জামের বিচির উপকারিতা
জামের বিচির উপকারিতা
আমরা সাধারনত জাম খেয়ে জামের বীজ ফেলে দেই, কিন্তু আমরা জানিনা এই জামের বীজের উপকারী গুনাগুন। আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় এর গুনাগুন অপরিশীম । কিভাবে এই জামের বীজ খেতে হয় আমরা অনেকেই জানিনা। আগে জানতে হবে এই জামের বীজ কিভাবে খাওয়ার উপযোগী হিসেবে তৈরী করতে হবে। প্রথমে জাম গুলোর উপর থেকে কালো যে জামের শ্বাস(উপরের অংশ) রয়েছে তা ছাড়িয়ে নিতে হবে এবং তারপড় জামের বীজের উপরে একটা আবরন থাকে সেটিও ছাড়িয়ে নিতে হবে । এরপর এটি ভালমতো ধুয়ে নিয়ে রোধে শুকিয়ে নিতে হবে । ভালমতো শুকানো হলে এটিকে তারপড় ভাল ভাবে গুড়ো করে নিতে হবে ভাল করে গুঁড়ো করার পর চালুনিতে চেলে নিন। তারপর জামের বীজের গুঁড়ো একটি বায়ু-নিরোধক শিশিতে রেখে দিন এবং প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন। এক গ্লাস জলে এক চা-চামচ জামের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে পান করুন।

জামের বিচির উপকারিতাঃ-
- ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রন করে:- যাদের ডায়বেটিস প্রাথমিক পর্যায়ে আছে তাহারা কোন ধরনের ঔষধ খাওয়ার দরকার পরেনা তারা নিয়মিত জামের বীজ খান দেখবেন ডায়বেটিস চলে যাবে। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে বিশেষজ্ঞরাই এই জামের বীজ খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। জামের ফল ও বীজ উভয়েই উপস্থিত জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। জামের বীজও রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
- আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ রাম এন কুমারের মতে,”জামের বীজ অধিকাংশ আয়ুর্বেদিক ডায়াবেটিসের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এবং এর ব্যবহার বিভিন্ন আদি আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এর উল্লেখ আছে। আয়ুর্বেদী মতে জাম হল অ্যাসট্রিনজেন্ট অ্যান্টি-ডিউরেটিক, যা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতে সাহায্য করে, হাইপোগ্লাইসেমিক গুণ আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ যা ডায়াবেটিসে উপকারী। জাম ফল ও বীজ উভয়েই এ গুনাগুন রয়েছে।
- এছাড়াও জামের বীজে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদন রয়েছে।
- যাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত এটি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা বজায় থাকবে।
- এটিতে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ,ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান যা হাড়কে শক্ত সুস্থ্য ও স্বাভাবিক রাখে।