হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-৩ প্রকল্প: বিবরণ ও বিশ্লেষণ
১. ভূমিকা
ঢাকার কোলাহল-ময় নগর জীবনের মধ্য দিয়ে প্রতি বছর দলে দলে মানুষ আসে-যায়, বিদেশ-আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও বিমানে যাত্রী ও কার্গো পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ব্যস্ততার উৎসস্থল হল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (HSIA), যা এখন শুধুমাত্র দেশের নয়, দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ এভিয়েশন হাব হওয়ার পথে। এই প্রসঙ্গে, বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ প্রকল্প একটি মাইলফলক — যা শুধু ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাবে না, দেশের অর্থনৈতিক, পর্যটন ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের পরিসর বিস্তৃত করবে।
২. প্রকল্পের সূচনা ও প্রয়োজনীয়তা
২.১ চাহিদার বেড়ে ওঠা
বিমানের যাত্রীসংখ্যা, কার্গো ও রুট-ফ্রিকোয়েন্সি-সব দ্রুত বাড়ছে। সাধারণ টার্মিনাল ও রানওয়ে দ্রুতভাবে সীমাতে পৌঁছেছে। বহির্শ্রম এবং অভ্যন্তরীণ প্রবাহ দুটোই প্রসারিত হচ্ছিল। এই বাস্তবতার মধ্যে যুক্ত হলো:
- পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর বিমানবন্দর সম্প্রসারণ এবং নতুন রুট খোলা
- বাংলাদেশের একাধিক নতুন রুট (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ) নির্মাণ
- নাগরিক বিমানের খরচ কমিয়ে ও গতি বাড়িয়ে ব্যক্তিগত ও বৈদেশিক ভ্রমণ প্রসারিত হওয়ার প্রবণতা
২.২ স্ট্র্যাটেজিক উদ্দেশ্য
টার্মিনাল-৩ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যসমূহ হয়:
- যাত্রী ধারণক্ষমতা আমাদে র্শ ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য পুনরায় প্রক্রিয়া চালু করা
- সময় ও সুযোগ নির্ভর ভ্রমণ-অভিজ্ঞতা উন্নয়ন
- বিমানবন্দরকে ‘রিজিওনাল এভিয়েশন হাব’ হিসেবে তৈরি করা — যেখানে শুধু বাংলাদেশ নয়, যেকোনো দক্ষিণ এশীয় যাত্রী শুরু বা ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করবে
- কার্গো-লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়িয়ে রপ্তানি-আমদানিতে অবিচ্ছিন্ন অবকাঠামো প্রদান
২.৩ সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট
এই প্রকল্প শুধু অবকাঠামো নয়, এটি দেশের অর্থনীতিকে স্ব-চেইন সক্রিয় করার একটি হাতিয়ার। এই প্রেক্ষাপটে লক্ষ্য করা যায়:
- পর্যটন আয় বাড়ানো: আন্তর্জাতিক যাত্রী সুবিধার কারণে ভ্রমণ ও আবাসন খাত প্রসারিত হবে
- বাণিজ্য ও রপ্তানিতে গতি: দ্রুত আন্তর্জাতিক সংযোগ বাড়লে রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের খরচ ও সময় কমবে
- কর্মসংস্থান বৃদ্ধি: নির্মাণ, অপারেশন ও সাপোর্ট সার্ভিস খাতে নতুন চাকরি সুযোগ
৩. প্রকল্প-নকশা ও প্রযুক্তি
৩.১ স্থাপত্য ও ডিজাইন
টার্মিনাল-৩ ডিজাইন করা হয়েছে আধুনিক আন্তর্জাতিক মান অনুসারে। এতে রয়েছে:
- বিশাল লবিবিল্ডিং ও স্প্যানিং রুম
- ছাদ-উচ্চতা ও গর্জন (vaulted ceilings)-এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার
- অ্যাক্সেসিবিলিটি (প্রতিবন্ধী যাত্রী ও বয়স্কদের জন্য সুবিধাসম্পন্ন)
- মাল্টি-লেভেল পার্কিং, কনভীয়র ব্যাগেজ সিস্টেম, ২৬ বোর্ডিং ব্রিজ
৩.২ প্রযুক্তিগত প্যারামিটার
- যাত্রী ধারণক্ষমতা: বর্তমান ~৮ মিলিয়ন থেকে ~২০ মিলিয়ন/বছর
- আয়তন: প্রায় ২২৬,০০০ m² (প্রায় ২,৪৩০,০০০ sq ft)
- ট্রান্সমিশন, HVAC, স্মার্ট-আইটি নেটওয়ার্ক, সিকিউরিটি সেন্সিং সিস্টেম
- কার্গো ভবন, বিগব্রান্ড রিটেইল, লাউঞ্জ ও ভিআইপি সুবিধা
৩.৩ নির্মাণ পরিকল্পনা ও ধাপ
প্রকল্পটি PPP (পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান ঠিকাদার হিসেবে রয়েছে ADB/JICA-সহ একটি কনসোর্টিয়াম। সময়সূচি অনুযায়ী:
- ভূমি অধিগ্রহণ ও ডিজাইন: ২০১৮–২০১৯
- প্রধান নির্মাণ কাজ: ২০২০–২০২৪
- পরীক্ষামূলক ফ্লাইট ও বাণিজ্যিক উদ্বোধন: ২০২৫–২০২৬
৩.৪ নিরাপত্তা ও সাসটেইনেবিলিটি
- LEED-সার্টিফিকেশন মান অনুসারে নির্মাণ
- কার্বন নিঃসরণ কমাতে সোলার-প্যানেল, LED লাইটিং
- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পানির পুনঃব্যবহার
৪. অর্থায়ন ও ব্যয় বিশ্লেষণ
৪.১ খরচ সামারি
- প্রকল্প ব্যয়: প্রায় ৳ ২১,৩০০ কোটি (≈ US$ 2.3 বিলিয়ন)
- শতাংশ হিসেবে: ডিজাইন ও নির্মাণ ~70%, যান্ত্রিক/ইলেকট্রনিক ~20%, অনুষঙ্গ/সাপোর্ট সার্ভিস ~10%
৪.২ অর্থায়ন উৎস
- বাংলাদেশের সরকারীয় বাজেট ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAAB)
- জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (JICA)-এর আর্থিক সহায়তা
- প্রাইভেট ইনভেস্টর ও আঞ্চলিক ইকুইটি অংশ
৪.৩ রিটার্ন অন্ ইনভেস্টমেন্ট
প্রকল্পের মূল্যায়নে বিবেচ্য সূচক:
- যাত্রী ফ্লো বৃদ্ধি = টিকিট ও সার্ভিস রেভিনিউ বাড়ানো
- নন-এরোনটিক্যাল রেভিনিউ (রিটেইল, পার্কিং, লাউঞ্জ)
- কার্গো হ্যান্ডলিং আয় ও সার্ভিস চার্জ
৪.৪ অন্যান্য দেশের তুলনায়
- দিল্লি IGI টার্মিনাল-৩ খরচ: ~US$ 1.72 বিলিয়ন (≈৳ ১৮,০০০ কোটি)
- হংকং চেক ল্যাপকক টার্মিনাল-৪ খরচ: ~US$ 3.3 বিলিয়ন
- তুলনায় HSIA টার্মিনাল-৩ খরচ লক্ষ্যরেখায় বেশ কারিগরিভাবে রাখা হয়েছে
৫. সম্ভাব্য প্রভাব ও সম্মিলিত ফলাফল
৫.১ পর্যটন ক্ষেত্রে
- যাত্রী ক্ষমতা বাড়লে আন্তর্জাতিক পর্যটক প্রবাহ বাড়বে
- আয় বাড়াবে হোটেল, পরিবহন, রেস্তোরাঁ -সার্ভিস, কলাকুশল
- লংস্টে ট্যুরিজম হাজির হবে, নতুন রুট উৎকর্ষে আসবে
৫.২ বাণিজ্য ও কার্গোয়
- কার্গো-ভিলেজ ও দ্রুত কার্গো ক্লিয়ারেন্স বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করবে
- রপ্তানি-আমদানিতে লাগা সময় কমে যাবে → মূল্য হ্রাস ও প্রতিযোগিতা বাড়বে
৫.৩ বিমান ও অর্থনীতিতে
- বিমান সংস্থার নতুন রুট খোলার সম্ভাবনা
- এভিয়েশন-সাপোর্ট সার্ভিস কনসোলিডেট হবে
- স্থানীয় কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে
৬. চ্যালেঞ্জ, বিবেচ্য বিষয় ও সুপারিশ
