পরিবহন চালু না করলে বিক্ষোভের ডাক
পরিবহন চালু না করলে বিক্ষোভের ডাক
করোনার কারনে বন্ধ আাছে দূরপাল্লার বাস চলাচল ,আর সেই কারনেই যাত্রীদে ঈদের ছুটিতে গন্তব্যে যেতে পরতে হচ্ছে বড় সমস্যায় ,যেনো এ দূর্ভোগের শেষ নেই। যে যেরকম পারছে ছুটছে তার নিজ গন্তব্যে । করোনার কোন দোহাইও মানতে নারাজ ঘরমুখো মানুষ জন। এরই মাঝে দূরপাল্লার পরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্সা অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। তারা বলছে তারা ঈদের আগেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার পরিবহন চালাতে চায়। সংগঠনগুলো জাতীয় প্রেস ক্লাবে তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন। উক্ত সংগঠনের এমন প্রস্থাবের কথা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান।
শাজাহান খান বলেন, লোকাল গাড়ির মতো দূরপাল্লার পরিবহনের ওপর থেকেও লকডাউন শিথিল করা দরকার যেখানে লোকাল গাড়ি চলতে পারে সেখানে দূরপাল্লার গাড়ি কেন বন্ধ থাকবে। শাজাহান খান বলেন গাড়ি বন্ধ থাকলেও সাধারন যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ নেই তারা যে যার মতো করে ছুটছে তার নিজ গন্তব্যে। তিনি বলেন লগডাউন শিথিল রেখে অন্তঃজেলা গনপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিলে দূরপাল্লার পরিবহন শ্রমিকদের মালিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অথচ বাস মিনিবাস, অটোরিক্সা, সিএনজিতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে মানুষ যাতায়াত করছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গণ এবং পন্য পরিবহন চালু করে দিতে হবে।
এই দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে ঈদের নামাজের পরে সারা দেশের মালিক এবং শ্রমিকরা নিজ নিজ এলাকায় বাস ও ট্রাক টার্মিনালে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি ৫ টি দাবি উপস্থাপন করেন।

দাবিগুলো হলোঃ-
১) স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সবধরনের গনপরিবহন এবং পণ্য পরিবহন চলাচলের সুযোগ দিতে হবে।
২) লগডাউনের কারনে কর্মহীন পরিবহন শ্রমিকদের আসন্ন ঈদের আগে আর্থিক অনুদান ও খাদ্যসহায়তা প্রদান করতে হবে।
৩) লকডাউনে গনপরিবহন বন্ধ থাকায় মালিকদের যানবাহন মেরামত , কর্মচারী ও শ্রমিকের বেতন ভাতা ও ঈদ বোনাস ইত্যাদি দেয়ার জন্য নামমাত্র সুদ ও সহজ শর্তে পাচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিতে হবে এবং সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য আসন্ন ঈদের আগে ও পরে ১০ টাকায় ওএমএস- এর চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) কভিড -১৯ এর কারণে গণপরিবহন ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগের বিপরীতে সব ব্যাংক ঋণ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণের সুদ মওকুফসহ কিস্তি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করতে হবে এবং ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে ক্লাসিফাইড ঋণগুলো আনক্লাসিফাইড করতে হবে।
৫) লকডাউরে বন্ধ থাকার সময় গাড়ির ট্র্যাক্স-টোকেন, রুট পারমিট ফি আয়কর, ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের ফি কর ও জরিমানা মওকুফ করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত কাগজপত্র হালনাগাদ করা সুযোগ দিতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরিবহন চালু না করলে বিক্ষোভের ডাক পরিবহন চালু না করলে বিক্ষোভের ডাক পরিবহন চালু না করলে বিক্ষোভের ডাক পরিবহন চালু না করলে বিক্ষোভের ডাক