যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী নাগরিকদের নতুন অনিশ্চয়তা: ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী নাগরিকদের নতুন অনিশ্চয়তা: ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে বহু বছর আগে নাগরিকত্ব পাওয়া লাখো অভিবাসী এখন আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে যে নাগরিকত্বকে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে দেখা হতো—সেটিই এখন বহু মানুষের মনে সন্দেহ ও আতঙ্ক তৈরি করছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি অভিবাসীদের জীবনে বাড়িয়ে দিয়েছে দুশ্চিন্তা।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শুরু হওয়া ব্যাপক অভিবাসী ধরপাকড়, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের উদ্যোগসহ বিভিন্ন নীতি অভিবাসী নাগরিকদের মধ্যেও নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেরই মনে হচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব হয়তো আর আগের মতো সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিচ্ছে না। এই ভয় থেকে অনেকেই নিজেদের রাজ্যের বাইরে ভ্রমণও কমিয়ে দিয়েছেন।
আশ্রয় থেকে নাগরিকত্ব—তারপর আবার ভয়
এপির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সিয়েরা লিওনের গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা দাউদা সিসের গল্প। যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়ার পর তাকে বলা হয়েছিল—নাগরিকত্ব পেলেই তিনি নিরাপদ হবেন, ভোট দিতে পারবেন, এবং নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। সেই প্রতিশ্রুতির ওপর ভরসা করেই তিনি নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।
কিন্তু আজ তার সেই নিরাপত্তার অনুভূতি বদলে গেছে। একসময় যে নাগরিকত্বকে নিজের ঢাল মনে করেছিলেন, এখন সেটাই তার কাছে অনিশ্চয়তার পাহাড়।
দেশ ছাড়লে ফিরে আসার নিশ্চয়তা নেই
বহু পুরনো নাগরিকদের মধ্যেও এখন নতুন ধরনের ভয় কাজ করছে—দেশের বাইরে গেলে কি আবার ফিরতে দেওয়া হবে?
অনেক জায়গায় অভিবাসী নাগরিকদের ফোন তল্লাশি করার ঘটনাও বাড়ছে। এমনকি জন্মসনদসহ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও মার্কিন নাগরিকদের আটক করার ঘটনাও ঘটেছে।
নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়া জোরদার
গত গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ একটি স্মারকলিপি প্রকাশ করে জানায়—যেসব ব্যক্তি কখনো অপরাধ করেছেন বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত, তাদের নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হবে।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় যখন এক পর্যায়ে ট্রাম্প নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচিত কাউন্সিলম্যান জোহরান মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের হুমকি দেন—যদিও তিনি শিশু অবস্থাতেই মার্কিন নাগরিক হয়েছিলেন। ফলে অন্যান্য অভিবাসী মার্কিন নাগরিকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা মনে করছেন, এর ফলে তাদের ক্ষেত্রেও নেতিবাচক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী নাগরিকদের নতুন অনিশ্চয়তা: ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী নাগরিকদের নতুন অনিশ্চয়তা: ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী নাগরিকদের নতুন অনিশ্চয়তা: ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী নাগরিকদের নতুন অনিশ্চয়তা: ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক


