News

স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে অধ্যাদেশ

পাশ হলো পুলিশ কমিশন গঠন অধ্যাদেশ

বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, বহুল আলোচ্য পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে।

তিনি জানান, নবগঠিত পুলিশ কমিশন হবে পাঁচ সদস্যের একটি স্বাধীন কাঠামো, যার নেতৃত্বে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। এই কমিশনের সদস্যদের মধ্যে থাকবেন—

  • গ্রেড–১ এর নিচে নন এমন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক (কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত যেকোনো)
  • মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি

উপদেষ্টা বলেন, পুলিশকে আরও জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক করা—এই কমিশন গঠনের মূল লক্ষ্য। কমিশন সরকারকে পরামর্শ দেবে কীভাবে পুলিশ বাহিনীকে প্রভাবমুক্ত, মানবাধিকার সংবেদনশীল ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির পুলিশিং ব্যবস্থায় রূপান্তর করা যায়। তারা প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে।

তিনি আরও জানান, কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি দায়িত্ব হলো—

  1. পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অভিযোগ তদন্ত করে নিষ্পত্তি করা,
  2. পেশাগত কারণে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত দেওয়া

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, পুলিশিং কার্যক্রমে দক্ষতা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে কমিশন প্রয়োজনীয় সুপারিশ তৈরি করবে। পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ, কল্যাণমূলক ব্যবস্থা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পুলিশ সম্পর্কিত আইন–নীতি সংস্কারের বিষয়েও সরকারকে প্রস্তাব দেবে এই কমিশন।

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ কবে গঠন/অনুমোদিত হয়?

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫ বাংলাদেশের উপদেষ্টা পরিষদে ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ অনুমোদিত হয়েছে। এই দিনেই অধ্যাদেশটি খসড়া হিসেবে গৃহীত হয়ে কমিশন গঠনের আইনি কাঠামো তৈরি করা হয়। পরে ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ গেজেট হিসেবে প্রকাশও করা হয়েছে, যার ফলে এটি কার্যকর হয়েছে। Bangla Tribune+1

👥 কি ধরনের কমিশন গঠিত হবে?

ধারণা অনুযায়ী এ অধ্যাদেশের আওতায় একটি পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের সদস্যদের জন্য যেসব শর্ত রাখা হয়েছে তা হলো:
✅ প্রধান হিসেবে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি
✅ একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট/সরকারি কর্মকর্তা (গ্রেড-১ ও ততোধিক)
✅ একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বা Grade-I ও ততোধিক)
✅ একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (সেবায় থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত)
✅ একজন মানবাধিকার/সুশাসন বিষয়ক অভিজ্ঞ ব্যক্তি (কমপক্ষে ১৫ বছর অভিজ্ঞ)
আরও কমিটি সদস্যদের মধ্যে অন্তত দুজন নারী রাখার নির্দেশ রয়েছে। bdnews24.com+1

📌 এটি কেন গঠিত হচ্ছে?

পুলিশ কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য হলো:
🔹 পুলিশকে জনবান্ধব ও পেশাদার করা
🔹 পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা
🔹 নাগরিক অভিযোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্পত্তি করা
🔹 পুলিশের আধুনিকায়ন ও মানবাধিকার-সম্মত কার্যক্রমকে প্রণোদনা দেওয়া। The Financial Express

📜 আইনি কার্যক্রম

এই অধ্যাদেশ সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ায় তা একটি বৈধ আইন-সম্মত অধ্যাদেশ হিসেবে কার্যকর হয়েছে। গবেষণা/পরিকল্পনা থেকে এটিকে অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে অধ্যাদেশ স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে অধ্যাদেশ স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে অধ্যাদেশ স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে অধ্যাদেশ স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে অধ্যাদেশ

সময়ের সংলাপের ফেইসবুক পেইজ

গুম প্রতিরোধে নতুন অধ্যাদেশ জারি

বাংলাদেশে পেপ্যাল আসার সম্ভাবনা

সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স চাকরি বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *