INTERNATIONAL NEWS

আল-অকসা মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন?

আল-অকসা মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন?

সৌদি আরবের মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীর  পরে মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র স্থান জেরুজালেমের পবিত্র ল-আকসা মসজিদ। আল-আকসা মসজিদটি ৭০৫ সালের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়।  আল-আকসা মসজিদটি প্রায় ১৪ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত।  ০২ টি বড় ও ১০ টি ছোট গম্বুজ বিশিষ্ঠ সজিদটিতে পেয়েছে নির্মাণ শিল্পে এক মনোমুগ্ধকর প্রতিচ্ছবি। হযরত সুলাইমান (আঃ) খ্রিষ্ঠপূর্ব ১০০৪ সালে মসজিদটি পূণঃনির্মাণ করেন। এরপর ভিবিন্ন সময়ে প্রয়োজনের তাগিদে এর সংস্কারের কাজ করা হয়। মসজিদটি সংস্কারে ব্যবহার করা হয় মার্বেল, সীসা ,পাথর ও স্বর্নসহ ভিবিন্ন ধরনে মূল্যবান ধাতু।

আল-অকসা মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন?
আল-অকসা মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন?

১৯৪৮ সালে জেরুজালেমের ভূমি অবৈদ ভাবে দখলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৬৭ সালে আরবদের সাথে যুদ্ধ শুরু হয় এতে ইসরায়েলের কাছে হেরে যায় এরপর আল-আকসা মসজিদের দখল হারায় ফিলিস্তিনিরা এবং জোরপূর্বক দখল করে ন্যায় ইসরায়েল। তারপর থেকেই এটি নিয়ন্ত্রন করে আসছে  অবৈধ ইসিরায়েলি বাহিনী। ঐতিহাসিক ভাবেই আল-আকসা মসজিদটি মুসলমানদের পবিত্র স্থান হওয়া স্বত্তে ও এটিকে মুসলমানদের পবিত্র স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনিস্ক।

আরব ইসরায়েল যুদ্ধের পরে আল-আকসা মসজিদটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিলো ইসরায়েল। এরপর নানা বিধিনিষেধ শর্ত পূরনের মাধ্যমে সেখানেই ইবাদত বন্দেগীর সুযোগ পেতেন সাধারন মুসল্লীরা।  ১৯৬৯ সালে পবিত্র এই মসজিদটিতে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর করেছিলো এই অবৈধ ইসরাইলি বাহিনী। এরপরও কয়েকবার ভিবিন্ন অযুহাতে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা মসজিদ ফিলিস্তিনিদের জন্য বন্ধ করে দ্যায়। ২০০৩ সালে জেরুজালেমে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দ্যায় ইসরায়েল। তারপর থেকে আবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে । ভিবিন্ন সময় ইহুদিরা মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে মুসল্লিদের উপর হামলা চালায়।

অধিকাংশ মানুষ জানেই না মুসলিমদের কাছে আল-আকসা মসজিদ কেন এতোটা গুরুত্বপূর্ণ?

 ১) পবিত্র কোরআনে সবচেয়ে বেশি মহান আল্লাহ এই মসজিদটি ‍নিয়ে আলোচনা করেছেন।

২) এই মসজিদের পাথরের গায়ে লেখা আছে সম্পূর্ণ সূরা ইয়াসিন।

৩) এই মসজিদের নির্মাণের সাথে জড়িয়ে আছে হযরত আদম (আঃ) ও হযরত সুলাইমান (আঃ) এর নাম।

 ৪) এখানে রয়েছে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এবং হযরত মুসা (আঃ) সহ অনেক নবী রাসুলের কবর।

৫) এখান থেকেই হযরত মুহাম্মদ  (সঃ) সকল নবী রাসুলদের এবং ফেরেস্তাদেরকে নিয়ে নামাজ পড়ছিলেন। সেই জামাআ’তের ইমাম ছিলেন নবীকারিম (সঃ) এবং এই জামাআ’তে মতান্তরে ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবী রাসুল ছিলেন।

৬)  খলিফা হযরত উমর (রাঃ) এর বিখ্যাত উটের বিরল ঘটনা এখানের সাথে জড়িয়ে আছে।

৭) এই মসজিদটি  তৈরীর যে পাথর ব্যবহার করা হয়েছে তা নদীর তলদেশ থেকে জীনের সাহায্যে উত্তোলন করা হয়েছে।

 ৮) এখান থেকেই হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বোরাকে করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎএর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন।

৯) এই মসজিদে ২ রাকাআ’ত নামাজ আদায় করলে ২৫ হাজার রাকাআ’ত নামাজের সওয়াব লেখা হয়।

আল-আকসায় ঈদের নামাজ
আল-আকসায় ঈদের নামাজ

আল-অকসা মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন? আল-অকসা মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন? আল-অকসা মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন? আল-অকসা মুসলিমদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *