যে বনে পুরুষের যাওয়া সম্পুর্ন নিষেধ

যে বনে পুরুষের যাওয়া সম্পুর্ন নিষেধ ইন্দোনেশিয়ার একটি বনে শুধু নারীরাই যেতে পারবে ওখানে পুরুষের যাওয়া সম্পুর্ন নিষেধ । নারীদের অবয়ারন্য হিসেবে বিবেচিত এ বনটিতে পুরুষেরা উঁকি দিলেও তাদের জরিমানা অথবা শাস্তির মুখোমুখি পরতে হয়। এই বনের মধ্যে নারীরা কেন যায় আর কি আছে বনটিতে? তা উঠে এসেছে বিবিসির একটি অনুসন্ধানে। এটি হলো ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ার বন, যেখানে পুরুষদের প্রবেশ করা সম্পূর্ন নিষেধ। এখানে নারীরা মূলত আসে ঝিনুক সংগ্রহ করতে । ”আদ্রিয়ানা মেরাউদজি” নামে সেখানকার গ্রামের এক নারী বলেন “এটা  সব সময়ই নারীদের বন ছিলো যার অস্তিস্ত আমার জন্মের আগে থেকেই। এখানে সবসময় একই নিয়ম চলে আসছে । এই বনে প্রবেশ করতে হলে নারীদের নগ্ন হতে হবে যেখানে কাপড় পরা যাবেনা। যাদি কোন পুরুষ উঁকিও মারে তাহলে তাকে শস্তি ও জরিমানা করা হবে। আমরা যদি কোন পুরুষকে বনের ভিতর পাই তাহলে তাকে ধরে আমাদের আদিবাসী আদালতে নিয়ে যাই এবং সেখানে তাদের বিচার করা হয়। অনুপ্রবেশকারীদের ১০ লাখ রুপিয়া(৬৯ ডলার) পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।  এই জরিমানার অর্থ সাধারনত চকচকে পাথরের বিনিময়ে নেয়া হয়।  আমরা সাধানত ভাটার সময় সেখানে যাই এবং গ্রমের অনেক মেয়েরাই যায়। আমরা বনের ভিতরে নৌকা নিয়ে প্রবেশ করি , সেখানে প্রবেশ করার পর থেকে আমরা স্বাধীন কারন সেখানে কোন পুরুষ নেই সেখানে শুধু আমরা নারীরাই তাই সবার সাথে  খোলামেলা গল্প করতে পারি । আমরা সাগরের ভিতরে আমাদের শরীর ডুবিয়ে রাখি এরপর কাদা থেকে ঝিনুক খুজে বের করি। নারীদের জন্য এ পবিত্র বনটি এখন হুমকির মুখে পরে গেছে।  ৫০ বছর আগে আয়তনে যা ছিলো তা এখন অর্ধেক হয়ে গেছে। আগে সাগর যেমন ছিলো এখন তেমনটা নেই সম্পূর্ন বদলে গেছে । আগে সাগর অনেক সুন্দর , পরি্স্কার আর স্বচ্ছ ছিলো। কিন্তু দুঃখ্যজনকভাবে এটি এখন দূষিত হয়ে যাচ্ছে কার এটাতে আনেক ময়লা রয়েছে । শহর থেকে যে ময়লা ফেলা হচ্ছে তা বৃষ্টিতে ধুয়ে এদিকে চলে আসে। ‍আমি অনেক সময় নিজে নিজে বলি আমাদের সাগরটার কি হলো। বন থেকে আহরন করা ঝিনুক পাশের বাজারে বিক্রি  করে  নারীরা । তিনি বলেন আমাদের উপকূলে নারীদের এই বন খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এই বন ছাড়া আমরা বাঁচতে পারব না। ঝিনুকের সন্ধানে আমরা প্রতিদিন এখানে আসবো  কেননা্ এখানে নারীরা একে অন্যের উপর নির্ভরশীল।  আমরা এটাকে কখনও হারিয়ে যেতে দিব না।

Read more