অধম মায়ের নির্মমতার শিকার বাচ্চাটি 3122
অধম মায়ের নির্মমতার শিকার বাচ্চাটি
শিশুটিকে জানালা বা বারান্দা এমন কোন জায়গা থেকে রাতের আঁধারে ফেলে দেওয়া হয়।ফেলে দেয়ার আগে এক হাত মুছড়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়!! যায়গাটা ছিল উক্ত বিল্ডিং এর পেছন সাইড।দুই বিল্ডিং এর মাঝের চিপা। উপর থেকে ছুড়ে ফেলায় ফ্রাকচার হয়ে যায়!এক পা ভেঙ্গে যায়!! বগলে ও পায়ের ফাঁকে রক্ত জমাট বাঁধে, তার উপর রাতে বৃষ্টি হওয়ায় সারা রাত ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে, অন্ধকার চিপায় পরে থাকে আর স্বশব্দে কাঁদতে থাকে!
অধম মায়ের নির্মমতার শিকার বাচ্চাটি “র বিরতিহীন কান্নার আওয়াজ গভীর রাত হওয়ায় অনেকেই শুনতে পায়। কেহ ঘুর্ণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি এই কান্না, নিচে পড়ে থাকা কোন নিষ্পাপ মানবশিশুর বাঁচার আর্তনাদ!!মানবতার পরাজয়!

ভোরের দিকে যখন অধম মায়ের নির্মমতার শিকার বাচ্চাটির কান্নার শেষ শক্তিটুকুও নিঃশেষ হয়ে যায় তখন কাগজ টোকাতে আসা এক মহিলা চিপায় ঢোকে জিনিস টোকাতে গিয়ে টিপটিপ বৃষ্টির পানিতে ভিজতে থাকা নিথর ছোট্ট দেহটি দেখতে পায়! দূর থেকে পুতুল ভেবে তুলতে যেতেই, পুতুলটি নড়ে ওঠে!!

গোঙ্গানোর মত মৃদু আওয়াজে মানব পুতুলটি যেনো বুঝিয়ে দেয়—-,, পৃথিবীতে এসে চোখ খুলতেই গর্ভধারিনী মায়ের থেকে এমন নিষ্ঠুরতা, হাত ভেঙ্গে দেওয়া,অত উপড় থেকে ছুড়ে ফেলা, যখম নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা ,ঠাণ্ডা-অন্ধকার মেঝেতে খালি গায়ে, নাড় না কেটেই সারা রাত সমস্ত শক্তিতে চিৎকার করে কাঁদার পরও,বাকরুদ্ধ হীমশীতল দেহে এখনও প্রাণ আছে!!!!
পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অস্হায় মেয়ে শিশুটি ভয়ার্ত চোখে চারপাশে তাকাতে থাকে!! হাসপাতালে ১দিনের সংগ্রাম শেষে চরম নিষ্ঠুরতার তিক্ততা নিয়ে,,মৃত্যু যন্ত্রনা ভোগ করা শিশুটি মৃত্যুর কোলেই ঘুমিয়ে পরে! বলার কোন ভাষা নাই! এমন নিষ্ঠুরতা মেনে নিতে পারেনি তার ছেট্টো জীবনে তাইতো চলে গেছে এই সমাজকে ঘৃনা আর অসহাত্ব জানিয়ে। {পোস্টেড_বাইঃইয়াসমিন}
