LifestyleLifestyle

রমজানের দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে কী কী করা জায়েজ?

Spread the love

রমজানের দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে কী কী করা জায়েজ?

প্রশ্ন: রমজানের দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে কী কী করা জায়েজ?
উত্তর: স্বামীর জন্য সহবাস ব্যতীত বা বীর্যপাত ব্যতীত নিজের স্ত্রীকে উপভোগ করা জায়েজ আছে।

ইমাম বুখারি (১৯২৭) ও মুসলিম (১১০৬) আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা রেখে স্ত্রীকে চুম্বন করতেন; স্ত্রীর সঙ্গে মুবাশারা (আলিঙ্গন) করতেন। এবং তিনি ছিলেন তার যৌনাকা*ঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে সক্ষম ব্যক্তি।

শাইখ উছাইমীনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, রোজাদার স্বামীর জন্য রোজাদার স্ত্রীর সাথে কি কি করা জায়েজ?

উত্তরে তিনি বলেন, ফরজ রোজা পালনকারী স্বামীর জন্য তার স্ত্রীর সঙ্গে এমন কিছু করা জায়েজ হবে না; যাতে করে তার বীর্যপাত হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সব মানুষ এক রকম নয়। কারো বীর্যপাত দ্রুত হয়ে যায়; আবার কারো ধীরে ধীরে হয় এবং সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা রাখে। যেমনটি আয়েশা (রা.) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে বলেছেন যে, তিনি ছিলেন স্বীয় যৌ*ন চাহিদা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে সক্ষম ব্যক্তি।

আবার কিছু লোক আছে যারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না; তার বীর্যপাত দ্রুত হয়ে যায়। এমন ব্যক্তি ফরজ রোজা পালনকালে তার স্ত্রীকে চুম্বন করা, আলিঙ্গন করা ইত্যাদির মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হওয়া থেকে তাকে সাবধান থাকতে হবে। আর যদি ব্যক্তি নিজের ব্যাপারে জানে যে, সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তাহলে তার জন্য স্ত্রীকে চুম্বন করা ও জড়িয়ে ধরা জায়েজ আছে; এমনকি ফরজ রোজার মধ্যেও। তবে, সাবধান! সহবা*সের ব্যাপারে সাবধান!

রমজান মাসে যার ওপর রোজা রাখা ফরজ, সে যদি সহবাসে লিপ্ত হয় তাহলে তার ওপর পাঁচটি বিষয় অবধারিত হবে

আরও পড়ুনঃ- Redmi 10A এক চার্জে চলবে ১০ দিন

এক: গুনাহ।

দুই: রোজা ভেঙ্গে যাওয়া।

তিন: দিনের অবশিষ্ট অংশ পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকা ফরজ। যে কোনো ব্যক্তি কোন শরয়ি ওজর ছাড়া রমজানের রোজা ভঙ্গ করবে তার উপর বিরত থাকা ও সেদিনের রোজা কাযা করা ফরজ।

চার: সেদিনের রোজা কাযা করা ফরজ। কারণ সে ব্যক্তি একটি ফরজ ইবাদত নষ্ট করেছে; যার কারণ তার উপর এ ইবাদত কাযা করা ফরজ।

পাঁচ: কাফফারা দেওয়া। এ কাফফারা হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন কাফফারা: একজন কৃতদাস আজাদ করা। কৃতদাস না পেলে লাগাতর দুইমাস রোজা রাখা। সেটাও করতে না পারলে ষাটজন মিসকীনকে খাবার খাওয়ানো।

রমজানের দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে কী কী করা জায়েজ? রমজানের দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে কী কী করা জায়েজ? রমজানের দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে কী কী করা জায়েজ? রমজানের দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে কী কী করা জায়েজ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *