News

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

Table of Contents

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

১. রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র: পরিচিতি

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (Rampal Thermal Power Plant) বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত উন্নয়ন প্রকল্প। এটি খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় অবস্থিত এবং প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক নাম “মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রোজেক্ট”, যা বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে। এই প্রকল্পটি ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলা এবং শিল্পায়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।

প্রকল্পটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় উন্নয়ন লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলেও এর সমালোচনার ঝড় তুলেছে পরিবেশবাদী মহল। কেননা, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের খুব কাছেই নির্মিত হচ্ছে। এই প্রকল্প, একদিকে দেশের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করবে, অন্যদিকে পরিবেশগত হুমকি তৈরি করছে—এ নিয়ে চলছে দীর্ঘ বিতর্ক।

২. প্রকল্পের পটভূমি ও সূচনা

বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৯ সালের আগে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল সীমিত, লোডশেডিং ছিল ভয়াবহ। ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল প্রায় ৪,০০০-৫,০০০ মেগাওয়াট, যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ২৫,০০০ মেগাওয়াটের বেশি। এই বৃদ্ধি সক্ষম হয়েছে নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্প ও জ্বালানি উৎসে বিনিয়োগের কারণে।

২০১০ সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথ বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প করার পরিকল্পনা নেয়, যার ফলস্বরূপ গঠিত হয় Bangladesh India Friendship Power Company Limited (BIFPCL)। এর অধীনেই রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়। প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৩ সালে অনুমোদন পায় এবং ২০১৬ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

৩. প্রকল্পের প্রযুক্তিগত বিবরণ

  • প্রকল্প ক্ষমতা: ১৩২০ মেগাওয়াট
  • ইউনিট সংখ্যা: ২টি (প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াট)
  • জ্বালানি: বিটুমিনাস কোয়াল (Coal)
  • কোথা থেকে কয়লা আসবে: ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশ
  • নির্মাণ ব্যয়: প্রায় ১.৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
  • অংশীদার: BPDB (বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) + NTPC (ইন্ডিয়া)
  • প্রযুক্তি: Ultra Super Critical Technology

এই প্রযুক্তি দাবি করা হচ্ছে কম কার্বন নিঃসরণ এবং উচ্চতর জ্বালানি দক্ষতার সমন্বয় ঘটাবে।

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র — পরিবেশগত বিতর্ক, ঝুঁকি ও প্রতিক্রিয়া

৪. কেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বিতর্কিত?

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবচেয়ে বড় সমালোচনা এসেছে এর অবস্থানকে ঘিরে। প্রকল্পটি সুন্দরবন থেকে মাত্র প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় এটি বাংলাদেশের এবং বিশ্বের পরিবেশবিদ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবিদদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগের কারণ হয়েছে। সুন্দরবন প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি, যা শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদই নয় বরং একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (UNESCO World Heritage Site)।

সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে রামপাল প্রকল্পে দু’ধরনের মূল উদ্বেগ উদ্ভূত হয়েছে:

  • পরিবেশ ক্ষতির আশঙ্কা
  • প্রাণবৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়া

পরিবেশবিদদের মতে, কয়লা পোড়ানোর ফলে যে কার্বন নিঃসরণ হবে, তা বায়ুদূষণ বৃদ্ধি করে সুন্দরবনের প্রাণী ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাছাড়া, নদীপথে কয়লা পরিবহণের সময় নদীদূষণ, জাহাজদুর্ঘটনা বা জ্বালানি তরল নিঃসরণের ঝুঁকিও রয়েছে।


৫. কয়লা: একটি ‘ডার্টি এনার্জি’?

রামপাল প্রকল্পে কয়লা ব্যবহার করা হবে, এবং এতে জ্বালানি উৎপাদনে দক্ষতা যেমন বেশি, তেমন পরিবেশগত ঝুঁকিও রয়েছে। কয়লা পোড়ানোর ফলে নির্গত হয়—

  • কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) – জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারক
  • সালফার ডাই অক্সাইড (SO₂) – অ্যাসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করে
  • নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOₓ) – মানব শ্বাসকষ্ট ও গাছের ক্ষতি করে
  • পারদ ও ভারী ধাতু – মাটিকে বিষাক্ত করে

যদিও সরকারি পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে Ultra Super Critical প্রযুক্তি ব্যবহার করে দূষণ কমানো হবে, কিন্তু পরিবেশবিদরা বিশ্বাস করেন না যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়েও সুন্দরবনকে পুরোপুরি রক্ষা করা সম্ভব হবে।


৬. সুন্দরবন: প্রাকৃতিক ঢাল, প্রাকৃতিক সম্পদ

সুন্দরবন শুধুমাত্র একটি বনই নয়; এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলকে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষা করে একটি জীবন্ত ঢাল হিসেবে কাজ করে। সুন্দরবনে রয়েছে—

  • ১০৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী
  • ২৫৮ প্রজাতির পাখি
  • ৬৯ প্রজাতির সরীসৃপ
  • ১২০ প্রজাতির মাছ

এছাড়াও রয়েছে বিশ্বখ্যাত বাঘ ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’, যা আন্তর্জাতিক পর্যটনের একটি আকর্ষণ।

রামপাল প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাব:

  • বনভূমির জৈবিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে
  • বাঘের সংখ্যা কমার আশঙ্কা
  • নদী দূষণের ফলে জলজ প্রাণী হুমকিতে পড়বে
  • পরিবেশ দুর্যোগ ঠেকানোর দরজা বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা

৭. সরকারের যুক্তি

সরকার বলছে, রামপাল প্রকল্প দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরি এবং সুন্দরবনের ওপর কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। কিছু প্রধান যুক্তি হলো:

অর্থনৈতিক উন্নয়ন: পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ পেলে দেশ শিল্পায়নে এগিয়ে যাবে
প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা: Ultra Super Critical Technology ব্যবহার করা হচ্ছে
দূরত্ব নিরাপদ: প্রকল্পটি সুন্দরবনের প্রধান সীমানা থেকে যথেষ্ট দূরে
পরিবেশবান্ধব: বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আধুনিক ফিল্টার বসানো হবে


৮. আন্দোলন, প্রতিবাদ ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ কর্মী, সাধারণ জনগণ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো (যেমন Greenpeace, UNESCO) রামপাল প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে।

✅ ঢাকা-দিল্লি মার্চ
✅ “Save Sundarbans” ক্যাম্পেইন
✅ জাতিসংঘের UNESCO তীব্র আপত্তি জানিয়েছে
✅ সুপ্রিম কোর্টে কয়েকটি রিট দায়ের করা হয়েছিল

তবুও প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়নি। সরকারি পক্ষ থেকে যাবতীয় আইনগত ও পরিবেশগত শর্ত পূরণ করার কথা বলা হয়েছে।


৯. রামপাল প্রকল্পের অর্থনীতি

যদিও পরিবেশ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, কিন্তু অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ বলছে—

  • শিল্প এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়বে
  • কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে
  • বিদ্যুৎ আমদানি কমবে
  • বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা

কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে কয়লা আমদানি খরচ, পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ খরচ এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি—এসব বিবেচনা করে কেউ কেউ বলছেন, খানিকটা অদূরদর্শিতা আছে।

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে ব্যবহৃত প্রযুক্তি

✅ Ultra Super Critical (USC) প্রযুক্তি কী?

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ হচ্ছে Ultra Super Critical (USC) প্রযুক্তির সাহায্যে। এটি এক ধরনের আধুনিক কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি, যেখানে—

  • বয়লারের ভেতরে অতিরিক্ত তাপ (৬০০°C-এর বেশি) ও চাপ ব্যবহার করা হয়
  • কয়লা কম পরিমাণে পোড়ে, কিন্তু বেশি শক্তি উৎপন্ন করে
  • CO₂ নিঃসরণ কম হয় (প্রচলিত প্রযুক্তির তুলনায় ৮%–১০% কম)
  • কার্যকারিতা (efficiency) ৪৫%-এর বেশি

বাংলাদেশে এটি হচ্ছে প্রথম Ultra Super Critical প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র।


⚙️ নিরাপত্তা প্রযুক্তি:

১. Electrostatic Precipitators (ESP): কয়লা পোড়ানোর ফলে যে ধোঁয়া তৈরি হবে, ESP দিয়ে তা ছেঁকে ফেলা হবে।
২. Flue Gas Desulfurization (FGD): সালফার ডাই অক্সাইড (SO₂) দূর করতে ব্যবহৃত ফিল্টার।
৩. Low-NOx Burner: নাইট্রোজেন অক্সাইড কমাতে।
৪. Continuous Emission Monitoring System (CEMS): নির্গত গ্যাসের ধরণ ও পরিমাণ ২৪/৭ নজরদারি।

📌 সরকারের দাবি: এসব প্রযুক্তি প্রয়োগ করলে সুন্দরবনের দূষণের ঝুঁকি “নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় থাকবে।”
📌 পরিবেশবিদদের দাবি: প্রযুক্তির কার্যকারিতা বাস্তবে পরীক্ষা না করলে দাবিটি কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ।


🚢 কয়লা কীভাবে আসবে? পরিবহন রুট ও ঝুঁকি

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে বছরে প্রায় ৪.৭ মিলিয়ন টন কয়লা ব্যবহার হবে। এগুলো ভারতের ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন বন্দর থেকে মোংলা বন্দরে আসবে।

কয়লা পরিবহণ রুট:

🔹 সমুদ্র → মোংলা বন্দর → পশুর নদী → রামপাল
🔹 বার্জ (নৌযান) ব্যবহার করা হবে নদীপথে বাল্ক পরিবহণে
🔹 আনলোডিং টার্মিনাল থাকবে প্রকল্প এলাকায়

পরিবেশগত ঝুঁকি:

  1. তেল ফাঁস বা কয়লা ছড়িয়ে পড়লে নদী দূষিত হবে
  2. সুন্দরবনের হালকা জাহাজ চলাচল বাড়লে প্রাণী ও জলজ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে
  3. ঘোলা পানি, শব্দ দূষণ → মাছের প্রজনন ও বটগাছের শ্বাসমূল (pneumatophore) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা

🛑 ২০১৬ সালে সুন্দরবনের একটি নদীতে কয়াবার (coal-laden ship) ডুবে গিয়ে তেল ছড়িয়ে পড়েছিল—এর ফলে মৃত মাছ, কচ্ছপ ও বিভিন্ন পাখির মৃত্যু হয়।


🌍 বিশ্বে কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র – রামপালের সঙ্গে তুলনা

দেশপ্রকল্পের নামক্ষমতাপ্রযুক্তিপরিবেশগত প্রতিক্রিয়া
ভারতটাটা মুন্দ্রা৪,০০০ MWUltra Super CriticalCO₂ নিঃসরণ, উদ্ধারকাজ ব্যয়বহুল
জাপানইশিনোমাকি১,০০০ MWClean Coal Techপরিবেশবান্ধব দাবি, তবুও ঝুঁকি
চীনশ্যানডং৬,০০০ MWSuper Criticalকয়লার কারণে দূষণ উচ্চ মাত্রায়
বাংলাদেশরামপাল (BIFPCL)১,৩২০ MWUltra Super Criticalসুন্দরবনের ওপর ঝুঁকি, আন্দোলন চলছে

✅ চীনের মতো দেশ কয়লার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে Clean Coal Technology বা Nuclear Power-এ যাচ্ছে
✅ ভারতও ধীরে ধীরে সোলার এবং উইন্ড এনার্জিতে জোর দিচ্ছে
✅ বাংলাদেশ এখনও কয়লা-ভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবের দিকে চিন্তার বিষয়


🌱 বিকল্প জ্বালানি উৎস – একটি টেকসই পথ?

বাংলাদেশের জলবায়ু, ভৌগোলিক বর্তমান পরিস্থিতিতে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ সেরা বিকল্প নয় বলে সক্রিয় পরিবেশবিদরা বলে থাকেন। নিম্নে কয়েকটি বিকল্প তুলে ধরা হলো:

🔋 ১. সোলার পাওয়ার

✅ পরিবেশবান্ধব
✅ রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম
❌ অনেক জায়গা লাগে
❌ অনিয়মিত আলো (মেঘলা দিনে সমস্যা)

🌬️ ২. উইন্ড এনার্জি

✅ উপকূলীয় এলাকায় উচ্চ সম্ভাবনা
✅ স্থায়ী শক্তির উৎস
❌ টারবাইনের খরচ বেশি
❌ শব্দ দূষণ হতে পারে

🌊 ৩. জোয়ার-ভাটা বিদ্যুৎ

✅ সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকায় সম্ভব
✅ একবার বসালে দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী
❌ নির্মাণ ব্যয় বেশি
❌ প্রযুক্তি জটিল

🔥 ৪. প্রাকৃতিক গ্যাস (ক্লিনার ফুয়েল)

✅ কয়লার তুলনায় কম দূষণ
✅ পরিবহন সহজ
❌ গ্যাস স্বল্পতা, রিজার্ভ কম

🟢 শক্তি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: বাংলাদেশকে renewable energy roadmap তৈরিতে দ্রুত এগোতে হবে।


🧭 পরিশেষ — রামপাল প্রকল্প: উন্নয়ন না ধ্বংসের সূচনা?

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র:

  • ✅ দেশের জ্বালানি সংকট কমাবে
  • ✅ শিল্প এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সহজ করবে
  • ✅ প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত

কিন্তু

  • ❌ সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে
  • ❌ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাড়বে
  • ❌ পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ হারানোর সম্ভাবনা

সুতরাং, রামপাল প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য একটি দ্বিমুখী তলোয়ার। একদিকে উন্নয়নের প্রতীক, অন্যদিকে পরিবেশগত সংকটের সম্ভাব্য কারিগর।


📚 রেফারেন্স (উদাহরণ)

Rampal Power Station — Wikipedia Wikipedia

Global Energy Monitor: Rampal power station Global Energy Monitor

The Daily Star: Rampal Power Plant Bangladesh The Daily Star

BIFPCL (Bangladesh-India Friendship Power Company Ltd) About Us bifpcl.com

Energy Transition BD: Rampal 1320 MW Coal Power Plant EnergyTransitionBD

IEEFA: Risky and Over-Subsidised – A Financial Analysis of the Rampal Power Plant IEEFA

BankTrack: Rampal coal power plant Banktrack

UNESCO: World Heritage Centre and IUCN call for relocation of Rampal power plant UNESCO World

    রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্ররামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3

    শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

    মংলা সমুদ্র বন্দর বিস্তারিত

    পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র Payra Thermal Power Plant

    মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর

    মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর

    ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

    কর্ণফুলী টানেল — সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ

    অক্টোপাস রহস্যময় বুদ্ধিমান সামুদ্রিক প্রাণী

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *