পটলের উপকারিতা
পটলের উপকারিতা
পটলের স্বাস্থ্য উপকারিতা ব্যাপক। পটলের অগনিত স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা অনেকেই জানেনা। পটল আমাদের সকলেরই প্রিয় খাবারের ভিতরে একটি। পটল তরকারি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। ভিন্ন ভিন্ন আইটেমে পটল রান্না করে খাওয়া হয়ে থাকে যেমনঃ- পটলের ঝোঁল, পটল ভাজা, পটলের দোলমা, পটল কারি, পটল ভাজি ইত্যাদি উপায়ে খাওয়া হয়ে থাকে। পটল বিশ্বের সকল দেশেই জনপ্রিয় সবজি গুলোর মধ্যে একটি।
পটলের পুষ্টি উপাদান |
পটলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের উপস্থিতি রয়েছে যেমনঃ-
ভিটামিন-এ
ভিটামিন- বি১
ভিটামিন- বি২
ভিটামিন- সি
ক্যালসিয়াম
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ইত্যাদি

পটলের উপকারিতা |
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ-
পটলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। পটলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় আমাদের খাদ্য তারাতারি হজম হয়ে থাকে। এছাড়াও পটল লিভারে সমস্যা সমাধান করে থাকে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সমাধান করে। পটল ও ধনেপাতা থেঁতলে পানিতে ভিজিয়ে রেখে কিছু সময় পরে এই মিশ্রন মধুর সাথে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ-
পটলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় আমাদের শরীর ওজন বৃদ্ধি পাওয়া থেকে বিরত থাকে। পটল পেট ভরা রাখতে ও ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করেঃ-
বর্তমানে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন। পানি কম পান করা, অতি মাত্রায় আয়রন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। পটলের ভেতরে থাকা বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
ফ্লু নিরাময়ে সাহায্য করেঃ–
আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ঠান্ডা, জ্বর ও গলা ব্যথা কমাতে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয় পটল। সিজন চেঞ্জের কারণে অনেকের ফ্লু ও ঠাণ্ডার সমস্যা দেখা দেয়। আয়ুর্বেদ মতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পটল। ফ্লু, গলার সমস্যা ও শরীরের তাপমাত্রা কমাতে পটল খেতে পারেন নিয়মিত।

ত্বকের জন্য উপকারীঃ–
পটলে ভিটামিন এ ও সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে ত্বকের জন্য উপকারী। ফ্রি র্যাডিকেলের বিস্তার রোধ করে বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে পটল। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন ।
রক্তকে পরিশোধিত করে–
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে পটলের আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে এটি রক্তকে পরিশোধিত করে। বিভিন্ন কারনে শরীরের রক্ত পরিশোধন জরুরি। রক্ত ছাড়া শরীরের কোষও পরিষ্কার করে পটল, এতে করে স্কিন ভালো থাকে।
কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার কমায়ঃ–
পটলের ছোট গোলাকার বীচিগুলো কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা প্রাকৃতিকভাবে কমাতে সাহায্য করে।পটলের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে ও চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে। ফলে হৃদরোগ ও ডায়বেটিসের ঝুঁকি থাকে না। তাই নিয়মিত বেশি করে পটল খান।

পটলের উপকারিতা পটলের উপকারিতা পটলের উপকারিতা পটলের উপকারিতা