পর্ন যৌন তৃপ্তি বাড়ায় না বরং কমায়
পর্ন যৌন তৃপ্তি বাড়ায় না বরং কমায়
পর্নের সাথে প্রকৃত যৌনতার কোনো সম্পর্ক নেই, দূর দূরান্ত থেকেও নেই। আপনার হয়ত এমনটা মনে নাও হতে পারে, কিন্তু এটাই সত্যি। বরং পর্ন একধরণের যৌন পণ্য যার ভোক্তা এতে আসক্তরা।
পর্ন স্বাভাবিক বা স্বাস্থ্যকর যৌনতাকে নিরুৎসাহিত করেঃ
স্বাভাবিক যৌনতা হ্রাসে পর্নের ভূমিকা বারবার গবেষণায় উঠে এসেছে, পর্ন যৌন উত্তেজনা, আকর্ষণ ও যৌন ক্ষমতায় সমস্যা সৃষ্টিতে সরাসরি দায়ী। পর্ন স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সেক্স এবং যৌন তৃপ্তি কমিয়ে দেয়। গবেষকরা পর্নের সাথে সেক্স ড্রাইভের ঘাটতি, যৌন জটিলতা ও অকাল বীর্যপাতের গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন।
যারা বারবার পর্ন দেখে তাদের অনেকেই একপর্যায়ে পর্ন না দেখলে আর উত্তেজিত হতে পারেন না, এমনকি সহবাসের সময়ও না। সাম্প্রতিক বেশ কিছু সিনিয়র হাইস্কুল ছাত্রদের মাঝে চালানো এক জরিপে পর্ন দেখার ফলে তাদের যৌন কামনা হ্রাস পেয়েছে দেখা গেছে। এত অল্পবয়সী যুবকদের মাঝে সেক্স ড্রাইভের এমন অভাব কিছুটা হলেও অবিশ্বাস্য।
লক্ষ্য করুন পর্ন যদি সেক্স সম্পর্কিতই হয় তবে তো তাতে দর্শকদের এসব যৌন জটিলতা থেকে মুক্তির উপায় জানানো হত, কিন্তু পর্ন উল্টো এসব সমস্যাকে উত্তরোত্তর বাড়িয়েই চলেছে। এটা দর্শকদের যৌন তৃপ্তি বাড়ায় তো না-ই, বরং কমিয়ে দেয়। বরং পর্ন যে বড় সমস্যা তৈরি করে তা হলো এর প্রতি আসক্তি যা পরিস্থিতিকে আরও দ্রুত অবনতির দিকে নিয়ে যায়। আর এ আসক্তিই পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসার হাতিয়ার, মানুষ যত পর্ন আসক্ত হবে, তাদের ব্যবসার প্রসার তত বেশি হবে।
পর্ন কখনই যৌনতা সম্পর্কিত নয়, একদমই না। এটা খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে। পর্ন ইন্ডাস্ট্রি মানুষকে তাদের জালে আটকে ফেলে, আসক্ত করে তোলে যে আসক্তি ক্রমশ বাড়তে থেকে। আর এই পর্ন ইন্ডাস্ট্রি এমন কিছু জিনিসকে আমাদের সামনে নিয়ে আসছে যা আসলে মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের সাথে যায় না। এভাবে তারা মানবতাকে এবং এই সমাজটাকে অমানবিক এক নষ্ট রূপ দিতে চাচ্ছে। আর এসব করে তারা নিজেদের পকেট ভারি করছে। পর্ন যৌনতা সম্পর্কিত নয়, এটা আনন্দ-বিনোদনের কিছু নয়, এটা শুধুই একটা ব্যবসা। আর প্রত্যেক দর্শক তাদের এই অন্ধকার চক্রান্তের ভুক্তভোগী, সেটা তারা বুঝুক আর নাই বুঝুক। তাই আমাদের যুদ্ধ করার আরেকটি কারণ হচ্ছে, মানুষকে এই দূষিত ইন্ডাস্ট্রির হাত থেকে রক্ষা করা, তাদেরকে বাস্তব ও ভালো সম্পর্কের বাধনে বাঁধা, প্রকৃত ও পবিত্র যৌন সম্পর্কের মাঝে রাখা।