গাড়িতে উঠলে বমি কেন হয় এবং করনীয় কি
গাড়িতে উঠলে বমি কেন হয় এবং করনীয় কি
যানবাহন চলতে শুরু করলে অন্তঃকর্ণে (কানের গভীরতম অংশ যাতে শ্রবণযন্ত্র ও ভারসাম্যযন্ত্র থাকে) তরল পদার্থে নড়াচড়া শুরু হয়। অন্তঃকর্ণ চলার সংকেত পাঠায় মস্তিষ্কে। কিন্তু গাড়ি চলন্ত অবস্থায় আপনার চোখের দৃষ্টি যদি থাকে গাড়ির ভেতরে, তখন আপনার চোখ বলে, আপনি চলছেন না, স্থির আছেন। এমন অবস্থায় আপনার মস্তিষ্ক, চোখ আর অন্তঃকর্ণের সংকেতের মধ্যে অসামঞ্জস্য তৈরি হয়।
যার ফলে বমি করেন অনেকে। এটি অবশ্য ‘মোশন সিকনেস’-এর কারণে হয়ে থাকে। যে কারণেই বমি হোক, তা তৎক্ষণাৎ থামানো জরুরি। বমি থামাতে অনেকেই বিভিন্ন ওষুধ খান। তাতে সাময়িক ভাবে বমির সমস্যা মিটলেও বমির বেগ পুনরায় ফিরে আসতে পারে। বমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললেও সুফল পেতে পারেন। রইল তেমন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার খোঁজ।
১) অনেকেই হয়তো জানেন না যে, কিছু ক্ষণ শ্বাস ধরে রাখলে বমি কমে যেতে পারে। ধরুন আপনি গাড়িতে বসে আছেন। এমন সময়ে বমি বমি ভাব লাগছে। মনে হচ্ছে এখনই বমি করে ফেলবেন। এই পরিস্থিতিতে চিন্তা না করে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন। চোখ বন্ধ করে রাখুন। কিছু ক্ষণ এই ভাবে থাকলে দেখবেন বমি বমি ভাবটা কেটে গিয়েছে।
২) শরীরে জলের অভাব ঘটলে বমি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই বলে বমি পেলে সে সময়ে ভুল করেও জল খেয়ে নেবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। জল যদি খেতেই হয় ঠান্ডা জল একেবারেই নয়। বরং ঈষদুষ্ণ জল অল্প অল্প খেতে পারে। স্বস্তি পাবেন।
৩) গাড়িতে উঠলেই বমি পাওয়ার ধাত থাকলে সঙ্গে রাখতে পারেন এলাচের বীজ। সে সময়ে কয়েকটি বীজ মুখে পুরলে বমির ভাব কেটে যেতে পারে।
৪) এক কাপ জলে আধ চামচ দারচিনি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। ছেঁকে নিয়ে খেতে পারেন। বমির সমস্যা কমতে পারে।
৫) গাড়িতে উঠলে বমি পাওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে ভ্রমণের আগে ভরপেট না খাওয়াই ভাল। হালকা খাবার খেয়ে গাড়ি-বাসে উঠুন। তবে একেবারে খালি পেটে নয়। তা ছাড়া সঙ্গে বমির ওষুধও রাখতে পারেন।
বমি করলে শরীরে কষ্ট হয়। দুর্বল লাগে। এ সময়ে নুন-চিনির জল খেতে পারেন। শক্তি পাবেন। দুর্বলতা কাটবে।
(সূত্রঃ-আন্দবাজার অনলাইন)