দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করনিও
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করনিও
সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে আমরা প্রত্যেকেই চাই। তাই প্রতিনিয়ত সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। কথায় আছে স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল, তাই সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের প্রত্যেকের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকাটা খুবই জরুরি। সামান্য অসুস্থতায় জদি আপনার জীবন থেমে যায় তাহলে উচিত আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমাতা বাড়ানোর চেষ্টা করা। কেননা সামান্য অসুস্থতায় আপনি থমকে গেলে মনে করবেন আপনার দেহে ইমিউন সিস্টেম খুবই দুর্বল। তাই ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করা আপনার একান্ত জরুরী। স্বাস্থ্যবিদদের মতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার এবং নিয়মিত কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যার ফলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করনিও |
ব্যায়াম করাঃ- |

ব্যায়াম করার ফলে আমাদের শরীর ফিট থাকে এবং দেহকে রোগ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে থাকে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমাত বাড়াতে ব্যায়ামের ভূমিকা অতুলনিয়। ব্যায়ামের ফলে আমাদের দেহের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে, ব্যায়াম হৃদরোগ হতে রক্ষা করে, রক্তসংবহন তন্ত্রের ক্রিয়াকর্ম স্বাভাবিক রাখে, ব্যায়ামের ফলে শরীরের মেদ জমে থাকতে পারে না যার ফলে ওজন বৃদ্ধি হয়না। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে আমদের অনেক উপকার হয়ে থাকে। যেমনঃ- ব্যায়াম মানসিক ক্লান্তি দূর করে থাকে, শরীরকে ফিট রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে, নিদ্রা বাড়ায়, টেনশন ফ্রি রাখতে সহায়তা করে থাকে। আমাদের ফুসফুসে ব্যাকটিরিয়ার সংক্রামন হলে ব্যায়াম সে সংক্রামনের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। তাই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যায়ামের ভূমিকা অতুলনিও।
নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানো |

ঘুম আমাদের শরীরের জন্য চার্জ স্বরুপ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আমাদের শরীর অসুস্থ অনুভব করি। তবে ঘুমানের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানা উচিত। আমাদের লক্ষরাখা উচিত আমরা যেন রাত বেশি না জেগে থাকি। যতো দ্রুত সম্ভব হবে তারাতারি বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়া। এক গবেষনায় দেখা গেছে বেশি রাত জেগে থাকলে মানুষের আয়ু কমে যায়, যার ফলে মানুষ অতি দ্রুত মৃত্যুর দিকে চলে যায়। ঘুম আমাদের জন্য খুবেই উপকারী । দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করনিও গুলোর মধ্যে ঘুমের ভূমিকা অপরিহার্য। নিয়মিত ঘুমের ফলে আমাদের মস্তিস্ক শীতল থাকে যার ফলে স্মৃতি শক্তি ভালো থাকে। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের ফলে আমাদের মস্তিস্কের কোষগুলো সুস্থ্য থাকে যার ফলে স্মৃতি শক্তি ভালো থাকে। এছাড়াও নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানোর ফলো ওজন নিয়ন্ত্রন হয়ে থাকে। বেশী রাত জাগলে ধীরে ধীরে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমাত কমে যায়, যার ফলে অতি অল্প সময়ে দেহে রোগ জীবাণুরা সংক্রামিত করে থাকে।
রসুন খাওয়া |
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করনিও হলো রসুন খাওয়া। সুস্থ্যতার জন্য রসুনের খাওয়ার ভূমিকা অতুলনিও। রসুন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি । তবে আমাদের জেনে রাখা ভালো যে রান্না করে রসুন খাওয়ার চেয়ে কাঁচা খাওয়া রসুনে উপকারীতা বেশী। রসুন আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে থাকে। প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে কয়েক কোয় রসুন খেলে শরীরের এলডিএলের পরিমাণ কম থাকে যার ফলে রক্তচাপ কম থাকে। এছাড়াও রসুন খাওয়ার ফলে ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়া সংক্রামনের হাত থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে থাক। রসুনকে বলা হয় গরিবের পেনিসিলিন , রসুন আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল কমিয়ে শরীরে মেদ জমতে দ্যায় না যার ফলে শরীর ফিট থাকে। এছাড়াও রসুন খাওয়ার ফলে হাড়ের বেশ উপকার হয়, চুল শক্ত ও মজবুত রাখতে সহায়তা করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ- খেজুরের ৭ ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা
সূর্য রশ্মি |

গবেষকদের মতে সকালের প্রথম প্রহরের সূর্য রশ্মিতে রয়েছে ভিটামিন ডি নামক উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী । ভিটামিন ডি আমাদের হাড়কে মজবুত রাখতে সহায়তা করে । দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করনিও গুলো নিয়ে ভাবতে হলে আমাদের সূর্য রশ্মি গায়ে লাগাতে হবে । প্রথম প্রহরের সূর্য রশ্মি ইমিউন সিস্টেমের সুপারচার্জার হিসেবে কাজ করে থাকে। যার ফলে আমাদের অনেক উপকার হয়ে থাকে। সূর্য রশ্মি ভিটামিন ডি দিয়ে শরীরের পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদির তৈরী করে দেহকে সুস্থ্য রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাই দেহের রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে সূর্য রশ্মির ভূমিকা অপরিহার্য।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া |
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করনিও গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো প্রচুর পরিমাণে টাটকা শাক-সবজি খাওয়া প্রয়োজন। কেননা শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা আমাদরে শরীরের জন্য খুবই দরকারী। পুষ্টিকর খাবারের সাথে সাথে আমদের অ্যালকোহল জাতীয় খাবর গুলোকে বর্জন করা উচিত এবং বাহিরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
পানি পানকারা |

পানির অপর নাম জীবন তা আমরা সকলেই জানি। তাই শরীরকে সুস্থ্য রাখতে পানির বিকল্প নেই। পানি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখে এবং শরীরের টিস্যু গুলো সুস্থ্য রাখতে কাজ করে। তবে গবেষকদের মতে খলিপেটে পানি পান করার উপকারীতা বেশী। খালিপেটে পানি পান করলে শরীরের ক্যালোরি কমে যায়। এছাড়াও পানি কিডনি ভালো রাখে এবং হজমে সহায়তা করে থাতে । দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করনিও গুলোর মধ্যে পানির তুলনা অপরিশীম।
আরও পড়ুনঃ- লিভার সুস্থ রাখতে ১৩ টি খাবার
সুপ জাতীয় খাবার খাওয়া |

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করনিও গুলোর মধ্যে সুপ খাওয়া অন্যতম।কেননা সুপে থাকে কারনোসিন নামক উপাদান যা ঠান্ডা প্রতিরোধে দারুণ কর্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও সুপ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। সুপ শরীরের অ্যান্টি-অক্সিজেন্ট সরবরাহ করে থাকে। তাই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সুপের ভূমিকা অতুলনিও।
সকালে এক কাপ চা পান করা |

চা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী উপদান। ফিগার ঠিক রাখাতে অণেকে গ্রীন –টি এর প্রতি বেশি ঝুঁকছেন। মূলত গ্রীন টি এক সময়ে ঔষধ হিসেবে সেবন করা হতো। চা মানষিক ভাবে ফিট রাখতে সহায়তা করে। চায়ে রয়েছে ভিবিন্ন ধরনের ভিটামিন উপাদান। চা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও হার্ট অ্যটাকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও আদা চা সর্দি-কাশির জন্য খুবই উপকারী। চা হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে থাকে। চা আমাদের শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করনিও গুলোর মধ্যে চা পান করা অন্যতম।
প্রচুর হাসুন |

হাসি আমাদের সুস্থ থাকার মহাঔষধ । শরীরকে চাঙ্গা ও সুস্থ রাখতে হাসির কোন বিকল্প নেই। হাসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে। ফুসফুসকে তরতাজা রাখতে সহায়তা করে থাকে। হার্ট অ্যটাকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে থাকে। হাসি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে। হাসি আমাদের শরীরের জন্য এক ধরনের ব্যায়াম । ২০১৭ সালের এক গবেষনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে হাসির বেশ কাজের। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করনিও হলো বেশি করে হাসা কেননা হাসি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হাসির গুরুত্ব অতুলনীয়।
Pingback: খেজুরের ৭ ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা - সময়ের সংলাপ
Pingback: কাঁচা মরিচের বিস্ময়কর উপকারীতা - সময়ের সংলাপ
Pingback: যেসব খাবার খালি পেটে খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে - সময়ের সংলাপ
Pingback: রসুনের যত গুনাগুন। - সময়ের সংলাপ
Pingback: এই খাবরগুলোও খেলে হতে পারে মৃত্যুর - সময়ের সংলাপ