NewsLifestyle

কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের ভয়াবহতা

কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের ভয়াবহতা

ইসলামে জাহান্নামকে শাস্তির স্থান হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের ভয়াবহতা এবং অমানুষিক শাস্তির বর্ণনা পাওয়া যায়। এটি মূলত অবিশ্বাসী, নেককারি জীবনযাপন না করা ব্যক্তি ও পাপীর জন্য তৈরি। রাসুল (সাঃ) একদিন জিবরাঈল (আঃ) কে বললেন, আপনি যতোবার আমার নিকট এসেছেন, ততোবার-ই আপনার কপালে শোক ও দুশ্চিন্তার ছাপ ছিলো. এর কারণ কী.? – জিবরাঈল (আঃ) রাসুল (সাঃ) এর প্রশ্নের জবাবে বললেন, জাহান্নাম সৃষ্টির পর থেকে আমার ঠোঁটে কখনো হাসি ফুটেনি।

 জাহান্নাম  

১। জাহান্নামের গভীরতা এমন যে, এর মুখ থেকে একটি পাথর ফেলে দিলে, জাহান্নামের তলদেশে পৌছাতে ৭০ বছর সময় লাগে। বিচারের দিন জাহান্নাম কে ৭০ হাজার শিকল দ্বারা টেনে আনা হবে, যার প্রত্যেক শিকল ৭০ হাজার ফেরেশতা বহন করবেন।

দোযখে এভাবে নিক্ষেপ করা হবে
দোযখে এভাবে নিক্ষেপ করা হবে

২। জাহান্নামে চাঁদ এবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে।

৩। জাহান্নামবাসীদের শরীরের চামড়া ১২৬ ফুট পুরো করে দেওয়া হবে যাতে করে আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ হয়, তাদের শরীরে আরও থাকবে তিল যার এক একটি উহুদ পাহাড়ের সমান।

৪। প্রতিদিন জাহান্নামের আযাব পূর্বের দিন থেকে আরও তীব্র আর ভয়াবহ করা হবে।

জাহান্নাম কেমন হবে ?
জাহান্নাম কেমন হবে ?

আরও পড়ুন:- ধৈর্য্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি

৫। জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটা যুক্ত গাছ আর পানীয় হবে ফুটন্ত পানি,পুঁজ ও রক্তের মিশ্রণ এবং উত্তপ্ত তেল।এরপরও জাহান্নাম বাসীর পিপাসা এতো বেশী হবে যে তারা এই পানীয় পান করতে থাকবে।

৬। জাহান্নামের এই ভয়াবহ কল্পনাতীত আযাব অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে, জাহান্নাম বাসীরা এক পর্যায়ে জাহান্নামের দেয়াল টপকিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে লোহার হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে ফেলে দেওয়া হবে।

জাহান্নাম কেমন হবে ? জাহান্নাম কেমন হবে ? জাহান্নাম কেমন হবে ?

জাহান্নামীদের বৈশিষ্ট্য

জাহান্নামে আগুন চরম তাপযুক্ত, যা মানবের কল্পনার বাইরে। সেখানে উত্তপ্ত লোহা, শুষ্ক আগুনের শিখা এবং বিষাক্ত ধোঁয়া থাকবে। মানুষকে তার দেহ, চামড়া ও হাড় পর্যন্ত পুড়িয়ে শাস্তি দেওয়া হবে। কোরআন উল্লেখ করেছে, “তার আগুনের তাপ এত কঠিন যে, তা শুধু পাপীর জন্য নয়, বরং অন্তর থেকে দগ্ধ করবে।”

জাহান্নামে তৃষ্ণা এবং ক্ষুধারও শাস্তি রয়েছে। তৃষ্ণা নিবৃত্ত করার জন্য জাহান্নামের পানীয় বিষাক্ত এবং অশুদ্ধ হবে। ক্ষুধার জন্য দেওয়া খাবার মানুষের চামড়া ও হাড়কে পোড়াবে। এছাড়া সেখানে শাস্তিপ্রাপ্তদের জন্য কঠোর শৃঙ্খলা, চিৎকার, কান্না ও যন্ত্রণার পরিবেশ থাকবে।

তাহলে জাহান্নাম শুধুই শাস্তির স্থান নয়, বরং মানুষের জন্য সতর্কবার্তা। এটি সবার মনে করিয়ে দেয় যে, পাপ থেকে বিরত থাকা, নেক কাজ করা এবং আল্লাহর আদেশ মেনে চলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের ভয়াবহতা কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের ভয়াবহতা কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের ভয়াবহতা কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের ভয়াবহতা কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের ভয়াবহতা কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের ভয়াবহতা

সময়ের সংলাপের ফেইসবুক পেইজ

গুম প্রতিরোধে নতুন অধ্যাদেশ জারি

বাংলাদেশে পেপ্যাল আসার সম্ভাবনা

সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স চাকরি বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *