গণহত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁ-সির রায় ও প্রসঙ্গ
গণহত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁ-সির রায় ও প্রসঙ্গ
গত ১৭ নভেম্বর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (ICT-1) তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল, যার নেতৃত্ব দেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, ঘোষণা করেছে যে সংযুক্ত মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপ-রাধের দায়ে ফাঁ-সির রায় দেওয়া হয়েছে। মামলাটি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থান ও বি-ক্ষোভ দমন অভিযান-এর ঘটনা নিয়ে, যা দেশজুড়ে বড় ধরনের সহিংসতা এবং প্রাণ-হানি ঘটিয়েছে।
মামলা ও অভিযোগের সারোয়ারি
- বিচার বিভাগের ঘটনা অনুসারে, ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচটি প্রধান অভিযোগ আনা ছিল: উস্কানিমূলক বক্তব্য, হেলিকপ্টার-ড্রোন থেকে প্রাণ-ঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, রাঙ্গপুরে একটি ছাত্রের হ-ত্যা, ঢাকার চানখারপুল এলাকায় গণবিক্ষোভকারীদের ওপর গু-লি চালিয়ে হত্যা-কাণ্ড, এবং আশুলিয়ায় নিহতদের দাহসহ দেহগুলি জ্বলিয়ে রাখা।
- প্রসিকিউশনের দাবি ছিল, এই ঘটনায় প্রায় ১,৪০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫,০০০ জন আহত বা অঙ্গ-হানিকর দৃষ্টান্ত পাওয়া গেছে।
- মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
- আইজিপি আল-মামুন গ্রেপ্তার হন এবং পরে স্টেট উইটনেস (রাজ্য সাক্ষী) হিসেবে নিজ দোষ স্বীকার করেন।
- প্রসিকিউশনের পক্ষে আইনগত দায়িত্ব পালন করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সাক্ষ্য ও বিচার প্রক্রিয়া
- মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, এবং তাদের মধ্যে নিহত বা আহত ছাত্রদের পরিবার, রাজনৈতিক নেতারা ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আছেন।
- শেষ সাক্ষ্যজট সম্প্রতি শেষ হয়; সর্বশেষ সাক্ষীর একাধিক তথ্য ও ভিডিও, ফটো প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
- ট্রাইব্যুনাল এই রায় পাঠানোর সময় বিচারিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলেছে যে, তাদের আইনগত সুযোগই ক্ষমতা দিয়েছে এই মামলাটির বিচার করার জন্য।

নিরাপত্তা ও সামাজিক প্রভাব
- রায় ঘোষণার আগে ঢাকার আদালতের আশপাশে মাল্টি-লেয়ার নিরাপত্তা ব্যপ্ত করা হয়, যাতে সম্ভাব্য অব্যাহত উত্তেজনা বা সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
- রাষ্ট্র পক্ষ রায়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তি ও পোস্ট–রায় ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে, যাতে নিহত বা আহতদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেওয়া যায়।
- প্রসিকিউশন পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ইন্টারপোল গ্রেপ্তারি নোটিশ চাইবে শেখ হাসিনার জন্য, যেহেতু তিনি দেশত্যাগ করেছেন এবং বর্তমানে দেশে উপস্থিত নন।
- মাঝেমধ্যে ট্রাইব্যুনাল-এর কার্যক্রম টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে; এটি দর্শক ও জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এটি বিচারের স্বচ্ছতা ও তথ্যপ্রবাহকে বাড়ায়।
ইসরায়েলের সামরিক হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা
গণহত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁ-সির রায় ও প্রসঙ্গ গণহত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁ-সির রায় ও প্রসঙ্গ গণহত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁ-সির রায় ও প্রসঙ্গ গণহত্যার দায়ে ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁ-সির রায় ও প্রসঙ্গ

