ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি আপডেট দেখুন
ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি আপডেট দেখুন
বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৫৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম প্রকাশিত দৈনিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিভাগভিত্তিক নতুন ভর্তি (গত ২৪ ঘণ্টা):
- ঢাকা উত্তর সিটি: ১২৭ জন
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি: ৮৮ জন
- ঢাকা বিভাগ (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে): ৯৫ জন
- চট্টগ্রাম বিভাগ: ৮২ জন
- বরিশাল বিভাগ: ৫১ জন
- খুলনা বিভাগ (সিটি ব্যতীত): ৪৩ জন
- ময়মনসিংহ বিভাগ: ৪৫ জন
- রাজশাহী বিভাগ: ৩০ জন
- রংপুর বিভাগ: ৩ জন
- সিলেট বিভাগ: ১ জন
ছাড়পত্র পাওয়া রোগী
গত একদিনে সারা দেশে ৫৭৮ জন রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৯৩,১৯৬ জন রোগী ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।
চলতি বছরের মোট পরিস্থিতি (১ জানুয়ারি – ৩০ নভেম্বর):
- মোট ভর্তি: ৯৫০১২ জন
- মোট মৃত্যু: ৩৮৪ জন
পূর্ববর্তী বছরের ডেঙ্গুর পরিস্থিতি
- ২০২৪ সালে: ভর্তি—১,০১,২১৪ জন, মৃত্যু—৫৭৫ জন
- ২০২৩ সালে: ভর্তি—৩,২১,১৭৯ জন, মৃত্যু—১,৭০৫ জন
ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে বিশেষজ্ঞরা বিশেষ সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
ডেঙ্গু: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এটি সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে বেশি দেখা যায়, যখন জলাবদ্ধতা ও ভিজা পরিবেশ মশার জন্মের জন্য উপযুক্ত হয়। ডেঙ্গু প্রধানত এশিয়ার দেশগুলোতে এবং বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে দেখা যায়।
ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ হলো উচ্চ জ্বর, তীব্র মাথা ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ত্বকে ফুসকুড়ি। গুরুতর ক্ষেত্রে, এটি ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রূপ নিতে পারে, যা প্রাণঘাতী হতে পারে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো মশা নিয়ন্ত্রণ ও ঘর পরিস্কার রাখা। জলাবদ্ধ পানি দূর করা, মশারি ব্যবহার করা, গাঢ় পোশাক পরা এবং মশার ধ্বংসে লার্ভা ধ্বংস করা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, আক্রান্ত ব্যক্তি যথেষ্ট বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত পানি পান করলে দ্রুত সুস্থ হয়।
সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা চালায়। নাগরিকদেরও দায়িত্ব নিতে হবে—জলাবদ্ধ জায়গা পরিষ্কার রাখা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা এবং সতর্কতা মূল চাবিকাঠি। সময়মতো প্রতিকার নিলে, ডেঙ্গু জীবনঘাতী হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
ধোঁয়া-সুগন্ধ ঝাঁজ বেগুন ভর্তা
মজার ঝাঁজ, টক–মিষ্টি স্বাদ টমেটো ভর্তা
আলুভর্তা ঘরের স্বাদ ও স্মৃতির খাবার ‘
ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি আপডেট দেখুন ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি আপডেট দেখুন ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি আপডেট দেখুন ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি আপডেট দেখুন ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি আপডেট দেখুন

