পেয়ারা স্বাস্থ্য উপকারিতা

পেয়ারা স্বাস্থ্য উপকারিতা


পুষ্টিগুণ:


পেয়ারায় ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ক্যালসিয়াম প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ। একশ’ গ্রাম পেয়ারায় দুইশ’ মি.গ্রা. ভিটামনি সি আছে অর্থাৎ পেয়ারায় কমলার চেয়ে ৪গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে। পেয়ারার খোসায় কমলায় চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এই ফলে লৌহ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। পুষ্টিমানের বিবেচনায় কমলার মান যেখানে ১৮৬ পয়েন্ট সেক্ষেত্রে পেয়ারার পুষ্টি মূল্যমান ৪২১ পয়েন্ট।

পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা

চুইঝাল কেন খাবেন

★পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক।

পেয়ারার উপকারিতা:

☆ পেয়ারাতে পাওয়া যায় ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া যে কোন ইনফেকশন থেকে পেয়ারা শরীরকে সুস্থ রাখে।

☆ লাইকোপেন(Lycopene), কোয়ারকেটিন(Quercetin), ভিটামিন সি এবং আরো কিছু পলিফেনল আছে যা শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে আর এই এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুকি কমায়। বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সার কমাতে অনেক সাহায্য করে পেয়ারা।

☆ পেয়ারাতে ফাইবার এবং কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকার কারণে এটি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে আর তাই ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকি কিছুটা কম থাকে।

☆ পেয়ারা শরীরের সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম এর ব্যালান্স বাড়ায়,যা কিনা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে।

☆ পেয়ারা ট্রাইগ্লিসারাইড এবং LDL নামক একটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় যার ফলে হার্টের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।রক্তে চর্বি কম জমে এর ফলে। একই সাথে এই পেয়ারা HDL নামক একটি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় যা কিনা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

☆ পেয়ারা একটি ফাইবার জাতীয় ফল তাই এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

ছেলেদের চুলপড়ার কারণ ও করণীয়

☆ পেয়ারাতে ভিটামিন এ আছে যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, তাছাড়া এটি খেলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।

☆ পেয়ারাতে আছে ফলিক এসিড যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই প্রয়োজন, গর্ভবতীদের ডাক্তাররা ফলিক এসিড দিয়ে থাকেন কারণ এটি শিশুর নার্ভাস সিস্টেমকে উন্নত করে, সাথে এটি শিশুর নিউরোলোজিক ডিজঅর্ডার থেকে দুরে রাখে।

☆ পেয়ারাতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি ও আয়রন তাই কফ দূরীকরণে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে, কফ জমা সাড়াতে পেয

পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ #পেয়ারার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ‘সি’ ও লাইকোপেনসমৃদ্ধ পেয়ারা।

পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া চোখের জন্য ভালো, প

* পেয়ারায় যে আঁশ আছে, তা শরীরে চিনি শোষণ কমাতে পারে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে।

* পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, যা শরীরের ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করে।

*পেয়ারায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও রাতকানা রোগ থেকে বাঁচায়।

পেয়ারা

* ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে পারে এই ফল। পেয়ারা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে। এ ছাড়া এই ফলের রয়েছে ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা।

*ক্যান্সার প্রতিরোধেও পেয়ারা খুব ভালো কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে এই ফল। প্রোস্টেট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের জন্য পেয়ারা খুবই উপকারী।

*পেয়ারা রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখে এবং কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পেয়ারা খেতে পারেন৷
*পেয়ারা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এই ফলের রস সর্দি-কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশয়সহ পেটের অসুখ সারাতে খুব ভালো কাজ করে।

পেয়ারা স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়ারা স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়ারা স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়ারা স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়ারা স্বাস্থ্য উপকারিতা