⚠️ চ্যালেঞ্জসমূহ
- সময়মতো কাজ শেষ না হলে খরচ বাড়ার ঝুঁকি
- পরিবেশ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংহতি না হলে সোশ্যাল রিস্ক
- নিরাপত্তা ও সিকিউরিটি ব্যবস্থায় ফাঁক থাকলে আন্তর্জাতিক মান ছুতে পারবে না
✅ সুপারিশ
- প্রকল্প মাইলস্টোন যাচাই ও সময়সূচি কঠোর রূপে পালন করা
- স্থানীয় জনশক্তি ও স্কিল ট্রেনিং প্রসারিত করা
- পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ত্বরান্বিত করা (e-g. সোলার প্যানেল, EV ট্রান্সপোর্ট)
- মাল্টিমোডাল যোগাযোগ (মেট্রো, রেল, বাস) বিমানের সঙ্গে যুক্ত করা
নির্মাণ অগ্রগতি ও ধাপসমূহ
৭.১ ভূমি অধিগ্রহণ ও পূর্বপরিকল্পনা
টার্মিনাল‑৩ নির্মাণের জন্য প্রথমেই প্রায় ২৪ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। এখানে স্থানীয় সম্প্রদায় ও শিল্প-প্রতিষ্ঠান থেকে জমি কেনা/উদ্বার করা হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে:
- ভূমি জরিপ ও টপোগ্রাফি তৈরি
- পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন (EIA)
- মাটি ও জলস্তর বিশ্লেষণ
৭.২ মূল নির্মাণ কাজ
- ভিত্তি ও স্টিল ফ্রেমিং: প্রতিটি বিল্ডিং ব্লক ও ল্যান্ডিং বেইসকে শক্তিশালী করা
- বিল্ডিং কাঠামো: Precast ও Reinforced Concrete (RC) ব্যবহার
- ছাদ ও প্রাকৃতিক আলো ব্যবস্থাপনা: Daylight Harvesting প্রযুক্তি
- ইলেকট্রিক্যাল ও HVAC সিস্টেম: Smart Grid ও Energy Management Integration
৭.৩ কার্গো ও লজিস্টিক্স
টার্মিনাল‑৩ এর সাথে সংযুক্ত রয়েছে কার্গো সেন্টার, যেখানে রয়েছে:
- Cold Storage: খাদ্য ও ঔষধ সংরক্ষণের জন্য
- Automation Conveyor: ব্যাগেজ ও প্যাকেজ দ্রুত স্থানান্তর
- Custom Clearance Office: দ্রুত আমদানি/রপ্তানি
৭.৪ চলমান পর্যবেক্ষণ ও কনফিগারেশন
নির্মাণ চলাকালীন:
- Drones & GIS Mapping: প্রকল্প অগ্রগতি নিরীক্ষণ
- BIM (Building Information Modeling): ডিজাইন অনুযায়ী বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা
৮. যাত্রী অভিজ্ঞতা ও সেবার মান
৮.১ লবিবিল্ডিং ও লাউঞ্জ
টার্মিনাল‑৩ এর মূল লবি অত্যাধুনিক ডিজাইনে তৈরি। বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- Spacious Waiting Area, Natural Light
- VIP & Executive Lounges, Children Play Area
- Cafeteria, Duty-Free Shops, Medical Center
৮.২ Boarding & Check-in
- Self Check-in Kiosks: দ্রুত প্যাসপোর্ট ও টিকিট স্ক্যান
- E-Gates: বায়োমেট্রিক সিস্টেমের মাধ্যমে দ্রুত প্রবেশ
- Priority Boarding: ব্যবসায়ী ও VIP যাত্রীদের জন্য আলাদা লেইন
৮.৩ প্রযুক্তি ও সিকিউরিটি
- Smart CCTV & AI-based Threat Detection
- RFID Tagging: ব্যাগেজ ট্র্যাকিং
- Contactless Payment Systems
৯. আন্তর্জাতিক বন্দর হাব ভিশন
৯.১ দক্ষিণ এশিয়ার সংযোগ
টার্মিনাল‑৩ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার রিজিওনাল হাব হিসেবে গড়ে তুলছে। প্রধান উপায়:
- সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, দুবাই ও কুয়েতের সঙ্গে ট্রানজিট সুবিধা
- রপ্তানি-আমদানিতে গতি বৃদ্ধি
৯.২ কার্গো হ্যান্ডলিং
- Proximity to Dhaka‑Chattogram highway
- 24/7 refrigerated & general cargo handling
- Low turnaround time → attract international freight operators
১০. ইনফোগ্রাফিক ও টেবিলের মাধ্যমে তুলনা
| বিষয় | বর্তমান (টার্মিনাল ২) | টার্মিনাল ৩ | আন্তর্জাতিক মান |
|---|---|---|---|
| যাত্রী ক্ষমতা | ৮ মিলিয়ন/বছর | ২০ মিলিয়ন/বছর | ২০-৩০ মিলিয়ন/বছর |
| কার্গো ক্ষমতা | ১৫০,০০০ টন | ৩০০,০০০ টন | ৩০০,০০০-৪০০,০০০ টন |
| পার্কিং স্পেস | ১২০০ গাড়ি | ৩৫০০ গাড়ি | ৩৫০০-৫০০০ গাড়ি |
| Boarding Bridge | ১২ টি | ২৬ টি | ২৪-৩০ টি |
| Automation | Limited | Full | Full Modern |
১১. পরিবেশ ও সাসটেইনেবিলিটি
- LEED Platinum Level: Energy & Water Efficiency
- Solar Panels: Approx. 2 MW electricity generation
- Waste Water Treatment: 50% recycled water usage
- Electric Vehicle Charging Station: ভবিষ্যতের পরিবহন জন্য প্রস্তুত

১২. অর্থনৈতিক প্রভাব
১২.১ সরাসরি আয়
- টার্মিনাল ফি, পার্কিং, লাউঞ্জ, Duty-Free
১২.২ পরোক্ষ প্রভাব
- হোটেল ও রেস্তোরাঁ বৃদ্ধি
- নতুন চাকরি সৃষ্টিতে সহায়তা
- স্থানীয় ব্যবসায়িক সুযোগ
১৩. চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি
- নির্মাণ সময়মতো শেষ না হওয়া
- নিরাপত্তা ও ফায়ার সেফটি রিস্ক
- স্থানীয় সম্প্রদায় ও পরিবেশগত প্রভাব
১৪. আন্তর্জাতিক তুলনা
- দিল্লি IGI Terminal 3: Similar passenger capacity, cost slightly lower
- শারজাহ/দুবাই: Higher investment, advanced automation
- হংকং চেক ল্যাপকক টার্মিনাল 4: Cost higher, ultra-modern facilities
১৫ অভ্যন্তরীণ বিস্তারিত
১৬.১ ফ্লোর প্ল্যান ও যাত্রী প্রবাহ
টার্মিনাল‑৩ এ মোট ৪টি ফ্লোর রয়েছে:
- বেসমেন্ট: পার্কিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, ব্যাগেজ কনভেয়র
- গ্রাউন্ড ফ্লোর: Arrival, Customs, Immigration
- মধ্যম ফ্লোর: Departure, Check-in, Lounges
- ছাদ ফ্লোর: রেস্টুরেন্ট, Observation Deck
প্রতি ফ্লোরে Smart Signage System ব্যবহার করা হয়েছে, যা যাত্রীদের প্রবাহ সহজ করে এবং Congestion কমায়।
১৬.২ ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম
- Automated Conveyor Belts: ৫ কিমি দৈর্ঘ্য
- RFID Scanning: ব্যাগেজ ট্র্যাকিং সিস্টেম
- Cold & Fragile Handling: বিশেষ ডিপার্টমেন্ট
১৬.৩ VIP ও Executive Services
- Dedicated Check-in & Boarding
- Personal Assistant Service
- Priority Luggage Clearance
১৭. আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ডেটা
১৭.১ প্রধান ডেস্টিনেশন
টার্মিনাল‑৩ থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১২০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। প্রধান ডেস্টিনেশন:
- সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, দুবাই, কুয়েত
- লন্ডন, প্যারিস, মস্কো, মেলবোর্ন
- অন্যান্য এশিয়ান এবং মধ্যপ্রাচ্য ফ্লাইট
১৭.২ ফ্রিকোয়েন্সি ও এয়ারলাইন অপারেটর
- Biman Bangladesh Airlines: দৈনিক ২০ ফ্লাইট
- Emirates: ৫ ফ্লাইট / সপ্তাহ
- Singapore Airlines: ৩ ফ্লাইট / সপ্তাহ
১৭.৩ ফ্লাইট টাইম ও ক্যাপাসিটি
- প্রতিটি ফ্লাইটের Capacity: ২০০–৩৫০ যাত্রী
- Average Turnaround Time: ২–৩ ঘন্টা
১৮. কার্গো বিশ্লেষণ
১৮.১ কার্গো ধরন
- Perishable Goods: খাদ্য, মাছ, সবজি
- Non-perishable: ইলেকট্রনিক্স, পোশাক
- Hazardous Material: Chemicals, Medical Equipment
১৮.২ কার্গো পরিমাণ
- বছরে মোট ৩০০,০০০ টন কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা
- Cold Storage: ৫০,০০০ টন
- General Storage: ২৫০,০০০ টন
১৮.৩ আন্তর্জাতিক তুলনা
- শারজাহ/দুবাই: ৪০০,০০০–৫০০,০০০ টন
- সিঙ্গাপুর চাঙ্গি: ৬০০,০০০ টন

১৯. জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক প্রভাব
১৯.১ সরাসরি প্রভাব
- ১০,০০০+ নতুন চাকরি
- Duty-free, Cafeteria, Retail Shops
- Airport Operations & Maintenance
১৯.২ পরোক্ষ প্রভাব
- হোটেল, রেস্তোরাঁ, ট্যাক্সি সার্ভিস বৃদ্ধি
- এয়ারলাইন কনফারেন্স ও বিজনেস ট্যুরিজম বৃদ্ধি
- স্থানীয় শিল্প-উৎপাদন ও রপ্তানি সম্ভাবনা
১৯.৩ দেশের অর্থনীতিতে অবদান
- GDP Contribution: ১–১.৫% বৃদ্ধি সম্ভাবনা
- Tourism Revenue: ১৫–২০% বৃদ্ধির সম্ভাবনা
- Export Facilitation: Faster delivery & logistics
২০. বাণিজ্যিক বিশ্লেষণ
২০.১ ইনভেস্টমেন্ট ও খরচ
- Total Construction Cost: Approx. $500 million
- Operations & Maintenance: $20 million/year
- International Funding: ADB, JICA, World Bank Partial
২০.২ ROI & Commercial Benefits
- Duty-free & Retail Revenue: $50 million/year (প্রাথমিক অনুমান)
- Parking, Lounges, VIP Services: $10 million/year
- Cargo Handling Fee: $15 million/year
২০.৩ প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা
Modern Automation → Low Operational Cost
South Asian Regional Hub
Direct Flight Connections to Major Economic Zones
২২. রেফারেন্স লিংক
- Civil Aviation Authority Bangladesh
- Biman Bangladesh Airlines
- World Bank Project Details
- JICA Bangladesh
উপসংহার
টার্মিনাল‑৩ প্রকল্প বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক এভিয়েশন মান বৃদ্ধি, অর্থনীতি ও পর্যটন প্রসার, নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি শুধু বিমানবন্দর নয়, একটি আন্তর্জাতিক রিজিওনাল হাব হিসাবে দেশকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3 হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এর টার্মিনাল-3
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র Payra Thermal Power Plant

