হযরত উমর (রাঃ) ইসলামের ন্যায়পরায়ণতা
হযরত উমর (রাঃ) ইসলামের ন্যায়পরায়ণতা
মুসলিম জাহানের খলিফা হযরত উমর (রাঃ) এর ঈদ শপিং!
ঈদের আগের দিন খলিফা উমরের (রা) স্ত্রী নিজ স্বামীকে বললেন, ‘আমাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না হলেও চলবে, কিন্তু ছোট বাচ্চাটি ঈদের নতুন কাপড়ের জন্য কাঁদছে’।
আরব জাহানের শাসক খলিফা উমর (রা) বললেন, ‘আমার তো নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই’।
পরে খলিফা উমর (রা) তার অর্থমন্ত্রী আবু উবাইদা (রা) কে এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন।
আহলে হাদিস আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফকে কঠিন ধোলাই দিলেন মিজানুর রহমান আজহারী
সমগ্র মুসলিম জাহানের খলিফা যিনি, যিনি সেই সময় প্রায় অর্ধেক পৃথিবী শাসন করছেন, তাঁর এ ধরণের চিঠি পেয়ে আবু উবাইদার (রা) চোখে পানি এসে গেল। উম্মতে আমীন আবু উবাইদা (রা) বাহককে টাকা না দিয়ে চিঠির উত্তরে লিখলেন, ‘আমীরুল মুমিনীন! অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দুটি বিষয়ে আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে।
প্রথমত, আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না?
দ্বিতীয়ত, বেঁচে থাকলেও দেশের জনসাধারণ আপনাকে সেই মেয়াদ পর্যন্ত খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা?’
চিঠি পাঠ করে খলিফা উমর (রা) কোন প্রতি উত্তর তো করলেনই না, বরং এত কেঁদেছেন যে তাঁর চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে গেলো। আর হাত তুলে আবু উবাইদার (রা) জন্য দোয়া করলেন- একজন যোগ্য অর্থমন্ত্রী নির্বাচিত করতে পেরেছেন!
হযরত ওমর (রাঃ) এর অর্থমন্ত্রী হযরত ওমর (রাঃ) এর অর্থমন্ত্রী হযরত ওমর (রাঃ) এর অর্থমন্ত্রী হযরত ওমর (রাঃ) এর অর্থমন্ত্রী
হযরত উমর (রাঃ) সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ
হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) ইসলামি ইতিহাসের অন্যতম উজ্জ্বল চরিত্র ও দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে খ্যাত। তিনি ৫৮৬ খ্রিস্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। শুরুতে উমর (রাঃ) ইসলামের বিরোধিতা করলেও পরে ইসলামের প্রতি তার গভীর বিশ্বাস জন্মায়। তিনি কুরআন পড়ে এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর স্নেহময় নেতৃত্ব দেখে ইসলাম গ্রহণ করেন।
হযরত উমর (রাঃ) সাহসী, ন্যায়পরায়ণ ও কঠোর কর্তৃত্বপূর্ণ ছিলেন। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে (৬৩৪-৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ) তার শাসনকাল ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার শাসনকালকে “ন্যায় ও সুস্থ প্রশাসনের যুগ” হিসেবে মনে করা হয়। উমর (রাঃ) সাধারণ মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন নীতি প্রবর্তন করেন। তিনি দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য খাদ্য ও সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা করেন।
হযরত উমর (রাঃ) ইসলামী আইনের কঠোর প্রয়োগ ও ন্যায়বিচারে অনন্য ছিলেন। তিনি কখনো কোনো ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থকে সাধারণ মানুষের উপকারের চেয়ে উপরে দেখেননি। তার প্রশাসনিক দক্ষতা এবং সততা আজও উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়।
তিনি ইসলামী সামরিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। খলিফার সময় সীসান, ইরাক, সিরিয়া ও মিশরের বিস্তৃত অঞ্চল ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও তিনি ইসলামী ক্যালেন্ডার প্রতিষ্ঠা করেন এবং ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা উদযাপনের সময়সূচি নির্ধারণ করেন।
হযরত উমর (রাঃ) ছিলেন ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপনকারী। তিনি প্রায়ই দরিদ্রদের সঙ্গে মিলিত হতেন এবং তাঁদের সমস্যার সমাধান করতেন। তিনি ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে খলিফা থাকাকালীন শহীদ হন। তাঁর জীবন ও নেতৃত্ব আজও মুসলিম বিশ্বের জন্য ন্যায়, সাহস ও সততার আদর্শ।
হযরত উমর (রাঃ) ইসলামের ন্যায়পরায়ণতা হযরত উমর (রাঃ) ইসলামের ন্যায়পরায়ণতা হযরত উমর (রাঃ) ইসলামের ন্যায়পরায়ণতা হযরত উমর (রাঃ) ইসলামের ন্যায়পরায়ণতা হযরত উমর (রাঃ) ইসলামের ন্যায়পরায়ণতা

