জিলহজ্ব মাসে চুল-নখ কাটার বিধান
জিলহজ্ব মাসে চুল-নখ কাটার বিধান
জিলহজ্জ মাস শুরু হলে যে ব্যক্তি কু’রবানি করতে চায় তার জন্য শরীরের অতিরিক্ত পশম (যেমন, মাথার চুল, নাভির নিচের বা বগলের পশম ইত্যাদি) কাটা জায়েজ নাই। কারণ, উম্মে সালামা রা. হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ-
“জিলহজ্জ মাস শুরু হলে যে ব্যক্তি কু’রবানি করতে চায় সে যেন তার চুল ও নখ না কাটে।” (সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: কুরবানি, অনুচ্ছেদ: জিলহজ্জ মাস শুরু হলে যে ব্যক্তি কু’রবানি করবে তার জন্য চুল ও নখ কাটা নিষেধ।)
অন্য বর্ণনায় রয়েছে: ((ولا من بشرته شيئاً) “শরীরের চামড়া যেন না কাটে।” (সহীহ মুসলিম)
- ইবনে কুদামা রহ. বলেন: নিষেধাজ্ঞার দাবী হলো হারাম হওয়া। অর্থাৎ যে কু’রবানী করতে চায় তার জন্য কু’রবানীর পশু জবেহ করা পর্যন্ত নখ-চুল, শরীরের অতিরিক্ত চামড়া ইত্যাদি কাটা হারাম। এ বিধান যে ব্যক্তি কু’রবানি করবে কেবল তার জন্য প্রযোজ্য। যাদের পক্ষ থেকে কু’রবানি করা হবে যেমন, স্ত্রী, সন্তান বা পরিবারের অন্য সদস্যগণের জন্য অথবা যারা কু’রবানি করবে না তাদের নখ-চুল ইত্যাদি কাটাতে কোন অসুবিধা নাই।
- জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখা থেকে শুরু করে কু’রবানির পশু জবেহ করা পর্যন্ত চুল-নখ কাটা যাবে না। কু’রবানি করার পর তা কাটা যাবে। কোন ব্যক্তি ভুল বশত: নখ, চুল ইত্যাদি কেটে ফেললে তার জন্য কাফফারা নেই। তবে এ জন্য তওবা করতে হবে। এ দিনগুলোতে নতুন জামা কাপড়, আতর-সুগন্ধি মাখা ও স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হওয়ায় কোন অসুবিধা নাই।
