গ্রামের নাম ভূতের গ্রাম
গ্রামের নাম ভূতের গ্রাম
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছে এক ভূতের গ্রাম, সাগর পারে পরিত্যক্ত এলাকাটির অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে জনশূন্য কোথাও কারও অস্তিত্ব নেই যেন নিরব নিস্তর হয়ে পরে আছে এলাকাটি। সবাই চিনে আল-জাজিরা আল-হামরা নামে।
১৯০৭ সালে এই ভূতের গ্রামটি ছিলো বেশ সমৃদ্ধ, বিলাসবহুল বাড়ি ছিলো রমরমা ব্যবসা ছিলো। প্যারিসের লোক পর্তুগিজ ব্যবসায়ী ও বৃট্রিশদের আনাগোনায় মুখর থাকি এখানটাতে যেন কর্ম ব্যাস্ত একটা নগরী ছিলো এটা। স্থানিয়রা মাছ ও মুক্তার ব্যবসা করত।
কিন্তু হঠাৎ করেই পাল্টে যায় সবকিছু ওলট পালট হয়েযেতে থাকে স্থানীয়দের জনজীবন। অশুভ এই আত্মার আনাগোনার খবর চারদিকে হৈ চৈ পড়ে যায়, ভয় ঢুকে বাসিন্দাদের মনের মধ্যে। ১৯৬৮ সালের পরে প্রায় আড়াই হাজার বাসিন্দা এই এলাকাটিকে পরিতাক্ত ঘোষণা করে আবুধাবি চলে যায়। তারপর থেকেই জনশূন্যতে পরিনত হতে থাকে এই গ্রামটি । আতঙ্ক আর ভয়ে গুটিয়ে ন্যায় নিজেদেরকে।

আমিরাতের রাজ আল-হাইমার প্রদেশের এলাকাটি স্থানীয়দের কাছে ভূতের গ্রাম নামেই পরিচিত। বাংলায় অনেকে বলেন লালদ্বীপ। বহু বছরের পুরাতন বাড়ি আর ধংসস্তুপের মাঝে মিশে আছে রহস্যময় নানা ঘটনা যেখানে প্রায় তিন শত ঘরে চার হাজারের মত বাসিন্দা।
দ্বীপের যতটুকু চোখ যায় শুধু ধংসস্তুপ আর ভাংঙ্গা ভবন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বড় বড় সামুদ্রিক পাথরে তৈরীর ধংসাবশেষ, মনে হবে যেন একটা যুদ্ধ বিদ্ধস্ত এলাকা এটি । তবে সবকিছু ধংস হয়ে গেলেও পুরাতন একটি মসজিদ অক্ষত আছে যেটা বলতে গেলে সত্যিই অসাধার একটি দৃশ্য।
গ্রামটি নিয়ে ভৌতিক সিনেমা বানানোর উদ্যোগ ন্যায় কয়েকজন নির্মাতারা, কিন্তু তাদের সাথে ঘটতে থাকে নানা রকম অসংলগ্ন ঘটনা। এখানে যারাই আসেন তাদের সাথে রহস্যময় ভৌতিক কিছু ঘটে থাকে, পড়ে তারা ভয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে চলে আসে।

স্থানিয়রা বিশ্বাস করে এখানে থাকলে তাদের জীবনের উপরে খারাপ কিছু ঘটেযেতে পারে তাই তারা এখানটা ছেড়ে চলে গেছে।বেশির ভাগ স্থানিয়রাই ভূতের অস্তিত্তে বিশ্বাসী।
আরও পড়ুনঃ- বেল ফলের উপাকরীতা