Techonology

১৫ বছরের নিচে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার নিষেধ

Table of Contents

১৫ বছরের নিচে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার নিষেধ

সামারি: ডেনমার্ক সরকার ২০২৫ সালের নভেম্বরের প্রথমার্ধে রাজনৈতিক সম্মতিতে পৌঁছেছে একটি কঠোর পদক্ষেপে — দেশের শিশু ও কিশোরদের নিরাপত্তা বাড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৫ বছরের নীচে স্ব-নিবন্ধন (self-registration) নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা। কেবলমাত্র অভিভাবক অনুমোদনের শর্তে ১৩–১৪ বছর বয়সীরা সীমিতভাবে ব্যবহার করতে পারবে বলে ধার্য করা হয়েছে; প্রয়োগ ও যাচাই-ব্যবস্থার জন্য জাতীয় ই-আইডি সিস্টেম ও অ্যাপ ব্যবহার করা হবে বলে জানা যায়।


কেন এই পদক্ষেপ? — নীতিগত প্রেক্ষাপট ও সরকারী যুক্তি

ডেনমার্কের নেতারা জানাচ্ছেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তরুণদের মানসিক ও সামাজিক কল্যাণে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে — উদ্বেগ রয়েছে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, ঘুমে ব্যাঘাত, পাঠ্য দক্ষতায় প্রভাব ও অনুপযোগী কন্টেন্ট-ইন্ডাক্টেড ঝুঁকিতে। প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডারিকসেন (Mette Frederiksen) বলছেন— স্মার্টফোন ও সামাজিক মিডিয়া অনেকাংশে “শিশুকাল চুরি” করছে; তাই রক্ষামূলক নীতি নেয়া জরুরি। ডিজিটালি­জেশন মন্ত্রী ক্যারোলাইন স্টেজও অনলাইন বিপদ ও টেক কোম্পানিগুলোর দায়িত্বহীনতা নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন। The Guardian


কী ধরনভাবে কাজ করবে আইন/চুক্তিটি? — মূল পয়েন্টগুলো

  • ন্যূনতম বয়স: ১৫ বছর — এই বয়সের নিচে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনও ব্যক্তি সামাজিক মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না। Reuters
  • অভিভাবক-অনুমোদন: ১৩–১৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে অভিভাবক নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ও মূল্যায়ন (assessment) করলে সীমিত অনুমতি দেওয়ার সুযোগ থাকবে। AP News
  • প্রবিধান/প্রযুক্তি: দেশটির ই-আইডি সুবিধা (national electronic ID) ব্যবহার করে বয়স যাচাই এবং একটি নির্দিষ্ট age-verification অ্যাপ/প্ল্যাটফর্ম চালু করার পরিকল্পনা আছে।
  • দণ্ডবিধি ও নিযুক্তি: অসঙ্গতি বা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কোম্পানির বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপের কথা বলা হচ্ছে — রিপোর্ট অনুযায়ী বড় সমিতিগুলোর জন্য ৬% পর্যন্ত গ্লোবাল রেভেন্যুর সমমান জরিমানা হতে পারে। (প্রস্তাবনাস্বরূপ উচ্চ স্তরের অর্থহানি ধার্যযোগ্যতা বিবেচনা করা হচ্ছে)।

কাকে লক্ষ্য করছে — কোন প্ল্যাটফর্ম ও ব্যবহারকারীরা?

প্রস্তাব বা রাজনৈতিক চুক্তিটি মূলত সেই প্ল্যাটফর্মগুলোকে টার্গেট করে যেখানে কিশোর ব্যবহার বেশি — যেমন TikTok, Instagram, Snapchat, YouTube (শেয়ারিং/সোশ্যাল অংশ) প্রভৃতি। EU-র Digital Services Act-এর বাধ্যবাধকতার বাইরে দুটি স্তরে (EU-wide rules এবং ন্যাশনাল enforcement) ডেনমার্ক আরো শক্ত ব্যবস্থা নিতে চাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা বলছেন।


আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট — ডেনমার্ক একাই নয়

ডেনমার্কের পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক ধারা/রূপান্তরের অংশ। অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে ও আরও কিছু দেশ ইতোমধ্যেই অনুরূপ বয়স-নিয়ন্ত্রণ বা অ্যাকাউন্ট-নিষেধ/বড় সীমা নিয়ে নীতি নিয়েছে বা কার্যকর করছে; EU-র DSA (Digital Services Act)-এ ১৩ বছরের নিচে অ্যাকাউন্ট তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাস্তব প্রয়োগ কঠিন। ডেনমার্কের ন্যাশনাল আইডি-ভিত্তিক age-verification ধারণা যুগোপযোগী হলেও ইউরোপীয় অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য ও প্রযুক্তিগত বানধবাধকতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।


বাস্তবায়ন-চ্যালেঞ্জ ও প্রযুক্তিগত সমস্যা

  1. বয়স যাচাই (Age verification): আইডি-ভিত্তিক ভেরিফিকেশন কার্যকর হলেও গোপনীয়তা-উপদ্রব (privacy) এবং ডেটা-রক্ষা (data protection) নিয়ে আইনগত বিতর্ক হবে। অনেকে বলছেন, ছোটদের তথ্য ও পাসপোর্ট-ধাঁচের যাচাই সেন্ট্রাল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠালে ঝুঁকি বাড়ে।
  2. বিকল্প অ্যাক্সেস ও কাজেরোরোটা (Workarounds): VPN, ভুয়া জন্মতারিখ, অন্য কারো আইডি ব্যবহার ইত্যাদি — কিশোররা সহজেই বায়পাস করতে পারে; ফলে enforcement কঠিন হতে পারে।
  3. প্রযুক্তি-প্ল্যাটফর্মের প্রতিরোধ: বড় টেক কোম্পানি তাদের ব্যবসায়িক মডেল ও বিজ্ঞাপন-ইকোসিস্টেম রক্ষার জন্য আইন আটকে দেবার চেষ্টা করতে পারে; কোর্ট-লড়াই ও লবি-চেষ্টাও হতে পারে।
  4. শিক্ষা ও সামাজিক প্রভাব: অনেকে বলছেন নিষেধাজ্ঞা একাই যথেষ্ট নয় — ডিজিটাল সাক্ষরতা, পিতামাতাদের সহযোগিতা ও স্কুল-নীতির প্রয়োজন আছে।

বিশেষ মন্তব্য ও সমালোচনা (ভিত্তি ও যুক্তি)

  • সমর্থকরা বলেন: কঠোর নিয়ম শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর; প্ল্যাটফর্মগুলোর “attention economy” শিশুদের জন্য ক্ষতিকর; শক্ত আইন ব্র্যান্ডগুলোকে জবাবদিহি শেখাবে।
  • সমালোচকরা বলেন: আইন বাস্তবায়ন কঠিন; অধিক নিয়ন্ত্রণ গোপনীয়তা ঝুঁকি বাড়াবে; সন্তান-সম্ভাল ও শিক্ষা-প্রকল্পে বিনিয়োগই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। প্রযুক্তিগত ব্যত্যয় ও টেকনিক্যাল বাইপাস-সমস্যাও উল্লেখ করা হয়।

সম্ভাব্য প্রভাব (স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি)

  • স্বল্পমেয়াদে: প্ল্যাটফর্মগুলোর ব্যবহার প্রোফাইল বদলে যেতে পারে; নতুন age-verification সেবা ও প্যারেন্টাল-কন্ট্রোল অ্যাপের চাহিদা বাড়বে; কিশোরদের অনলাইন-আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে।
  • দীর্ঘমেয়াদে: শিশুদের অনলাইন-অভিজ্ঞতা ও মানসিক স্বাস্থ্যে কোনো বাস্তব উন্নতি ঘটলে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশও অনুকরণ করতে পারে; বিপরীতে, enforcement অসম্পূর্ণ হলে নকল অ্যাকাউন্ট ও গোপনীয়তা হুমকির কারণে আইন অকার্যকরও হতে পারে।

সরকার কি বলছে — সময়রেখা ও পরবর্তী ধাপ

সরকারি পক্ষ বলেছে রাজনৈতিক চুক্তি ইতিমধ্যে হয়েছে; এখন আইনি খসড়া প্রস্তুত এবং পরবর্তী মাসগুলোতে সংসদীয় প্রক্রিয়া, সংস্কার-বিবেচনা ও টেকনিক্যাল ইমপ্লিমেন্টেশন শুরু হবে। প্রয়োগের আগে অভিভাবক-সচেতনতা ও টেক কোম্পানি-সহ আলাপও করা হবে। নির্দিষ্ট আইন প্রকাশ ও কার্যকরকরণের সঠিক সময় এখনও স্থির হয়নি।


সংক্ষিপ্ত

ডেনমার্কের উদ্যোগ — অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সামাজিক মিডিয়ার ন্যূনতম বয়স ১৫ করা — হল এক সাহসী ও বিতর্কিত পদক্ষেপ, যা শিশুদের ডিজিটাল-রক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক সেই কূটনীতি-চর্চার নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। বাস্তবায়ন-প্রকৌশল, গোপনীয়তা-সুরক্ষা, প্ল্যাটফর্ম-অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক-আইনি মানদণ্ডের সঙ্গে সমন্বয়ই নির্ধারণ করবে এই নীতির সাফল্য বা ব্যর্থতা।

১৫ বছরের নিচে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার নিষেধ ১৫ বছরের নিচে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার নিষেধ ১৫ বছরের নিচে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার নিষেধ ১৫ বছরের নিচে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার নিষেধ

নিউমোনিয়া প্রতিরোধ ও ফুসফুসের যত্ন

১৫ বছরের নিচে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার নিষেধ ১৫ বছরের নিচে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার নিষেধ ১৫ বছরের নিচে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার নিষেধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *