Food

টেস্টি করলা ভাজি বানানোর সহজ উপায়

Table of Contents

টেস্টি করলা ভাজি বানানোর সহজ উপায়

বাংলাদেশি ঘরোয়া খাবার মানেই ভর্তা, ভাজি ও ভুনা—এই তিনের যাদুকরী স্বাদ। আর ভাজির তালিকায় করলা ভাজি একটি আলাদাই জনপ্রিয় নাম। করলার তেতো স্বাদের কারণে অনেকের অপছন্দ থাকলেও সঠিক রান্নার কৌশল ও মশলার মিশ্রণে করলা ভাজি হয়ে ওঠে সুস্বাদু, খাস্তা ও রুচিকর। বিশেষ করে গরম ভাত, ডাল বা ভর্তার সাথে করলা ভাজির মিল অতুলনীয়।

করলা ভাজির পরিচিতি

করলা বা উচ্ছে একটি বহুল পরিচিত সবজি। এতে ভিটামিন সি, বি-কমপ্লেক্স, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ডায়েটারি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম রয়েছে।
তবে করলার তেতোভাব অনেকের কাছে সমস্যার, তাই করলা ভাজিতে মূল কৌশল হলো—

  • তেতো কমানো
  • খাস্তা করা
  • স্বাদ বাড়ানো

এই তিন ধাপেই করলা ভাজি হয়ে ওঠে “বেস্ট স্বাদের”।


⭐ করলা ভাজি বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • করলা – ৪–৫ টি (পাতলা স্লাইস করা)
  • পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ
  • কাঁচা মরিচ – ৩–৪ টি
  • হলুদ গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
  • লবণ – স্বাদ অনুযায়ী
  • সরিষার তেল/সয়াবিন তেল – ৩–৪ টেবিল চামচ
  • শুকনা মরিচ – ২ টি (ঐচ্ছিক)
  • চিনি – এক চিমটি (তেতো কমানোর জন্য)

⭐ করলা ভাজি তৈরির ধাপ

🔹 ধাপ ১: করলা প্রস্তুত করা

  1. করলা পাতলা করে রিং বা লম্বা করে কেটে নিন।
  2. লবণ ছিটিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন।
  3. এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন—এতে করলার তেতোভাব ৩০% কমে যায়।

🔹 ধাপ ২: করলা ভাজা

  1. কড়াইতে তেল গরম করুন।
  2. করলা দিয়ে মাঝারি আঁচে ১০–১২ মিনিট নাড়তে থাকুন।
  3. করলা একটু খাস্তা হয়ে এলে বুঝবেন ভাজার প্রক্রিয়া ঠিকমতো চলছে।

🔹 ধাপ ৩: পেঁয়াজ ও মসলা যোগ

  1. করলার সাথে পেঁয়াজ কুচি দিন।
  2. লবণ, হলুদ গুঁড়া, কাঁচা মরিচ যোগ করুন।
  3. সব উপকরণ একসাথে নাড়তে থাকুন।
  4. শুকনা মরিচ ব্যবহার করলে ফ্লেভার আরও বাড়বে।

🔹 ধাপ ৪: স্বাদ উন্নয়ন

  1. করলা যদি বেশি তেতো লাগে, এক চিমটি চিনি দিতে পারেন।
  2. পেঁয়াজগুলো হালকা ক্যারামেলাইজ হলে দারুণ স্বাদ আসবে।

🔹 ধাপ ৫: পরিবেশন

গরম ভাত ও ডালের সঙ্গে পরিবেশন করুন—স্বাদ হবে অসাধারণ।


⭐ করলা ভাজির স্বাদের রহস্য

✔ ১. পাতলা করে কাটা

করলা যত পাতলা কাটবেন, তত খাস্তা হবে।

✔ ২. লবণ দিয়ে মেখে রেখে দেয়া

তেতোভাব অনেকটাই কমে যায়।

✔ ৩. বেশি পেঁয়াজ

পেঁয়াজ করলার তেতোভাব ভারসাম্য করে।

✔ ৪. একটু চিনি

চিনি তেতো ভাব কাটিয়ে স্বাদ মেলো করে।

✔ ৫. সরিষার তেল

এটি করলার স্বাদ বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ।


⭐ করলা ভাজির উপকারিতা

করলা ভাজি খেলে—

  • রক্তে শর্করা কমে
  • হজমশক্তি ভালো থাকে
  • লিভার পরিষ্কার হয়
  • চুল ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

⭐ করলা ভাজির বিভিন্ন ভ্যারিয়েশন

🔹 ১. ডিম দিয়ে করলা ভাজি

শেষে ডিম ভেঙে দিলে স্বাদ আরও সমৃদ্ধ হয়।

🔹 ২. আলু-করলা ভাজি

করলার সাথে আলু খুবই জনপ্রিয়।

🔹 ৩. পেঁয়াজ-করলা ভাজি

বেসিক কিন্তু সেরা ভ্যারিয়েশন।

🔹 ৪. চিংড়ি দিয়ে করলা ভাজি

গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি অসাধারণ রেসিপি।


কিছু কথা

❓ করলা ভাজি কি বেশি তেতো হয়?

সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে তেতোভাব অনেকটাই কমে যায়।

❓ কোন তেলে করলা ভাজি ভালো হয়?

সরিষার তেল সবচেয়ে ভালো।

❓ করলা ভাজি কি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো?

হ্যাঁ, এটি ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে।

❓ করলা ভাজি খেতে কি দৈনন্দিন খাবারের অংশ হতে পারে?

অবশ্যই—এটি স্বাস্থ্যকর এবং সহজপাচ্য।

টেস্টি করলা ভাজি বানানোর সহজ উপায় টেস্টি করলা ভাজি বানানোর সহজ উপায়টেস্টি করলা ভাজি বানানোর সহজ উপায় টেস্টি করলা ভাজি বানানোর সহজ উপায়

সময়ের সংলাপের ফেইসবুক পেইজ

মজার ঝাঁজ, টক–মিষ্টি স্বাদ টমেটো ভর্তা

কেন আলুভর্তা আমাদের ঘরের স্বাদ ও স্মৃতির খাবার

পুঁইশাক রেসিপি ও পুষ্টিগুণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *