INTERNATIONAL NEWS

কৃষ্ণ সাগর থেকে চারটি শস্যবাহী জাহাজ রওনা

কৃষ্ণ সাগর থেকে চারটি শস্যবাহী জাহাজ রওনা

রবিবার, ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগর বন্দর থেকে চারটি শস্যবাহী জাহাজ রওনা হয়েছে। এই উদ্যোগটি ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের অধীনে প্রতিষ্ঠিত যৌথ সমন্বয় কেন্দ্রের অনুমোদন ও তদারকিতে পরিচালিত হয়েছে। সংস্থাটি মূলত এই প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন নিরীক্ষণ করে এবং নিশ্চিত করে যে, সামুদ্রিক মানবিক করিডোরের মাধ্যমে জাহাজগুলো নিরাপদে এবং সুষ্ঠুভাবে গন্তব্যে পৌঁছায়।

জাহাজগুলো ইউক্রেন থেকে চীন, ইতালি এবং তুরস্কের দুটি গন্তব্যস্থল উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা করছে। এছাড়াও একটি পঞ্চম জাহাজও ইউক্রেনে কার্গো নেবার জন্য যাত্রা করার অনুমোদন পেয়েছে। এই পদক্ষেপ বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম প্রধান “রুটির বাস্কেট”, এবং এর বন্দর অবরোধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে এবং বহু অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের হুমকি দেখা দিয়েছে। তাই এই জাহাজগুলোর রওনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য বড় ধরনের ইতিবাচক বার্তা বহন করছে।

নিয়মিত রপ্তানি শুরু হলে খাদ্যের সরবরাহে স্থিতিশীলতা আসবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চাপ কমবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি আন্তর্জাতিক বাজারে শস্যের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তবে সামুদ্রিক পথের নিরাপত্তা, জলপথে নৌবাহিনীর উপস্থিতি এবং সম্ভাব্য আক্রমণের ঝুঁকি এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার তার দৈনিক ভাষণে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে রাশিয়ার গোলাগুলির মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হওয়ার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সংস্থার নীরবতাকে “বাকপটু নীরবতা” বলে উল্লেখ করেছেন। জেলেনস্কি বলেন, এই সংস্থার ম্যানিপুলটিভ সিলেক্টিভিটি ইউক্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দুর্ভিক্ষ এবং নিরাপত্তা হুমকিকে যথাযথভাবে নজরে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে।

জাপোরিঝিয়া এনপিপি ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রাশিয়ার গোলাবর্ষণের কারণে কেন্দ্রে বিভিন্ন সময়ে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। জেলেনস্কি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে সতর্ক করেছেন যে, যদি এই ধরনের নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ না করা হয়, তবে এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং ত্রুটিপূর্ণ তথ্যের সৃষ্টি করতে পারে।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইউক্রেনের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের মতো উদ্যোগ শস্য রপ্তানির জন্য নিরাপদ পথ তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রক্রিয়ায় সরাসরি পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চারটি জাহাজের সফল রওনা শুধুমাত্র খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করবে না, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য মূল্য স্থিতিশীল রাখতেও সহায়ক হবে। এছাড়াও, এটি ইউক্রেনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, কারণ শস্য রপ্তানি থেকে দেশটি বড় ধরনের রাজস্ব অর্জন করতে সক্ষম হবে।

সার্বিকভাবে, ইউক্রেনের বন্দর থেকে এই জাহাজের রওনা নতুন আশা জাগিয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, তত্ত্বাবধান এবং নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ থাকলে মানবিক এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব। একই সময়ে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মন্তব্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি চাপ বাড়াচ্ছে যাতে তারা বাস্তব পরিস্থিতি সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারে।

উপসংহারে, কৃষ্ণ সাগরের এই শস্যবাহী জাহাজগুলো শুধু ইউক্রেনের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত বহন করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরদারি এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করবে যে, বিশ্ব দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব এবং একই সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঝুঁকি মোকাবেলাও সঠিকভাবে করা যায়।

কৃষ্ণ সাগর থেকে চারটি শস্যবাহী জাহাজ রওনা কৃষ্ণ সাগর থেকে চারটি শস্যবাহী জাহাজ রওনা কৃষ্ণ সাগর থেকে চারটি শস্যবাহী জাহাজ রওনা কৃষ্ণ সাগর থেকে চারটি শস্যবাহী জাহাজ রওনা কৃষ্ণ সাগর থেকে চারটি শস্যবাহী জাহাজ রওনা

সময়ের সংলাপের ফেইসবুক পেইজ

গুম প্রতিরোধে নতুন অধ্যাদেশ জারি

বাংলাদেশে পেপ্যাল আসার সম্ভাবনা

সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স চাকরি বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *