Shocking Truthহিজড়াদের অমানবিকতা
Shocking Truthহিজড়াদের অমানবিকতা
একটা আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি, থাকি মতিঝিলে। আজ ১৮/৮/২০২১ অফিসের কাজে উত্তরা গিয়েছিলাম। কাজ শেষে ৩.৩০ এর দিকে আবার বাসায় ফেরার জন্য রওনা দিলাম । আমি জসিমউদ্দীন থেকে আজমেরী পরিবহনে পুরানা পল্টন যাব। বিকাল ৪ টার দিকে আমার বাস বনানী সিগনাল পার হলো এবং বাসটি ঠিক কাকলি পর্যন্ত আসল। তখন একটা হিজড়া বাসের ভিতরে উঠে পড়ল এবং টাকা চাচ্ছিল। আমার কাছেও টাকা চাইল, আমি বললাম আমি টাকা দিতে পারব না। আমার পাশে এক ভদ্র মহিলা বসা ছিলো তাকে বললো তুই এখান থেকে উঠে অন্য সিটে যা, সেও উঠে চলে গেলো। কখন হিজরাটা আমার পাশে বসল এবং অকথ্য ভাষা প্রয়োগ করা শুরু করল। আমি বললম আমি টাকা দিব না অন্য দিক দেখো। সে আমার কাছ থেকে টাকা নিবেই না দিলে সে যাবেনা এবং অকথ্য ভাষায় গালি দিচ্ছে এবং শরীরে হাত দিচ্ছে। একটা সময় আমার মাক্স টেনে ছিড়ে ফেলে দিল। আমার দুই হাতে হাতে নখের খামচি বসিয়ে দিল। সাথে দু”হাত থেকে রক্ত বের হলো।
বাসের ভিতরে থাকা এক মুরব্বি হিজড়াকে বলতে ছিলো তুমি ওর সাথে খারাপ আচরন করছো কেন? হিজরাটা সাথে সাথে তার দিকে তেড়ে গেলো এবং এক পর্যায় হিজড়া নিজের কাপড় চোপড়া সব খুলো ফেললো। আমি তখন বললাম আমার কাছে ১০ টাকা নেই, আপনি আমাকে দশ টাকা দিন আমি ২০ টাকা দিচ্ছি, তাও হিজড়াটা রাজি হলোনা। সে বলে আগে টাকা দে আমি খুচরা দিচ্ছি, আমি বললাম আপনি খুচরা দিন ১০ টাকা আমি পরে টাকা দিচ্ছি। হিজড়া তখন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গলা চেপে ধরল এবং গলায় নখ বসিয়ে দিল।
আমি চিৎকার করছি বাসের ভিতরে বসে , বাসের ভিতরে থাকা যাত্রীদের বলছি দেখেন সে আমার সাথে কেমন আচারণ করছে, তবুও বাসের ভিতরে থাক যাত্রীরা কোন প্রতিবাদ করলো না। এমনকি বাসের হেলপার, কন্ট্রাক্টর ও এগিয়ে আসলোনা। এক পর্যায়ে আমি হিজড়ার হাতে ২০ টাকা দিয়ে দেই সে টাকাটা নিয়ে দৌড়ে চলে যায়।
সাথে সাথে আমি ৯৯৯-এ যোগাযোগ করি। তারা আমাকে লাইনে রেখে আমার বিস্তারিত জানতে চাইলেন এবং আমি এখন কোথায় আছি, কোন খানে বসে হিজড়াদের কাছ থেকে লাঞ্ছিত হয়েছি সব শুনে ৯৯৯ থেকে কল কনফারেন্স করে বনানী থানার সাথে কথা বলালো এবং আমিও বিস্তারিত সব বললাম। সেখান থেকে তারা বনানী এরিয়াতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার ফোন নম্বর দিলেন এবং তাহারা বললেন আমাদের পক্ষ থেকে আমারা ব্যাবস্থা নিচ্ছি, আপনি একটু ওখানের ডিউটি অফিসারদের জানিয়ে রাখেন।
আমি তাদের কল কেটে দিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারকে ফোন দিলাম এবং আমার উপর বর্বর আচারণের বর্ণনা দিলাম এবং ক্ষত স্থান গুলোর ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপে তাকে পাঠালাম। কিছুক্ষণ পরে বনানী থানা থেকে পুলিশ আমাকে কল করে বলেন আপনি কোথায় আছেন ? আমি তখন বললাম আমি তেজগাঁও পার হয়েছি, মতিঝিল যাচ্ছি। সে বলে আচ্ছা আপনি সাবধানে গিয়ে পৌছিয়ে আমদের এ নম্বরে জানিয়ে দিয়েন।
আমার পক্ষ থেকে ধন্যবান জানাচ্ছি বনানী থানার দ্বায়িত্বরত পুলিশ অফিসারদের এবং ৯৯৯ -এর কর্মকতাদের। তারা আমার বিষয়টা খুব গুরুত্ব দিয়েছে এবং আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। তবে পুলিশের কাছে আমার অনুরোধ এই হিজড়াদের অত্যাচার থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করুন। আপনাদের চোখের সামনেই তারা প্রতিদিন প্রতিটি বাসের যাত্রীর কাছ থেকে টাকা তুলছে। থানার পাশের রোড়ে জদি এমন অবস্থা হয় তাহলে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এমন জুলাম ও চাঁদাবাজির জন্য হিজড়াদের বিরুদ্ধে আপনাদের পদক্ষেপ নেয়া জরুরী মনে করি।
Shocking Truthহিজড়াদের অমানবিকতা Shocking Truthহিজড়াদের অমানবিকতা Shocking Truthহিজড়াদের অমানবিকতা Shocking Truthহিজড়াদের অমানবিকতা Shocking Truthহিজড়াদের অমানবিকতা
ইবনে সিনা ট্রাস্ট অভিজ্ঞতা ছাড়া চাকরি
কাজী ফার্মস গ্রুপে চাকরির সুযোগ

