দাদ/দাউদ 00
দাদ/দাউদ
দাদ/দাউদ চেনার উপায়
যদি শরীরের কোথাও লাল লাল চাকা দেখা দিয়েছে, আর সেখানে বারবার চুলকাচ্ছে আর আপনিও মজা পেয়ে চুলকানোর জন্য হাত চালিয়ে দিচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে দাদের ফাঙ্গাস আপনার ত্বকে বাসা বেঁধেছে। তাই আর একটুও দেরি না করে চটপট বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে চলে যান।

দাদ/দাউদ কোথায় হয়
দাদ সাধারনাত শরিলের যেকোনো জায়গায় হতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি হয় কুচকিতে, পেটে, বগলে, বুকের ভাজে ইত্যাদি জায়গায়। কেননা এসব জায়গায় ঘাম বেশি জমে থাকে এবং এসব জায়গার কাপড়ের ঘষাও বেশি লেগে থাকে যার ফলে এসব জায়গায় দাদ বেশি পরিমানে দেখা যায়। ছোট ছোট বাচ্চাদের দাদ/দাউদ মাথায় হয়ে থাকে লালচে ধরনের চাকাচাকা। অনেকের দেখা যায় নখ পচে যাচ্ছে আরলে এটাও এক ধরনের দাদ যা নখে হলে মনে হবে যেন নখ পচে যাচ্ছে।
দাদ/দাউদ হলে করনিও
দাদ একটি ছোঁয়াচে রোগ, এটি একবার হলে এটি থেকে পরিত্রান পাওয়াটা খুব কষ্টের হয়ে থাকে। একটি পরিবারের একজনের হলে অন্যদের হবার সম্ভাবনা ৯৯℅ থেকে যায়। কেননা এটি একটি আতিদ্রুত ছড়ানো ছোঁয়াচে রোগ। আগে এ রোগে মলম ব্যবহার করলে দ্রুত সেরে যেতো, তবে এখনকার দিনে তা দ্রুত সাড়ছেনা। অনেক বেশি সময় নিচ্ছে এবং মারাত্বক আকার ধারণা করছে।

সংক্রমণ এড়াতে করনিও
এ ধরনের সংক্রামন হতে বাঁচার জন্য সুতির কাপড় পারতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করতে হবে। কাপড় অপরিছন্ন হলে দাদ/দাউদ সক্রামনের ঝুঁকি বেশি থাকে। সংক্রামিত ব্যাক্তির কাপড়, সাবান,তোয়ালে ইত্যাদি নিত্য ব্যবহারের জিনিস আলাদা করে নিতে হবে। সংক্রামিত ব্যাক্তির কাপড় চোপড়া অন্য কারও কাপড়ের সাথে মেলানো যাবেনা। জিন্স ও টাইট জাতীয় কাপড় পরা থেকে বিরত থাকতে হবে। শরিলে ঘাম হলে মুছে নিতে হবে। সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন সাবান লাগানোর ফলে এর সংক্রামিত যায়গায় আরও ছড়িয়ে পরতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে দাদের সংক্রামন দেখা দিলে অতিদ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
