নিকৃষ্টতম সেবার নাম শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
নিকৃষ্টতম সেবার নাম শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
অনিয়ম যেখানে নিয়মে পরিনত, অসভ্যতাই যেখানে সভ্যতা, নোংড়াই যেখানে পরিচ্ছন্নতা! রোগী, স্বজন যেখানে জিম্মি, বর্তমান আলোর পৃথিবীতে এক ভয়ানক অন্ধকার জগতের নাম দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম বরিশালের শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
তিন দিন সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে এমন দৃশ্যই মিলেছে। রোগী ভর্তি থেকে শুরু হয় নানান রকম হয়রানী আর বিরম্বনা। কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারীতা, কর্তব্যে অবহেলার কারনে জটিল ধাধায় পরে যায় আগত সাধারন রোগী ও স্বজনরা। আয়া বুয়াদের দাপট আর আচরণ এতটাই জঘন্য। এমনকি ঝাড়ু নিয়েও আক্রমন করতে দেখা গেছে স্বজনদের উপর। কেউ প্রতিবাদ করলেই যেনো তাকে বিপদে পরতে হয়, ভিমরুলের দলের মত সব দলবদ্ধ হয়ে ঝাপিয়ে পরে। এতো গেলো আয়া বুয়া ক্লিনারদের কথা।

সিস্টার নার্স আর ডাক্তার, তারাতো বাংলার নবাব। কোন বিষয় কথা বলতে গেলেই ধমকের সুরে কথা বেড়িয়ে আসে তাদের মুখ থেকে। রোগী যখন সংকটময় অবস্থা তখন দশবার ডেকেও তাদের পাওয়া যায়না। তাদের অবহেলার কারনে তিনদিনে তিনটি শিশু মারা গেছে নবজাতক শিশু ওয়ার্ডে। স্বজনদের অভিয়োগ ডাক্তার যদি একটু কেয়ার করত তবে হয়ত শিশু তিনটি বেচে যেতো। এর কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে নাজেহাল করে দেয় তারা। এমনকি এই প্রতিবেদককেও শনিবার সকালে লাঞ্চিত হতে হয়েছে তৃতীয় তলায় লেবার পেয়িং এর ডাক্তারের কাছে।

সাংবাদিক পরিচয় দিলে, হুমকী দিয়ে বলা হয়, এটা সরকারী হাসপাতাল, ডাক্তারদের ক্ষমতা অনেক, আপনি যা পারেন করেন গিয়ে। শিক্ষিত ডাক্তারদের এমন অশালীন দৃষ্টতাপূর্ণ আচরনে হতবাগ হয়ে পরে উপস্হিত জনতা। পরিচ্ছন্নতার কথা আর কি বলব, এক কথায় সমগ্র হাসপাতালটি একটি নোংড়া দূর্গন্ধময় ভুবন। বেশিরভাগ বাথরুমের নেই কোন দরজা, পানি ব্যাবহারের ব্যবস্থাও নেই বেশিরভাগ বাথরুমে, নানা অব্যাবস্থাপণা, অনিয়নম আর সেচ্ছাচারীতায় এমন বৃহত্তর স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি এখন কতিপয় অমানুষ আর হায়েনার রাজ্যে পরিনত হয়েছে। ভুক্তভোগীদের দাবী, লাখো মানুষের সেবায় নিয়োজিত এই মহা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিয়ম ও সভ্য আচরণে ফিরে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
নিকৃষ্টতম সেবার নাম শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিকৃষ্টতম সেবার নাম শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিকৃষ্টতম সেবার নাম শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
