জোঁকে কামড়ালে কি হয়?
জোঁকে কামড়ালে কি হয়?

জোঁককে আমরা রক্তচোষা জীব হিসেবে চিনে থাকি। এরা দেখতে কেঁচোর মতে অনেকে বলে থাকে জোঁক কেচোর জাত ভাই। কেঁচোর মতো এদের ক্লাইটেলাম আছে। কেঁচো এবং জোক উভয়ই এনিলিডা পর্বে প্রাণী।
জোঁক আমরা সাধারনত বর্ষাকালে দেখতে পাই। নতুন পানিতে যখন খাল বিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় তখন হরহামেশা এদের দেখা মিলে। আমরা অনেকেই জোঁক ভয় পাই এবং এটি দেখলেই আতকে উঠি।
আমরা অনেক সময় দেখে থাকি বাজারে বা মেলায় ইত্যাদি জায়গাতে হকাররা জোঁকের তেল বিক্রি করে থাকে এবং এই জোঁকের তেলের হাজারো উপকারের কথা বলে বিক্রি করে থাকে।
জোঁকের কামড়ের উপকারী দিকঃ-
জোঁকের বিষয়ে আমাদের ধারনা খুবই নগন্য । গবেষনায় দেখা গেছে যে , একটি জোঁক ২ থেকে ১৫ মিলিলিটার রক্ত শুষতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ থেকে এক ধরনের লালা মিশিয়ে দেয় রক্তে। যাতে হিরুডিন, ক্যালিক্রেইন, ক্যালিনের মতো কিছু উৎসেচক থাকে। যা রক্তের দূষণ দূর করতে সাহায্য করে।
ফোন থেকে পর্ণ সাইট অনুসন্ধান করা বন্ধ করবেন যেভাবে
জোঁক শরীরের পচনশীল অংশের দূষিত রক্ত দ্রুত শুষে নিয়ে নতুন রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে৷ এমনকি, রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। জোঁকের শরীর থেকে ডেস্টাবিলেস নামে এক ধরণের প্রোটিন প্রবেশ করে মানুষের দেহে। যা বহু জেদি জীবাণুকে মেরে ফেলে। জয়েন্ট পেইনেও দারুণ কাজ করে জোঁক থেরাপি। ব্যথার জায়গায় কিছুক্ষণ জোঁক রাখলে রক্ত সরবরাহের উন্নতি হয়!
জোঁক থেকে বাঁচতে করনিওঃ-
যেসব স্থানে জোক আক্রমণ করতে পারে বিশেষ করে পায়ে কেরোসিন তেল বা সরিষার তেল মেখে নিলে জোঁক আর ধরবেনা। জোঁকের মাহাঔষধ লবন । লবন দেবার সাথে সাথে জোক শরীর ছেড়ে মাটিতে পড়ে যাবে। অনেকে আছেন জোঁকে ধরলে সিগারেটের ছ্যাকা , সাবান , লেবুর রস ইত্যাদি দেয়ে থাকেন । তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ এর ব্যাতিক্রম কেননা এসব জিনিস ব্যবহারের ফলে জোঁক তার পাকস্থলীর সব কিছু বমি করে দেয়, যা কিনা মানব দেহের ক্ষতস্থানে রোগের সংক্রমণ করতে পারে তাই হাত দিয়ে জোঁক অপসারন করাই ভালো উপায়।
Pingback: মহিলা HIV/AIDS আক্রান্ত হয়েও একাধিক বিয়ে করেছে-স্বামীদের কি হবে? - সময়ের সংলাপ