ইসরায়েল ভ্রমন করতে পারবে বাংলাদেশীরা
ইসরায়েল ভ্রমন করতে পারবে বাংলাদেশীরা
বাংলাদেশী পাসপোর্ট হল একটি আইসিএও অনুগামী, মেশিন রিডেবল এবং বায়োমেট্রিক ই-পাসপোর্ট যেটি দ্বারা বিদেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জারি করা হয় এমন পরিচয়পত্র ।বাংলাদেশি নাগরিকদের পাসপোর্টে এক সময় লেখা থাকতো ”দিজ পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরায়েল, তাইওয়ান অ্যান্ড দ্য রিপাবলিক অব সাউথ আফ্রিকা । পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও তাইওয়ানের নামটি নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বাদ দিলেও ইসরায়েল এর নাম থেকে যায়। কেননা ইসরায়েল হলো অবৈধ ভূমি দখল কারি ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।
তবে এরই মধ্যে সরকার এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে, এখন থেকে নতুন ই পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েলের প্রসঙ্গটি ও বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন লেখা থাকছে- এই পাসপোর্ট বিশ্বের সব দেশের ভ্রমনের ক্ষেত্রে বৈধ।
সরকারের এমন সিদ্বান্তের প্রতি সাধারন মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিকৃয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই এর জোরালো প্রতিবাদ করেছেন। প্রতিবাদ করছেন বিশিষ্ট জনেরা –ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল স্যার তার ফেইসবুকে নিষিদ্ধ ইসরায়েল নামে একটি আর্টিকেল লিখেন। সেখানে তিনি লিখেনঃ-
নিষিদ্ধ ইসরায়েল
ড. আসিফ নজরুল
পাসপোর্ট থেকে যাতায়াত নিষিদ্ধ দেশ হিসেবে ইসরায়েলের নাম বাতিল করা ঠিক হয়নি বলে আমি মনে করি। ইসরায়েলের সাথে অন্য কোন মুসলিম দেশ সম্পক করেছে, ১৯৭১ সালে ইসরায়েলের কি ভূমিকা ছিল, আমাদের পাসপোর্ট-এর মান বাড়বে কিনা-এসব বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যে যুক্তি।
ইসরায়েল নিষিদ্ধ দেশের তালিকায় ছিল বঙ্গবন্ধু সরকারের সিদ্ধান্তক্রমে, সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের আলোকে। যে বিবেচনায় ইসরায়েলকে সেখানে রাখা হয়েছিল তা আজো অব্যহত আছে। ইসরায়েল বরং আরো দখলদার হয়েছে, আরো বেশী বর্বর হয়েছে প্যালেষ্টাইনীদের সাথে।
আমার প্রশ্ন তাহলে কি কারণে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হলো?
ভারতের সাথে ইসরায়েলের অতি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিবেচনায়? বাংলাদেশে নাগরিক অধিকারের উপর খবরদারীমূলক ব্যবস্থায় ইসরায়েলী সহায়তার আশায়?
তীব্র প্রতিবাদ করছি সরকারের এই পদক্ষেপের।