Related Posts

খাবার হজম প্রক্রিয়া: ধাপ, কৌশল এবং হজম উন্নত করার বৈজ্ঞানিক উপায়

খাবার হজম প্রক্রিয়া: ধাপ, কৌশল এবং হজম উন্নত করার বৈজ্ঞানিক উপায় লেখক: সময়ের সংলাপ হেলথ ডেস্ক | বিভাগ: স্বাস্থ্য টিপস মানবদেহে হজম প্রক্রিয়ার ধাপ ও কার্যপ্রণালী হজম প্রক্রিয়া কী? হজম প্রক্রিয়া (Digestive System) হল এমন একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে খাবার ভেঙে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান তৈরি হয়। এটি মুখ থেকে শুরু হয়ে বৃহদন্ত্রে (Large Intestine) শেষ হয়। সাধারণত সম্পূর্ণ হজম হতে সময় লাগে ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা। হজম প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ গ্রহণ (Ingestion): খাবার মুখে নেওয়ার পর দাঁত খাবারকে ছোট ছোট করে ফেলে এবং লালার (Saliva) মাধ্যমে অ্যামাইলেজ এনজাইম শর্করা ভাঙতে শুরু করে। ফলে একটি মণ্ড (Bolus) তৈরি হয়। পরিচলন ও পাকস্থলী (Digestion): খাবার খাদ্যনালী (Esophagus) দিয়ে পাকস্থলীতে (Stomach) প্রবেশ করে, যেখানে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) ও পেপসিন এনজাইম প্রোটিন ভাঙে। খাবার এখানে ২-৪ ঘণ্টা থাকে। ক্ষুদ্রান্ত্র (Small Intestine): এখানে হজমের প্রধান কাজ হয়। অগ্ন্যাশয় (Pancreas) থেকে হজম এনজাইম ও যকৃত (Liver) থেকে পিত্ত (Bile) নিঃসৃত হয়ে চর্বি, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটকে ছোট অণুতে ভাঙে। শোষণ (Absorption): ক্ষুদ্রান্ত্রের ভেতরের দেয়ালে থাকা ভিলি (Villi) গ্লুকোজ, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে শোষণ করে নেয়। বর্জন (Elimination): অপাচ্য খাদ্য বৃহদন্ত্রে প্রবেশ করে, যেখানে পানি শোষিত হয় ও অবশিষ্ট বর্জ্য মল হিসেবে নির্গত হয়। খাবার খাওয়ার পর হজম উন্নত করার বৈজ্ঞানিক কৌশল ১. হালকা হাঁটাচলা (Light Walking): খাবারের পর ১০–১৫ মিনিট হালকা হাঁটলে খাদ্য পাকস্থলী থেকে অন্ত্রে সহজে সরে যায়। ভারী ব্যায়াম একেবারেই নয়। ২. বজ্রাসন (Vajrasana): খাবার পর ৫–১০ মিনিট বজ্রাসনে বসলে হজম এনজাইম নিঃসরণ বাড়ে এবং গ্যাস, অম্বল কমে। ৩. বাম কাত হয়ে বিশ্রাম (Left Side Resting): বাম দিকে কাত হয়ে বিশ্রাম নিলে খাবার সহজে ক্ষুদ্রান্ত্রে নেমে যায়, কারণ পাকস্থলী শরীরের বাম পাশে অবস্থিত। ৪. মননশীলতা ও গভীর শ্বাস (Mindfulness and Deep Breathing): খাবারের পর ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া স্নায়ুতন্ত্রের “Rest and Digest” অংশ সক্রিয় করে, যা হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। যে অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলবেন খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়া। খাওয়ার পরপরই ধূমপান বা কফি পান করা। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্নান করা (বিশেষ করে গরম জলে)। হজম শক্তি বাড়ানোর কিছু অতিরিক্ত টিপস খাওয়ার আগে ও পরে পর্যাপ্ত পানি পান করুন (তবে খাবার চলাকালীন বেশি পানি নয়)। ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ওটস, সবজি, ফলমূল খাওয়া বাড়ান। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া (Small Frequent Meals) অভ্যাস করুন। স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা…

Read more

কাঁচা হলুদের ১০০টি অবিশ্বাস্য উপকারিতা

কাঁচা হলুদের ১০০টি উপকারিতা | Turmeric Benefits in Bengali কাঁচা হলুদের ১০০টি অবিশ্বাস্য উপকারিতা 🌿 কাঁচা হলুদ শুধু রান্নার মশলা নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধ। বিজ্ঞানসম্মত গবেষণায় প্রমাণিত হলুদে রয়েছে কারকিউমিন এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ, হজম, হৃদরোগ, ত্বক ও চুলের যত্নে সাহায্য করে। ১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে 💪 কারকিউমিন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ কমায়। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। ২. হজম ও পেটের উপকারিতা 🍽️ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, গ্যাস ও অম্বল কমায়। বদহজম ও পেটব্যথা উপশম করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও আলসার প্রতিরোধে সহায়ক। ৩. রক্ত ও লিভারের যত্ন ❤️ রক্ত পরিষ্কার রাখে, রক্ত জমাট বাঁধা কমায়। লিভারের প্রদাহ কমায় এবং ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে সাহায্য করে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস কমাতে সহায়ক। ৪. হৃদযন্ত্র ও হার্টের স্বাস্থ্য 🫀 কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তচাপ সুষম রাখে। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। ৫. শ্বাসতন্ত্রের যত্ন 🌬️ সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা কমায়। হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট উপশমে সাহায্য করে। ফুসফুস পরিষ্কার ও অ্যালার্জি কমায়। ৬. মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের যত্ন 🧠 স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। মনোযোগ ও চিন্তাশক্তি বাড়ায়। স্ট্রেস, উদ্বেগ ও ডিপ্রেশন কমাতে সহায়ক। নিদ্রাহীনতা দূর করে ও মেলাটোনিন নিঃসরণ সহায়তা করে। আলঝেইমার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ৭. শরীরের ব্যথা ও জয়েন্টের যত্ন 🦴 জয়েন্ট ব্যথা, বাত রোগ ও আর্থ্রাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। মাংসপেশীর ব্যথা ও হাড়ের ফোলাভাব কমায়। গাউট উপশমে সহায়ক। ৮. ত্বক ও চুলের যত্ন ✨ ব্রণ ও ব্রণের দাগ কমায়। ত্বক উজ্জ্বল রাখে ও বয়সের ছাপ কমায়। চুল পড়া ও খুশকি কমায়, মাথার ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। হাত-পা ফাটা ও নখের সংক্রমণ দূর করতে সহায়ক। ৯. দৈনন্দিন ও ভেষজ ব্যবহার 🌱 রান্না ও আচার তৈরিতে মশলা হিসেবে ব্যবহার হয়। গরম দুধ, গরম পানি বা শরবতে মিশিয়ে খেলে শক্তি বৃদ্ধি ও ডিটক্সে সাহায্য করে। প্রতিদিন সামান্য কাঁচা হলুদ খেলে সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ঘুম উন্নত করতে, গলা ব্যথা উপশমে ও প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়। গবেষণামূলক তথ্য: Journal of Medicinal Food, 2023 অনুসারে হলুদে থাকা কারকিউমিন শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের প্রদাহ ও সংক্রমণ কমায়। কাঁচা হলুদ নিয়মিত খেলে দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি

Read more

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You Missed

লোরেটা পুন: একজন আমেরিকান নারীর ইসলাম গ্রহণের গল্প

  • By admin
  • October 26, 2025
  • 6 views
লোরেটা পুন: একজন আমেরিকান নারীর ইসলাম গ্রহণের গল্প

খিরনিগাছ: পরিচিতি ব্যবহার ও উপকারিতা

  • By admin
  • October 26, 2025
  • 8 views
খিরনিগাছ: পরিচিতি ব্যবহার ও উপকারিতা

তাওয়াক্কুল মানে কী? আল্লাহর উপর ভরসা নাকি অলসতা — ইসলামিক বিশ্লেষণ

  • By admin
  • October 26, 2025
  • 6 views
তাওয়াক্কুল মানে কী? আল্লাহর উপর ভরসা নাকি অলসতা — ইসলামিক বিশ্লেষণ

এরই নাম আল্লাহর উপর ভরসা – তাওয়াক্কুল ও রিজিকের অনুপ্রেরণাদায়ক ইসলামিক গল্প

  • By admin
  • October 25, 2025
  • 14 views
এরই নাম আল্লাহর উপর ভরসা – তাওয়াক্কুল ও রিজিকের অনুপ্রেরণাদায়ক ইসলামিক গল্প

খাবার হজম প্রক্রিয়া: ধাপ, কৌশল এবং হজম উন্নত করার বৈজ্ঞানিক উপায়

  • By admin
  • October 25, 2025
  • 11 views
খাবার হজম প্রক্রিয়া: ধাপ, কৌশল এবং হজম উন্নত করার বৈজ্ঞানিক উপায়

কাঁচা হলুদের ১০০টি অবিশ্বাস্য উপকারিতা

  • By admin
  • October 25, 2025
  • 15 views
কাঁচা হলুদের ১০০টি অবিশ্বাস্য উপকারিতা