News

গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসকের মৃত্যু করোনায়

গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসকের মৃত্যু করোনায়

সোমবার (২রা আগস্ট, ২০২১) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারের আইসিইউ-এর বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. নাজিব মোহাম্মদ করোনাজনিত জটিল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

প্রফেসর ডা. নাজিব মোহাম্মদের মৃত্যুতে শোক বার্তায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘‘তাঁ মৃত্যুতে দেশের আইসিইউ চিকিৎসা সেবার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। প্রফেসর ডা. নাজিব মোহাম্মদ সৌদি আরব কিং ফয়সল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউ বিভাগে দীর্ঘদিন চাকুরী করেছেন। দেশে-বিদেশে আইসিইউতে উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেক অবদান রেখে গেছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইসিইউ চিকিৎসার উন্নতিতে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন কর্তব্যপরায়ন, সদা হাস্যোজ্বল ও মহৎ মনের অধিকারী।”ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উলেখ্য দেশের করোনা পরিস্থিতি দিনে দিনে ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে, দেশের মৃত্যু হার দিনে ২০০ এর উপরে এবং সক্রামনের হার বেড়েই চলেছে। শতকরা হিসেবে প্রতি তিনজনের নমুনা পরিক্ষা করা হলে ১ জন আক্রান্ত বের হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে টিকা নেয়ার আহবান করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এবং সবাইকে সচেতন হতে ও মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি:
বর্তমান চিত্র ও সতর্কতা বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস (COVID-19) প্রথম শনাক্ত হয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে। এর পর থেকে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, অর্থনীতি এবং দৈনন্দিন জীবন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। প্রথম দফায় সরকার দ্রুত লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহার এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের মতো পদক্ষেপ নিয়েছিল সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইইডিসিআর নিয়মিত করোনা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে জনগণকে সচেতন রাখছে।

বর্তমানে, দেশে টিকা কার্যক্রম চলছে। দেশের মানুষ টিকার মাধ্যমে নিজেকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করছে এবং মৃত্যুহার কমাতে সহায়তা করছে। সরকার বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন বুথ পরিচালনা করছে এবং জনগণকে ভ্যাকসিন গ্রহণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এই উদ্যোগগুলো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করছে। তবে, করোনার সংক্রমণ এখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বিশেষ করে শীতকাল বা আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময়, সর্দি, কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে আইসোলেশন অপরিহার্য। এছাড়া, জনসমাগম এড়ানো, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং মাস্ক ব্যবহার করাও জরুরি।

করোনা মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ। টিকা গ্রহণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে সংক্রমণ কমানো সম্ভব। সচেতনতা ও ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হচ্ছে।     উপসংহারে, করোনা মোকাবেলায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা এবং নিজেকে সতর্ক রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। শুধুমাত্র সঠিক তথ্য এবং সতর্কতার মাধ্যমে আমরা জীবন স্বাভাবিক করতে পারব।

সময়ের সংলাপের ফেইসবুক পেইজ
গুম প্রতিরোধে নতুন অধ্যাদেশ জারি
বাংলাদেশে পেপ্যাল আসার সম্ভাবনা
সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স চাকরি বিজ্ঞপ্তি

গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসকের মৃত্যু করোনায় গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসকের মৃত্যু করোনায় গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসকের মৃত্যু করোনায় গণস্বাস্থ্যের চিকিৎসকের মৃত্যু করোনায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *