ইউরিন ইনফেকশন কি এবং এর লক্ষন ও প্রতিকার

Spread the love

ইউরিন ইনফেকশন কি এবং এর লক্ষন ও প্রতিকার

ইউরিন ইনফেকশন হচ্ছে এমন একটা ইনফেকশন, যা আমাদের শরীরের কিডনি,ইউরেটর,মূত্রথলি,মূত্রনালী যেকোনো অংগের ইনফেকশনের কারণেই হতে পারে। এটা সাধারণত মূত্রাশয় এবং মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্যই হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন:- ইউরিন ইনফেকশন হলে যে সকল খাবার খাওয়া উচিত

ইউরিন ইনফেকশনের ঝুকি নারীদের বেশি কেন?  

এর প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো নারী জননাংগের এনাটমি বা সৃষ্টি কৌশল।নারীদের যোনিপথ এবং পায়ুপথের দূরত্ব কম হওয়ার কারনে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হওয়া সহজ।আর মেয়েদের মূত্রনালীর দৈর্ঘ্য ছেলেদের তুলনায় কম হওয়ার কারনে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত উপরে উঠে যেতে পারে এবং সংক্রমন ছড়াতে পারে। তবুও পুরুষদের ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার হার নিতান্তই কম নয়।

কেনো হয় ইউরিন ইনফেকশন?  

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, -লম্বা সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে প্রস্রাবের উরিয়া এবং এমাইনো এসিডের মতো দূষিত পদার্থ থেকে ব্লাডারে জীবাণু জন্মায় এবং ইনফেকশন ছড়ায়। -ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে। -দীর্ঘমেয়াদে ক্যাথেটার ব্যাবহার করলে। -পুরুষের প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হলে, -কিডনিতে স্টোন হলে, -কিডনি বা মুত্রনালীর অপারেশনে। -মহিলাদের মেনোপজ বা মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে।

ইউরিন ইনফেকশন কি এবং এর লক্ষন ও প্রতিকার
লক্ষন বা কিভাবে বুঝবো?  

বার বার প্রস্রাবের বেগ আসা,কিন্তু অল্প পরিমানে প্রস্রাব হওয়া। -প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হওয়া। -ঘোলা/রক্তবর্ন/কড়া হলুদ বর্নের প্রস্রাব হতে পারে। -জ্বর জ্বর ভাব বা কাপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে। -বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া। -তীব্র ঝাঝালো গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হতে পারে। -তলপেটের নীচের দিকে ব্যাথা অথবা পিঠের নিচের অংশে ব্যাথা হতে পারে।

প্রতিকার কিভাবে?  

বেশি বেশি পানি পান করতে হবে, যাতে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেওয়ার আগেই প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে আসতে পারে। -৪/৫ ঘন্টার বেশি প্রস্রাব আটকে রাখা যাবেনা। -হালকা লবনাক্ত কুসুম গরিম পানিতে ভ্যাজাইনাল এরিয়া পরিস্কার করতে হবে। -শৌচকার্যের সময় সামনে থেকে পেছনের দিকে পরিস্কার করতে হবে। -যৌনমিলনের পরপরই প্রস্রাব করে ব্লাডার খালি করতে হবে এবং ১ গ্লাস পানি খেতে হবে। -নিয়মিত ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে।

প্রশাব ইনফেকশন
কি কি জটিলতা দেখা দিতে পারে?  

ইউরিন ইনফেকশন হলে দ্রুত চিকিৎসক দেখিয়ে সম্পূর্ণ চিকিৎসা নিলে পরে আর জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কম।কিন্তু চিকিৎসা না করালে- -প্রতি বছর ৪ – ৬ মাস পর পর ই ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে। -কিডনি নস্ট হয়ে যেতে পারে। -গর্ভাবস্থায় ইউরিন ইনফেকশন হলে সমস্যা আরও বেশি হতে পারে। এতে কম ওজনের বাচ্চা এবং প্রিম্যাচিউর বাচ্চা জন্মের হার বেড়ে যায় বহুগুন। তাই সময়মতো চিকিৎসক দেখিয়ে নিয়মিত মেডিসিন খান এবং সুস্থ জীবন যাপন করুন। আজ এ পর্যন্তই। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।


Dr. Mahfuza Hussain Bithi

MBBS, FCGP,

D-Asthma (UK), C-Card (NHF),

PGT( GYNAE & OBS. – DMC),

CCD( DIABETOLOGY – BIRDEM) DMU.

ইউরিন ইনফেকশন কি এবং এর লক্ষন ও প্রতিকার ইউরিন ইনফেকশন কি এবং এর লক্ষন ও প্রতিকার ইউরিন ইনফেকশন কি এবং এর লক্ষন ও প্রতিকার ইউরিন ইনফেকশন কি এবং এর লক্ষন ও প্রতিকার

ইনফেকশন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *