লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুনাগুন
লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুনাগুন
লজ্জাবতী গাছ অতি পরিচিত একটি গাছ, এ গাছটি গ্রামের সচারাচর দেখা যায়। গ্রাম্য চিকিৎসায় এ গাছের ব্যবহার অনেকটাই দেখা যায়। লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুনাগুন রয়েছে ব্যাপক ভাবে । অনেক রোগের মহা ঔষদ হিসেবে কাজ করে থাকে, এবার দেখে নেই লজ্জাবতী গাছের কিছু গুনের কথা।
আমাশয়ঃ– অনেকের এই আমাশয় সমস্যা রয়েছে। আমাশয় হলো কারও মল ত্যাগের বেগ হলে সে আর অপেক্ষা করতে পারে না এবং মল ত্যাগ করতে অনেক কষ্ট হয় এই সমস্যা সমাধানের জন্য লজ্জাবতী গাছ অনেক উপকার করে থাকে। কিছু পাতা পানিতে সিদ্ধ করে তা এক কাপ পরিমাণে সেই পানি খেলে খুব উপকার পাওয়া যাবে।

শরীরের দুর্গন্ধ দুর করতেঃ- লজ্জাবতী গাছের ঔষধি গুনাগুন -এর ভিতরে অন্যতম যে কাজ করে থাকে তা হলো শরীরের ঘামের গন্ধ দূর করে থাকে। শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ সমস্যা আমাদের খুব অস্তিত্ব দিয়ে থাকে। এই দুর্গন্ধের কারনে গেঞ্জি, জামায় দাগ দেখা যায়। এই সমস্যা সমাধানে লজ্জাবতী গাছের পাতা, ডাঁটা পানিতে সিদ্ধ করে সেই নির্জাস শরীরে লাগালে এই দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি মিলে।
অর্শ্বরোগ ভালো করেঃ– লজ্জাবতী গাছের শিকড় বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে অর্শ্বরোগের উপকার মিলে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিঃ– ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে লজ্জাবতী গাছের ভূমিকা অতুলনীয়। কাঁচা গাছ বেটে শরীরে লাগালে শরীরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিপায়।
চর্মরোগ দুর করতেঃ– চর্মরোগে লজ্জাবতী গাছ অনেক উপকার করে থাকে। লজ্জাবতী গাছ শুকিয়ে গুঁড়া করে ১০ গ্রাম পরিমান গুড়ো ২ কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে চর্মরোগ ভালো হয়।

দাঁতের মাড়ির ক্ষয়ঃ– লজ্জাবতী গাছের মূল পানিতে সিদ্ধ করে একটানা এক সপ্তাহ দৈনিক তিনবার করে কুলকুচি করলে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ হয়।
যৌনাঙ্গের ক্ষত সারাতে : যে কোন কারনে যৌনাঙ্গের ক্ষত হলে, প্রথমিক স্তরে মাঝে মাঝে অথবা প্রায় রোজই অল্প স্রাব চলতে থাকে, একটা আশটে গন্ধ, কখনো বা একটু লালচে স্রাব হয়, এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসক সাবধান করে থাকেন, এটি পরিণামে ক্যান্সার হয়ে যেতে পারে।
রমনে অতৃপ্তিঃ কয়েকটি সন্তান হওয়ার পর যোনিদ্বার অনেকটা শিথিল হয়ে যায়, এক্ষেত্রে লজ্জাবতীর নির্জাস দিয়ে ডুশ নেওয়ায়, আর গাছের পাতা সিদ্ধ নির্জাস দিয়ে তৈরি তেলে কাপড়ের ন্যাড়ায় ভিজিয়ে যোনিদ্বারে দিয়ে রাখলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
এছাড়াও আরও অনেক ভেষজ ঔষধে এই লজ্জাবতী গাছ ব্যবহার হয়ে থাকে।