডি এল আর ৭৫১) ভরণপোষণ না পাবার শর্ত স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়াই তার গৃহ ত্যাগ করলে। বন্দিদশায় থাকলে (স্বামীও বন্দিদশায় থাকলে প্রভাব নেই)। ধর্মত্যাগ করলে। অবাধ্য আচরণে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে। স্বামীর মৃত্যু ও ইদ্দতের সময় বিশেষ শর্তে ভরণপোষণ সীমিত হতে পারে। অপরাধমূলক বা অসঙ্গত কারণে গৃহ ত্যাগ করলে। অপহরণ করা হলে বা জোর করে ভরণপোষণ প্রার্থনা করলে পায় না। ভরণপোষণের পরিমাণ ভরণপোষণের পরিমাণ স্বামী-স্ত্রীর আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। অনেক নিকাহনামায় নির্দিষ্ট মাসিক পরিমাণ উল্লেখ থাকে। সাধারণত, স্বামীর আয় ও সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী এটি নির্ধারণ করা হয়। দ্রষ্টব্য: যদি আপনি আইন সংক্রান্ত জটিলতার সম্মুখীন হন, অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন। ইনবক্সে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনে বিস্তারিত সমাধান দেয়া সম্ভব। অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভরণপোষণ শুধুমাত্র খাদ্য নয়, বাসস্থান ও পোশাকের জন্যও দিতে হবে। স্ত্রী যদি সন্তানের কেয়ার করতে থাকে, ভরণপোষণ বাড়ানো যেতে পারে। ভরণপোষণ মাসিক দেওয়া হয়, সাধারণত নগদ বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে। কোর্টে মামলা হলে, স্বামীকে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যাকপেমেন্টও দিতে হতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেমন শরণার্থী বা বিদেশে অবস্থানরত স্ত্রী, বাংলাদেশি আইন প্রয়োগ সীমিত, কিন্তু মূল নীতি সমান। উপসংহার বাংলাদেশের আইন স্পষ্টভাবে বলে: স্বামী তার স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিতে বাধ্য, তবে নির্দিষ্ট শর্ত ও অবাধ্য আচরণের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। এটি আমাদের দেশে দম্পতিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিষয়। সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজন হলে আইনগত সহায়তা নিন। 🔹 CTA: আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে এই তথ্য শেয়ার করুন, যাতে তারা আইনি সচেতনতা অর্জন করে। রাতে ঘুমানোর আগে পানি পানের উপকারিতা

Read more

মৌমাছির বিস্ময়কর আচরণ ও কুরআনের আলোকে মধুর রহস্য

মৌমাছির বিস্ময়কর আচরণ ও কুরআনের আলোকে মধুর রহস্য | প্রাকৃতিক শিফা ও শিক্ষা 🐝 মৌমাছির বিস্ময়কর আচরণ ও কুরআনের আলোকে মধুর রহস্য মধুর গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে, যদি একটি ছোট প্রাণী যেমন ইঁদুর বা গিরগিটি ভুলবশত একটি মৌচাকে প্রবেশ করে, মৌমাছিরা সঙ্গে সঙ্গে চরম আক্রমণাত্মকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা একযোগে আক্রমণ করে অনুপ্রবেশকারী প্রাণীটিকে হত্যা করে ফেলে। 🧩 প্রোপোলিস: প্রকৃতির জীবাণুনাশক ঢাল প্রাণীটি মারা গেলে, সেটিকে সরানো সম্ভব না হলে মৌমাছিরা “প্রোপোলিস” নামের এক বিশেষ পদার্থ দিয়ে মৃতদেহ সম্পূর্ণভাবে ঢেকে ফেলে। এটি একধরনের রেজিনজাতীয় প্রাকৃতিক যৌগ, যা মৌমাছিরা গাছের কুঁড়ি ও ছাল থেকে সংগ্রহ করে। 🦠 এটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্যযুক্ত। 💧 এটি আর্দ্রতা প্রতিরোধ করে। 🌿 দুর্গন্ধ নিস্তেজ করে ও মৃত টিস্যু শুকিয়ে দেয়। এর ফলে মৃত প্রাণীর দেহ পচে না, বরং শুকিয়ে কঙ্কালে পরিণত হয়, যা মৌচাকের অভ্যন্তরীণ পরিবেশকে পরিষ্কার রাখে। এটি প্রকৃতির এক অসাধারণ স্যানিটেশন ব্যবস্থা। “প্রোপোলিস হলো প্রকৃতির তৈরি জীবাণুনাশক—যা মানুষের ওষুধ গবেষণাতেও এখন ব্যবহৃত হচ্ছে।” 🌸 সূরা আন-নাহল: কুরআনের মৌমাছির আয়াত পবিত্র কুরআনের সূরা আন-নাহল (সূরা ১৬) বা “মৌমাছি” সূরায় আল্লাহ বলেন— “আর তোমার রব মৌমাছিকে ওহি করেছেন যে, পাহাড়ে, বৃক্ষে এবং মানুষ যে উঁচু চালে ঘর তৈরি করে, তাতে তুমি ঘর তৈরি করো। তারপর ফল থেকে আহার করো এবং তোমার রবের নির্ধারিত পথগুলো অনুসরণ করো। তাদের পেট থেকে বিভিন্ন রঙের পানীয় নির্গত হয়, যাতে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য।” — (সূরা আন-নাহল, আয়াত ৬৮-৬৯) 🔎 মৌমাছির আচরণ থেকে শিক্ষা পরিশ্রম ও সততা: মৌমাছি বিশুদ্ধ ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে—যা আমাদের শেখায়, জীবনে বিশুদ্ধতা ও পরিশ্রমের মূল্য। দলবদ্ধতা ও ঐক্য: প্রতিটি মৌমাছি সমাজের জন্য নির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করে। এটি সমাজে ঐক্য ও সহযোগিতার দৃষ্টান্ত। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: মৃত প্রাণীকে প্রোপোলিস দিয়ে ঢেকে ফেলার মাধ্যমে মৌমাছি আমাদের শেখায় জীবনে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। 🍯 মধুর শিফা ও বৈজ্ঞানিক স্বীকৃতি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও এখন স্বীকার করেছে—মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এতে রয়েছে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষ রক্ষা করে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান ক্ষত নিরাময় ও ত্বক পরিচর্যায় কার্যকর গলা ব্যথা, ঠান্ডা ও কাশি উপশমে প্রাকৃতিক ঔষধ 📖 ইসলামে মৌমাছির বিশেষ মর্যাদা কুরআনের একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা মৌমাছির নামে নামকরণ—এটি আল্লাহর সৃষ্টির নিদর্শনের প্রতীক। ক্ষুদ্র হলেও মৌমাছিরা আমাদের শেখায় কিভাবে পরিশ্রম, সংগঠন ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখা যায়। 🌼 উপসংহার মৌমাছিরা শুধু মধু উৎপাদনই করে না, তারা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের…

Read more

পে কমিশন প্রস্তাবে সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার টাকা

পে কমিশন প্রস্তাবে সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার টাকা বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাবটি পে কমিশনে জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই কমিশনে জমা দেওয়া হবে। নতুন বেতন কাঠামোর প্রস্তাবনা এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “একজন মানুষের জীবনধারণের জন্য পরিবারের চারজন সদস্যসহ ন্যূনতম জীবন-জীবিকার যোগ্য বেতন দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। এটি বিলাসী জীবনযাপনের জন্য নয়, মানবিক জীবনযাপনের জন্য।” সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই বেতন কাঠামোয় সর্বনিম্ন বেতন ২৫ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি এই প্রস্তাব পে কমিশনে জমা দিয়েছে। বেতন কাঠামোর গুরুত্ব বেতন কাঠামো কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি ন্যায্য বেতন কাঠামো কর্মচারীদের মনোবল বৃদ্ধি করে এবং তাদের কর্মক্ষমতা উন্নত করে। এছাড়াও, এটি কর্মচারীদের সন্তুষ্টি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য বাড়াতে সহায়ক হয়। সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব যদি বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়, তবে তা সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কর্মচারীরা তাদের পরিবারের জন্য ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারবে, যা তাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও, এটি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতিক্রিয়া এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর আরও বলেন, “আমরা চাইব সরকারি-বেসরকারিভাবে না দেখে নাগরিকের মানবিক মর্যাদার দিক দেখতে। তার স্বাভাবিক জীবন-জীবিকার জন্য যে ন্যূনতম যে টাকা দরকার সেটা তাকে দিতে হবে। সেটা না হলে বৈষম্য হবে, দুর্নীতি বাড়বে।” উপসংহার বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের জন্য একটি ন্যায্য বেতন কাঠামো প্রণয়ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

Read more

দিনে অসংখ্য ইমেইল পাঠানো হয়, কিন্তু কার্যকর হয় মাত্র কয়েকটা এর কারন কি?

