ফারুকীর হাত ধরে নাটকে অশ্লীল ভাষা শুরু হয়েছে: আবদুল্লাহ রানা
বাংলা নাটকের একটা সময় ছিল স্বর্নালী যুগ। গল্পের গাঁধুনি কিংবা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের মুগ্ধ করত। যে নাটকগুলো এখনো দর্শকের হৃদয়ে দাগ কেটে আছে।
তবে এখনকার অধিকাংশ নাটকই যেন সস্তা বিনোদন। ভাইরালের নেশা যেন সবাইকে পেয়ে বসেছে। দিনকে দিন কিভাবে হলো বাংলা নাটকের এ হাল। তা নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন জ্যেষ্ঠ অভিনেতা আবদুল্লাহ রানা। জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর হাত ধরে নাটকে অশ্লীল ভাষা শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
ষাটের দশকে বাংলা নাটকের জোয়ার শুরু হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে। যে জোয়ারে বুঁদ হয়েছে অগণিত দর্শক। আগেরকার নাটকে ছিল পারিবারিক বন্ধন, শালীন ভাষা ও সামাজিক শিক্ষা। সবকিছু মিলিয়ে নাটক হয়ে উঠেছিল জীবনেরই এক অংশ। তবে এখনকার অধিকাংশ নাটক হয়ে উঠেছে সস্তা এক বিনোদনের অনুসঙ্গ।
সবাই যেন ছুটছে ভাইরালের নেশায়। যে ভাইরাস নাট্য ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি করেছে সামাজিক অবক্ষয়ের। যে অবক্ষয়ের পাতায় পাতায় আছে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয়ের দক্ষতার অভাব, আশালীন ভাষা, ভালো গল্পের অভাব ও বাজেটের স্বল্পতা। সবকিছু মিলিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে চলছে এই নাট্য ইন্ডাস্ট্রি।
একটি নাটক দর্শকদের সামনে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলে নাটকের ভাষা। নাটকের ভাষার বিকৃতি প্রসঙ্গে অনেকেই আঙ্গুল তুলেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির দিকে। তবে অভিনেতা আবদুল্লাহ রানা সে আঙ্গুল ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুললেন আরেক পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর দিকে। ফারুকীর হাত ধরে নাটকে অশ্লীল ভাষা শুরু হয়েছে: আবদুল্লাহ রানা আরও কয়েক জনকে দায়ী করেন।
ভাষা বিকৃতি ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাষার তেরোটা বাজানো মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শুরু করেছিলেন। সেটির ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। ভাষা বিকৃতি করে ফারুকী জনপ্রিয় হয়েছিলেন। অমিও জনপ্রিয় হয়েছেন। বিষয়টি এখন ভাষায় আটকে নেই। এটি এখন কনটেন্ট-এ আটকে আছে।

এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার এগুলোর উত্তর দেওয়ার সময় নেই। এরপর তিনি ফোনটি কেটে দেন।
অনেক সময় অভিযোগ উঠে তারকারা শুটিংয়ে দেরি করে ঢুকেন। যাতে বিপাকে পড়েন নির্মাতা। এই অভিযোগ প্রসঙ্গে খানিকটা ক্ষোপ নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন রেখে অভিনেতা আবদুল্লাহ রানা বলেন, ইন্ডাস্ট্রি এখন ধ্বংসের পথে। এখন এই প্রশ্ন রেখে লাভই বা কী?
বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা মানব মারা গেছে
তিনি আরও বলেন, ২৫ বছর আগেও নায়করা শুটিংয়ে ১টা কিংবা ২টার দিকে এসে সন্ধ্যায় চলে যেতেন। যা সবাই জানেন। সেই চর্চাটা এখনো চলছে। কোনদিন কেউ তাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেনি। সারাজীবন তাদের প্রশ্রয় দিয়ে গেল। যখন ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংসের মুখে চলে এলো তখন এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লাভ কী? প্র্যাকটিস তো ২৫ বছরের। ইন্ডাস্ট্রি অধপতনের আরেকটি কারণ অর্থনীতি। নাটকে বাজেট স্বল্পতার কারণে ইউটিউব প্রথম সারিতে চলে এসেছে।
ফারুকীর হাত ধরে নাটকে অশ্লীল ভাষা শুরু হয়েছে: আবদুল্লাহ রানা





