নিজের জীবনের নায়ক তুমি নিজেই
এই পৃথিবীতে কেউ এসে আপনাকে সফল করবে — এমন আশা করা বোকামি। জীবনযুদ্ধ একান্তই নিজের। কেউ হাত ধরে টেনে তুলবে না, যদি নিজেই উঠে দাঁড়াও না।
মূল জীবন পাঠ
- ১. কেউ আপনার কিছু দিতে বাধ্য না: বাবা-মা জন্ম দিয়েছেন, মানুষ করেছেন, কিন্তু জীবনে কতদূর যাবেন তা আপনার দায়িত্ব। নিজের পথ নিজেকেই তৈরি করতে হবে।
- ২. পৃথিবী কঠিন, দুর্বলদের জায়গা নেই: ব্যর্থ হলে মানুষ এক মিনিট দুঃখ প্রকাশ করবে, তারপর ভুলে যাবে। ভেতর থেকে শক্ত হতে হবে।
- ৩. কষ্ট হবে, কিন্তু কেউ তা দেখবে না: আপনার সংগ্রাম নিজেরই দেখার। রাত জেগে কাজ, একা কাঁদা — সবটাই আপনার।
- ৪. অজুহাত দিলে পিছিয়ে পড়বেন: Excuse বা victim mentality জীবনকে বদলাবে না। কাজ শুরু করুন।
- ৫. আপনি নিজেই আপনার একমাত্র ভরসা: কেউ push করবে না। নিজেকে না বদলালে দশ বছর পরও একই জায়গায় থাকবেন।
- ৬. ভয়কে বন্ধুত্ব বানাও: ভয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নাও, শক্তি হিসেবে ব্যবহার করো।
- ৭. আজকের চেষ্টা আগামীকালের ফল তৈরি করে: প্রতিদিনের ছোট চেষ্টা, অধ্যবসায়ই বড় অর্জনের ভিত্তি।
- ৮. নিজেকে নিয়মিত চ্যালেঞ্জ করো: নতুন কিছু শেখো, সীমা পরীক্ষা করো।
- ৯. ভুল হলো শেখার সুযোগ: প্রতিটি ভুল একটি পাঠ, যা তোমাকে শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ করে।
- ১০. নিজের জন্য দায়িত্ব নেওয়া সব থেকে বড় ক্ষমতা: জীবনকে অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজেই তৈরি করো।
- ১১. নিজের গন্তব্য নিজেই নির্ধারণ করো: লক্ষ্য ঠিক করো, পরিকল্পনা করো এবং প্রতিদিন এগো।
- ১২. অতীত ভুলকে হাতছাড়া করো: ভুল থেকে শেখো, অতিরিক্ত চিন্তা কোরো না।
- ১৩. ছোট বিজয়ও উদযাপন করো: প্রতিদিনের ছোট সাফল্য আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
- ১৪. অপ্রত্যাশিত ব্যর্থতাকে গাইড হিসেবে নাও: ব্যর্থতা হলো সবচেয়ে বড় শিক্ষক।
- ১৫. নিজেকে অনুপ্রাণিত রাখো: নিজের মনোবলই সবচেয়ে বড় শক্তি।
মূল ৮টি পয়েন্ট টেবিল
| ক্রম | পয়েন্ট | মূল বার্তা |
|---|---|---|
| ১ | নিজের দায়িত্ব নেওয়া | সফলতা অন্যের উপর নির্ভর করবে না, নিজের চেষ্টা জরুরি। |
| ২ | শক্ত হতে শেখা | পৃথিবী কঠিন, ব্যর্থতার পরও এগোতে হবে। |
| ৩ | কষ্টের সাক্ষী নিজেই হওয়া | সংগ্রাম নিজেরই দেখার, অন্য কেউ ফ্রেন্ড বা প্রশংসা দেবে না। |
| ৪ | অজুহাত এড়িয়ে চলা | Excuse দিলে জীবন পিছিয়ে যায়, কাজ শুরু করতে হবে। |
| ৫ | ভয়কে শক্তিতে পরিণত করা | ভয়কে মোকাবিলা করলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। |
| ৬ | নিয়মিত চ্যালেঞ্জ নেওয়া | কমফোর্ট জোন থেকে বের হওয়া মানেই বৃদ্ধি। |
| ৭ | ভুল থেকে শেখা | প্রতিটি ভুল শক্তি এবং অভিজ্ঞতা দেয়। |
| ৮ | নিজের প্রতি বিশ্বাস | নিজেকে বদলালে ভবিষ্যৎও বদলাবে। |
নতুন ৫টি অতিরিক্ত পয়েন্ট টেবিল
| ক্রম | পয়েন্ট | মূল বার্তা |
|---|---|---|
| ৯ | নিজের লক্ষ্য ঠিক করা | সফলতা নিজেই গঠন করতে হবে, অন্য কেউ দেবে না। |
| ১০ | অতীত ভুল থেকে শেখা | ভুলকে হাতছাড়া করো, শিক্ষা নাও, অগ্রসর হও। |
| ১১ | ছোট বিজয় উদযাপন | ছোট সাফল্য আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। |
| ১২ | ব্যর্থতাকে শিক্ষক বানাও | ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার চেষ্টা করো। |
| ১৩ | নিজের ভিতর অনুপ্রেরণা | নিজের মনোবলই সবচেয়ে বড় শক্তি। |
পে কমিশন প্রস্তাবে সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার টাকা
পে কমিশন প্রস্তাবে সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার টাকা বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সর্বনিম্ন বেতন ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাবটি পে কমিশনে জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই কমিশনে জমা দেওয়া হবে। নতুন বেতন কাঠামোর প্রস্তাবনা এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর জানিয়েছেন, বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা হওয়া উচিত। তিনি বলেন, “একজন মানুষের জীবনধারণের জন্য পরিবারের চারজন সদস্যসহ ন্যূনতম জীবন-জীবিকার যোগ্য বেতন দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। এটি বিলাসী জীবনযাপনের জন্য নয়, মানবিক জীবনযাপনের জন্য।” সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই বেতন কাঠামোয় সর্বনিম্ন বেতন ২৫ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি এই প্রস্তাব পে কমিশনে জমা দিয়েছে। বেতন কাঠামোর গুরুত্ব বেতন কাঠামো কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি ন্যায্য বেতন কাঠামো কর্মচারীদের মনোবল বৃদ্ধি করে এবং তাদের কর্মক্ষমতা উন্নত করে। এছাড়াও, এটি কর্মচারীদের সন্তুষ্টি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য বাড়াতে সহায়ক হয়। সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব যদি বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়, তবে তা সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কর্মচারীরা তাদের পরিবারের জন্য ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারবে, যা তাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও, এটি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রতিক্রিয়া এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর আরও বলেন, “আমরা চাইব সরকারি-বেসরকারিভাবে না দেখে নাগরিকের মানবিক মর্যাদার দিক দেখতে। তার স্বাভাবিক জীবন-জীবিকার জন্য যে ন্যূনতম যে টাকা দরকার সেটা তাকে দিতে হবে। সেটা না হলে বৈষম্য হবে, দুর্নীতি বাড়বে।” উপসংহার বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের জন্য একটি ন্যায্য বেতন কাঠামো প্রণয়ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
Read moreআল্লাহ তা’য়ালা যে ৭টি গুণকে ভালোবাসেন
আল্লাহ তা’য়ালা যে ৭টি গুণকে ভালোবাসেন ১. তওবা“নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন”(সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২২২) ২. তাহারাত [পবিত্রতা]“এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে”(সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২২২) ৩. তাকওয়া [আল্লাহ ভীতি]“নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালবাসেন”(সূরা আত-তাওবা, আয়াত ৪) ৪. ইহসান“আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন”(সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৩৪) ৫. তাওয়াক্কুল“নিশ্চয় আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদেরকে ভালবাসেন”(সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৫৯) ৬. ন্যায়বিচার“নিশ্চয় আল্লাহ ন্যয়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন”(সূরা আল-মায়েদা, আয়াত ৪২) ৭. সবর“আল্লাহ ধৈর্যশীলদেরকে ভালবাসেন”(সূরা আল- ইমরান, আয়াত ১৪৬)
Read more