দিনে অসংখ্য ইমেইল পাঠানো হয়, কিন্তু কার্যকর হয় মাত্র কয়েকটা আজকের ডিজিটাল যুগে ইমেইল হলো যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, ফ্রিল্যান্সার বা সাধারণ মানুষ—সবারই প্রতিদিন অসংখ্য ইমেইল পাঠানো হয়। তবে চমকপ্রদ হলেও সত্যি হলো, পাঠানো ইমেইলের মধ্যে কার্যকর বা রেসপন্স পাওয়া যায় শুধুমাত্র কয়েকটিতে। এটি শুধু ইমেইল মার্কেটিংয়ের সমস্যা নয়, বরং ব্যক্তিগত যোগাযোগেও প্রযোজ্য। ১️⃣ বিষয়বস্তু ও টার্গেট অমিল ইমেইলের কার্যকারিতা মূলত প্রাপকের প্রয়োজন এবং আগ্রহের সাথে মিল রেখে নির্ধারিত হয়। যদি বিষয়বস্তু প্রাসঙ্গিক না হয়, ইমেইল প্রায়ই উপেক্ষিত হয়। ২️⃣ সাবজেক্ট লাইনের প্রভাব ইমেইল খোলার সিদ্ধান্ত প্রাথমিকভাবে সাবজেক্ট লাইনের ওপর নির্ভর করে। স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত এবং আগ্রহ উদ্রেককারী সাবজেক্ট লাইন ইমেইল ওপেন রেট বাড়ায়। ৩️⃣ ব্যক্তিগতকরণ এবং প্রাসঙ্গিকতা প্রাপক যদি মনে করে ইমেইলটি সাধারণ বা স্প্যামধর্মী, সেটি অবহেলিত হয়। ব্যক্তিগতকরণ (নাম, আগ্রহ, পূর্ব অভিজ্ঞতা) ইমেইলের কার্যকারিতা বাড়ায়। ৪️⃣ ভিজ্যুয়াল ও পাঠযোগ্যতা আজকের ব্যস্ত যুগে মানুষ দীর্ঘ টেক্সট পড়তে কম উৎসাহী। হেডিং, বুলেট পয়েন্ট, সাদা স্পেস এবং Call-to-Action (CTA) ব্যবহার করে ইমেইলকে দ্রুত পড়া ও বোঝা সহজ করা যায়। ৫️⃣ সময় এবং ফ্রিকোয়েন্সি ইমেইল পাঠানোর সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। অফিস শুরুর সময় বা মধ্যাহ্ন বিরতিতে পাঠানো ইমেইল কার্যকর হয়। অতিরিক্ত ইমেইল পাঠানো প্রাপ্তিকে অভিভূত করে। ৬️⃣ বিশ্বাসযোগ্যতা ও সম্পর্ক ইমেইলের প্রভাব প্রাপকের সঙ্গে সম্পর্কের উপর নির্ভর করে। পরিচিত বা বিশ্বাসযোগ্য প্রেরকের ইমেইল খোলার এবং রেসপন্সের সম্ভাবনা বেশি। 💡 “একটি ইমেইল পাঠানো সহজ, কিন্তু প্রভাবশালী হওয়া কঠিন। কার্যকর ইমেইল হল যা পাঠককে প্রভাবিত করেছে, সমাধান দিয়েছে এবং সম্পর্ক গড়েছে।” উপসংহার দিনে অগণিত ইমেইল পাঠানো হয়, কিন্তু কার্যকর হয় মাত্র কয়েকটি। এর কারণ হলো টার্গেট অমিল, সাবজেক্ট লাইন, প্রাসঙ্গিকতা, পাঠযোগ্যতা, সময় এবং বিশ্বাসযোগ্যতা। তাই কেবল সংখ্যায় নয়, মানে মনোযোগ দিন। ➡️ পরামর্শ: আপনার বার্তা তৈরি করুন স্মার্টলি, প্রাসঙ্গিকভাবে এবং পাঠকের মনোযোগ অর্জন করে। প্রতিটি ইমেইল হতে হবে কার্যকর ও প্রভাবশালী।

Read more

সন্তানের কাছে কিভাবে ব্যক্তিত্ববান পিতা হবেন

সন্তানের কাছে কিভাবে ব্যক্তিত্ববান পিতা হবেন 👨‍👧‍👦 🌿 একজন পিতা শুধু সংসারের উপার্জনকারী নন, তিনি সন্তানের প্রথম শিক্ষক, প্রথম হিরো এবং জীবনের আদর্শ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেক বাবা সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না, যার ফলে সম্পর্কের গভীরতা কমে যায়। সন্তানের কাছে ব্যক্তিত্ববান পিতা হতে হলে শুধু শাসন নয়, প্রয়োজন ভালোবাসা, আচরণ, চিন্তা ও জীবনদর্শনের সঠিক সমন্বয়। কীভাবে হবেন সন্তানের কাছে ব্যক্তিত্ববান পিতা: নিজের জীবনে শৃঙ্খলা আনুন: সন্তান যা দেখে তাই শেখে। আপনি যদি সময়মতো কাজ করেন, প্রতিশ্রুতি রাখেন, নিয়মিত নামাজ পড়েন বা দায়িত্ব পালন করেন, সন্তানও শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে উঠবে। সন্তানকে সময় দিন: অফিসের ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিন কিছু সময় তার গল্প শুনুন, খেলুন বা একসাথে সময় কাটান। এতে সন্তান বুঝবে, সে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কথার চেয়ে কাজ দিয়ে শেখান: আপনার আচরণই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। সমস্যার সমাধান, ধৈর্য এবং অন্যের প্রতি সম্মান দেখানো সন্তানকে বাস্তব পাঠ দেয়। আবেগিকভাবে সংযুক্ত থাকুন: সন্তান দুষ্টুমি করলে রাগ না করে তার মনের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। ভালো কিছু করলে প্রশংসা করুন। এতে বিশ্বাস ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। ন্যায্য ও নীতিবান হন: পরিবারের সিদ্ধান্তে ন্যায়পরায়ণতা দেখান, স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে সমান আচরণ করুন। সন্তান আপনার জীবনদর্শন থেকে ন্যায়পরায়ণতা শেখে। শেখার মানসিকতা রাখুন: একজন ভালো বাবা কখনো নিজেকে সম্পূর্ণ জানেন না। নতুন কিছু শেখেন, ক্ষমা চাইতেও দ্বিধা করেন না—এমন বাবাকেই সন্তান আদর্শ মনে করে। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দিন: সন্তানকে দুনিয়াবি ও আখিরাতের শিক্ষা দিন। নামাজ, সততা, ধৈর্য ও সম্মানের পাঠ সন্তানকে চরিত্রবান করে। গবেষণামূলক তথ্য: NICHD, USA (2022): যে পিতারা সন্তানকে সময় দেন ও আবেগিকভাবে যুক্ত থাকেন, তাদের সন্তানদের আত্মবিশ্বাস, শিক্ষাগত সাফল্য ও সামাজিক দক্ষতা বেশি থাকে। BIED, Bangladesh (2023): যেখানে বাবারা নিয়মিত সন্তানকে সময় দেন এবং সিদ্ধান্তে মত নেন, সেখানে সন্তানের মানসিক স্থিতি ৪০% বেশি থাকে। 🌸 “ব্যক্তিত্ববান পিতা হওয়া মানে কঠোর হওয়া নয়। এটি হলো ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ এবং আদর্শের মিশ্রণ। সন্তান আপনার কথার চেয়ে আপনার আচরণ মনে রাখবে।” তাহলে প্রতিটি কাজ এমন করুন, যা দেখে সন্তান গর্বে বলতে পারে: তথ্যসূত্র: National Institute of Child Health and Human Development (NICHD), USA, 2022 BRAC Institute of Educational Development (BIED), Bangladesh, 2023 Parenting Research Center, Melbourne, 2021 ইসলামিক শিক্ষা ও পরিবার বিষয়ক হাদিসসমূহ, সহিহ বুখারি ও মুসলিম থেকে সংকলিত

Read more

নিজের জীবনের নায়ক তুমি নিজেই

নিজের জীবনের নায়ক তুমি নিজেই এই পৃথিবীতে কেউ এসে আপনাকে সফল করবে — এমন আশা করা বোকামি। জীবনযুদ্ধ একান্তই নিজের। কেউ হাত ধরে টেনে তুলবে না, যদি নিজেই উঠে দাঁড়াও না। মূল জীবন পাঠ ১. কেউ আপনার কিছু দিতে বাধ্য না: বাবা-মা জন্ম দিয়েছেন, মানুষ করেছেন, কিন্তু জীবনে কতদূর যাবেন তা আপনার দায়িত্ব। নিজের পথ নিজেকেই তৈরি করতে হবে। ২. পৃথিবী কঠিন, দুর্বলদের জায়গা নেই: ব্যর্থ হলে মানুষ এক মিনিট দুঃখ প্রকাশ করবে, তারপর ভুলে যাবে। ভেতর থেকে শক্ত হতে হবে। ৩. কষ্ট হবে, কিন্তু কেউ তা দেখবে না: আপনার সংগ্রাম নিজেরই দেখার। রাত জেগে কাজ, একা কাঁদা — সবটাই আপনার। ৪. অজুহাত দিলে পিছিয়ে পড়বেন: Excuse বা victim mentality জীবনকে বদলাবে না। কাজ শুরু করুন। ৫. আপনি নিজেই আপনার একমাত্র ভরসা: কেউ push করবে না। নিজেকে না বদলালে দশ বছর পরও একই জায়গায় থাকবেন। ৬. ভয়কে বন্ধুত্ব বানাও: ভয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নাও, শক্তি হিসেবে ব্যবহার করো। ৭. আজকের চেষ্টা আগামীকালের ফল তৈরি করে: প্রতিদিনের ছোট চেষ্টা, অধ্যবসায়ই বড় অর্জনের ভিত্তি। ৮. নিজেকে নিয়মিত চ্যালেঞ্জ করো: নতুন কিছু শেখো, সীমা পরীক্ষা করো। ৯. ভুল হলো শেখার সুযোগ: প্রতিটি ভুল একটি পাঠ, যা তোমাকে শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ করে। ১০. নিজের জন্য দায়িত্ব নেওয়া সব থেকে বড় ক্ষমতা: জীবনকে অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজেই তৈরি করো। ১১. নিজের গন্তব্য নিজেই নির্ধারণ করো: লক্ষ্য ঠিক করো, পরিকল্পনা করো এবং প্রতিদিন এগো। ১২. অতীত ভুলকে হাতছাড়া করো: ভুল থেকে শেখো, অতিরিক্ত চিন্তা কোরো না। ১৩. ছোট বিজয়ও উদযাপন করো: প্রতিদিনের ছোট সাফল্য আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। ১৪. অপ্রত্যাশিত ব্যর্থতাকে গাইড হিসেবে নাও: ব্যর্থতা হলো সবচেয়ে বড় শিক্ষক। ১৫. নিজেকে অনুপ্রাণিত রাখো: নিজের মনোবলই সবচেয়ে বড় শক্তি। মূল ৮টি পয়েন্ট টেবিল ক্রম পয়েন্ট মূল বার্তা ১ নিজের দায়িত্ব নেওয়া সফলতা অন্যের উপর নির্ভর করবে না, নিজের চেষ্টা জরুরি। ২ শক্ত হতে শেখা পৃথিবী কঠিন, ব্যর্থতার পরও এগোতে হবে। ৩ কষ্টের সাক্ষী নিজেই হওয়া সংগ্রাম নিজেরই দেখার, অন্য কেউ ফ্রেন্ড বা প্রশংসা দেবে না। ৪ অজুহাত এড়িয়ে চলা Excuse দিলে জীবন পিছিয়ে যায়, কাজ শুরু করতে হবে। ৫ ভয়কে শক্তিতে পরিণত করা ভয়কে মোকাবিলা করলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। ৬ নিয়মিত চ্যালেঞ্জ নেওয়া কমফোর্ট জোন থেকে বের হওয়া মানেই বৃদ্ধি। ৭ ভুল থেকে শেখা প্রতিটি ভুল শক্তি এবং অভিজ্ঞতা দেয়। ৮ নিজের প্রতি বিশ্বাস নিজেকে বদলালে…

Read more

ভুঁড়ি পরিস্কার করার সহজ উপায়। 1230

ভুঁড়ি পরিস্কার করার সহজ উপায়। 1230 গরু কিংবা খাসির ভুঁড়ি রান্না খেতে যতই সুস্বাদু হোক, এটি পরিষ্কারের ঝামেলার কারণে অনেকেই খেতে চান না। চুন দিয়ে বা সময়সাপেক্ষ উপায় ছাড়াও কিন্তু ভুঁড়ি পরিষ্কার করা যায়। ভুঁড়ির গন্ধ দূর করে ঝটপট পরিষ্কার করতে চাইলে সহজ কিছু উপায় জেনে নিন। ১। লেবুর সাহায্যে দুটি পাকা লেবু থেকে রস বের করে নিন। ফুটন্ত গরম পানি ঢালুন একটি বড় গামলায়। এর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ভুঁড়ি ভিজিয়ে রাখুন। ভেজানোর আগে বড় করে কয়েকটি টুকরা করে নেবেন। এক থেকে দুই মিনিট ভিজিয়ে রেখে উঠিয়ে নিন। একটি স্টিলের চামচের সাহায্যে আঁচড়ে কালো অংশটি উঠিয়ে ফেলুন। ২। লবণ-পানিতে লবণ মিশ্রিত পানিতে বড় টুকরা করে কাটা ভুঁড়ি ডুবিয়ে চুলায় বসান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। কাটিং বোর্ডের উপর রেখে ছুরির সাহায্যে কালো অংশ পরিষ্কার করে ফেলুন। ৩। গরম পানির সাহায্যে ভুঁড়ি টুকরা করে কলের পানিতে ধুয়ে নিন। হাঁড়িতে পানি ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত পানি একটি বাটিতে নিয়ে ভুঁড়ির টুকরা ডুবিয়ে রাখুন ১২ থেকে ১৩ সেকেন্ড। এর বেশি রাখবেন না। পানি থেকে বের করে চামচের সাহায্যে তুলে ফেলুন ময়লা। ৪। ভিনেগারের সাহায্যে ভিনেগার ও লবণ মিশ্রিত পানিতে ভুঁড়ি ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর উঠিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। ভুঁড়ির উপরে ও নিচে দুটি চামড়ার পরত থাকে। এক কোণা থেকে উপরের পরতের অংশ ধরে টেনে ধীরে ধীরে আলাদা করে ফেলুন কালো অংশ। পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে নিন পরিষ্কার করা ভুঁড়ি। উল্টো দিকে থাকা কালো অংশ হাতের সাহায্যে উঠিয়ে ফেলুন। স্বাস্থ্য কমানোর ঘরোয়া উপায় ভুঁড়ির দুর্গন্ধ দূর করতে কী করবেন? চুলায় পানি বসান। পানিতে পরিমাণ মতো লবণ ও আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া দিন। এতে ভুঁড়িতে থাকা আঁশটে গন্ধ চলে যাবে। ফুটে উঠলে ভুঁড়ি দিয়ে দিন। ২০ মিনিট সেদ্ধ করে নামিয়ে স্ট্রেইনারে ঢেলে দিন। ঠান্ডা হলে পছন্দ মতো আকারের টুকরো করে কেটে নিন। সংরক্ষণ করতে চাইলে জিপলক ব্যাগে ঢুকিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।ভুঁড়ির দুর্গন্ধ দূর করতে পরিষ্কার করার পর টুকরো করে কেটে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ করার পানিতে ২ টুকরা দারুচিনি, তেজপাতা, কয়েকটি এলাচ ও লবঙ্গ দিয়ে নিন। ৫ মিনিট ফুটে ওঠার পর তারপর দেবেন ভুঁড়ির টুকরা। বলক ওঠার পর আরও দশ মিনিট সেদ্ধ করুন।আদা বাটা ও হলুদ গুঁড়া পানিতে মিশিয়েও ফুটিয়ে নিতে পারেন ভুঁড়ি। গরুর চামড়ার পুষ্টিগুণ তথ্য সূত্রে :- Bangla Tribune Online Media সময়ের সংলাপের ফেইসবুক পেইজ ভুঁড়ি পভুঁড়ি পরিস্কার করার সহজ উপায়।…

Read more

দুষ্ট জিন এবং কালো জাদু থেকে বাঁচার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ আমল

দুষ্ট জিন এবং কালো জাদু থেকে বাঁচার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ আমল শাইখ আহমাদ উল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ

Read more

গুরুত্বপূর্ণ ০৮ টি জিকির

গুরুত্বপূর্ণ ০৮ টি জিকির ( সহীহ মুসলিম – ৪/২০৭৩ ) ( তিরমিযী – ৫/৪৬২, ইবনে মাযাহ – ২/১২৪৯, হাকিম – ১/৫০৩, সহীহ আল জামে – ১/৩৬২ ) ( সহীহ মুসলিম – ৩/১৬৮৫ , ৪/২০৭২ ) ( সহীহ বুখারী – ৭/১৬৮, সহীহ মুসলিম – ৪/২০৭১ ) ( সহিহ বুখারী – ৭/১৬৮, সহীহ মুসলিম – ৪/২০৭২ ) ( সহীহ বুখারী – ১১/২১৩, সহীহ মুসলিম – ৪/২০৭৬ )।

Read more

নফসকে নিয়ন্ত্রনে রাখার কৌশল

নফসকে নিয়ন্ত্রনে রাখার কৌশল নফসকে নিয়ন্ত্রনে রাখার কৌশল নফসকে নিয়ন্ত্রনে রাখার কৌশল নফসকে নিয়ন্ত্রনে রাখার কৌশল

Read more

যিনা ব্যভিচার থেকে বাঁচার উপায় কি?

যিনা ব্যভিচার থেকে বাঁচার উপায় কি? কুরআন এবং হাদিসসমূহে এটি উল্লেখিত রয়েছে। কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, যে কোন প্রকারের যৌন ক্রিয়াকলাপ যা বৈধ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতীত সম্পাদিত হয় সেগুলো যিনা বলে গণ্য হবে, এবং তা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য সমানভাবে শাস্তিযোগ্য। জেনা-ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাকা সবার জন্য জরুরি। কবিরা গুনাহমুক্ত জীবন গড়তে জেনা-ব্যভিচারের ধরনগুলো এড়িয়ে চলার বিকল্প নেই। এ জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন তাহলো- ১. নারী-পুরুষ অবিবাহিত হলে বিয়ে করা।২. বিবাহিত হলে স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি এবং স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি মনোযোগী হওয়া।বিয়ে করা সম্ভব না হলে…১. একাকি বসবাস করা থেকে বিরত থাকা।২. আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ/জিকির করা।৩. জান্নাতের নেয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তি সম্পর্কে জানা।৪. সপ্তাহিক (সোম ও বৃহস্পতিব) এবং মাসিক (আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ) রোজা রাখা। তাতেও বিয়ে ছাড়া থাকতে কষ্ট হলে একদিন পর একদিন রোজা রাখা।৫. বিপরীত লিঙ্গে দিকে না তাকানো ও কথা বলা থেকে বিরত থাকা। অর্থাৎ নারী ইচ্ছাকৃতভাবে পুরুষের দিকে আবার পুরুষ নারীর দিকে না তাকানো। সর্বোপরি পাপ না করার জন্য মনকে দৃঢ়ভাবে স্থির করতে হবে। সব সময় আল্লাহকে ভয় করতে হবে। একান্ত নির্জনে থাকা অবস্থায় জেনা-ব্যভিচার সম্পর্কিত পাপ করার সম্ভাবনা থাকলে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করা।

Read more

দ্রুত বিয়ে করার আমল

দ্রুত বিয়ে করার আমল ১) বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। যথাসম্ভব সার্বক্ষণিক এস্তেগফার করা। উঠতে বসতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকা। ২) সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতটা পড়তে পারি। প্রতি ফরজ নামাজের পর তো বটেই, সুযোগ পেলেই দোয়াটি গভীর আবেগ নিয়ে পড়তে পারি। رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا ৩) সুরা কাসাসের ২৪ আয়াতে বর্ণিত দোয়াটাও বেশি বেশি পড়তে পারি, رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ এই দোয়ায় বিয়ে, বিবিবাচ্চা, চাকুরি, ঘরবাড়ি সবকিছুর ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ইন শা আল্লাহ। ৪) বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে দুয়া কবুল হওয়ার সময়গুলো একটাও দোয়াবিহীন না যায়। ৫) আমল-দোয়ার পাশাপাশি হালাল পন্থায় পাত্র/পাত্রীর খোঁজ করাও জরুরী। ৬) নিয়মিত সদকা করা।

Read more

সূদ ও ঘুষ বিষয় কুরআন হাদিসের বর্ণনা

সূদ ও ঘুষ বিষয় কুরআন হাদিসের বর্ণনা আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنْ الرِّبَا إِنْ كُنتُمْ مُؤْمِنِينَ. ‘হে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং যদি তোমরা মু’মিন হও তবে সূদের মাধ্যমে যা বকেয়া রয়েছে তা বর্জন কর’ (বাক্বারাহ ২৭৮)। يَمْحَقُ اللهُ الرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ وَاللهُ لاَ يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ. ‘আল্লাহ সূদকে সংকুচিত করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ কোন অবিশ্বাসী পাপীকে পসন্দ করেন না’ (বাক্বারাহ ২৭৬)। এই আয়াত প্রমাণ করে যে, সূদ মানুষের অর্থকে ধ্বংস করে এবং দান মানুষের অর্থকে বৃদ্ধি করে। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُضَاعَفَةً وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ. ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সূদ খেয়ো না। তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার’ (আলে ইমরান ১৩০)। عَنْ جَابِرٍ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وقَالَ هُمْ سَوَاءٌ. জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সূদ গ্রহণকারী, প্রদানকারী ও সূদের দু’সাক্ষীর প্রতি অভিশাপ করেছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অভিশাপে তারা সবাই সমান (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮০৭; বাংলা ৬ষ্ঠ খন্ড, হা/২৬৮৩ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়, ‘সূদ’ অনুচ্ছেদ)। عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ حَنْظَلَةَ غَسِيْلِ الْمَلاَئِكَةِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِرْهَمُ رِبَا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَيَعْلَمُ أَشَدُّ مِن سِتَّةِ وَثَلاَثِيْنَ زِنْيَةً. আবদুল্লাহ ইবনু হানযালাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি জেনে শুনে এক দিরহাম বা একটি মুদ্রা সূদ গ্রহণ করলে ছত্রিশবার যেনা করার চেয়ে কঠিন হবে’ (আহমাদ, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/২৮২৫; বাংলা হা/২৭০১)। عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكَحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ. আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সুদের পাপের ৭০টি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হচেছ মাতাকে বিবাহ করা’ (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৮২৬, হাদীছ ছহীহ)। عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الرِّبَا وَإِنْ كَثُرَ فَإِنَّ عَاقِبَتَهُ تَصِيْرُ إِلَى قَلٍّ. ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সূদ এমন বস্তু যার পরিণাম হচ্ছে সংকচিত হওয়া যদিও তা বৃদ্ধি মনে হয়’ (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৮২৭)। عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَاشِيَ وَالْمُرْتَشِيْ. আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ঘুষ গ্রহণকারী ও ঘুষ প্রদানকারীর উপর অভিশাপ করেছেন (ইবনু মাজাহ, সনদ ছহীহ, মিশকাত, হা/৩৭৫৩…

Read more

যেসব কারণে পরিবারের বরকত কমে যায় এবং এ থেকে বাঁচার উপায়বরকত কমার কারণ

যেসব কারণে পরিবারের বরকত কমে যায় এবং এ থেকে বাঁচার উপায় বরকত কমার কারণ • গুনাহে লিপ্ত থাকলে• প্রতারণা করলে ও ধোঁকা দিলে• কথায় কথায় কসম খেলে• হারাম উপায়ে উপার্জন করলে• নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে• কৃপণতা করলে• রিজিক ও তাকদিরের ওপর সন্তুষ্ট না থাকলে• অপচয় করলে• সকালে ঘুমালে• পেট ভরে খাবার খেলে• বাম হাতে খেলে• আত্মীয়তা ধরে না রাখলে• সুদ আদানপ্রদান করলে• অন্যের উন্নতিতে হিংসা করলে• যাকাত না দিলে• সম্পদের চিন্তা ও হিসাবে ব্যস্ত থাকলে যেসব কারণে বরকত বাড়ে: যেসব কারণে পরিবারের বরকত কমে যায় এবং এ থেকে বাঁচার উপায়বরকত কমার কারণ যেসব কারণে পরিবারের বরকত কমে যায় এবং এ থেকে বাঁচার উপায়বরকত কমার কারণ যেসব কারণে পরিবারের বরকত কমে যায় এবং এ থেকে বাঁচার উপায়বরকত কমার কারণ

Read more

ফজরের নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠতে করণীয়

ফজরের নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠতে করণীয় মুমিনের জন্য ফজরের নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। তার দিনের শুভক্ষণ শুরু হয় ফজরের নামাজের মাধ্যমে। যে ব্যক্তি যথা সময়ে ফজরের নামাজ আদায় করে দিনের কাজ আরম্ভ করে; ওই ব্যক্তির পরবর্তী ইবাদতগুলো যথাযথ আদায় করা সহজ হয়। অনেকেই আছে যারা ফজরের নামাজ আদায় করতে পারেন না। আজানের পরও অনেকে ঘুম থেকে উঠতে পারে না। আবার অনেকে অলসতা বা অন্য কোনো কারণে ঘুম থেকে উঠতে চায় না। আবার কেউ কেউ নামাজের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর ঘুম থেকে ওঠে। যে ব্যাক্তি নামাজকে বেশি ভালোবাসেন অথচ ফজরের নামাজ যথা সময়ে আদায় করতে পারেন না; তারা বিষয়টি ব্যথাভরা মনে উপলব্ধি করেন। তাঁরা যেন ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম থেকে জেগে উঠতে পারেন। সে বিষয়ে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয়:-• ফজরের নামাজ যথা সময়ে আদায় করতে মোবাইল বা ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাতে যাওয়া। যাতে মোবাইল বা ঘড়ির অ্যালার্মের শব্দে ফজরের সময় ঘুম ভেঙ্গে যায়।• ঘুমের অলসতা ত্যাগ করা জরুরি। অনেকেই ঘড়ি বা মোবাইলের অ্যালার্ম শুনে অথবা আজানের আওয়াজ শুনে অলসতাবশতঃ ঘুম থেকে উঠতে চায় না। আবার অনেকেই এ রকম করে যে, আরেকটু ঘুমিয়ে নিই; তারপর উঠব। এ মনসিকতা পরিহার করা।• রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম না আসলে হালকা দৈহিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা যেতে পারে। যাতে হালকা ব্যায়ম বা ক্লান্তির কারণে যথা সময়ে ঘুম চলে আসে। • নিজের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া। অন্যান্য ওয়াক্তের মতো ফজরের নামাজও ফরজ। সুতরাং ফজর যেহেতু দিনের শুরুর নামাজ; তাই এ নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। তা যথা সময়ে পড়ার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা।• রাতে ঘুমানোর সময় বিসমিল্লাহর সঙ্গে অজু করে দুই বা ৪ রাকাআত নামাজ পড়ে ঘুমানো এবং ফজরের নামাজ পড়ার ব্যাপারে এভাবে দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করা যে, আমি অবশ্যই ফজরের নামাজ যথা সময়ে আদায় করব।• রাত গভীর না করে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া। বিনা কারণে দেরিতে ঘুমানোর ফলেই যথা সময়ে ফজর আদায় সম্ভব হয় না।• রাতে ঘুমানোর সময় মৃত্যুর কথা স্মরণ করা। এ চেতনা হৃদয়ে জাগ্রত করা যে, নামাজ না পড়া অবস্থায় যদি মৃত্যু হয় তবে পরিণতি কী হবে? এ অনুভূতি হৃদয়ে পোষণ করা।• যে সব কাজের ফলে রাতে ঘুমাতে যেতে দেরি হয় তা বর্জন করা। সকালে ফজরের নামাজ যথা সময়ে আদায়ের পর সকালে শীতল বাতাসে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মাধ্যমে নিজের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করা।

Read more